[চৈনিক কবি বাই যুয়ি ৭৭২ সালে চীনের তাইয়্যুয়ানি, শানজি-তে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তাং রাজবংশের একজন সরকারি কর্মচারী। যেনজিয়ান, হেনান এ তিনি বেড় ওঠেন। তার বাবা ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর হাকিম। জাপানি সাহিত্য বিকাশে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। তার কবিতায় প্রাত্যহিক জীবনের চালচিত্র মূর্ত হয়ে উঠেছে। ৮৪৬ সালে হানানে তিনি মারা যান।]
বাসন্তী ঘুম
বালিশ নীচু উষ্ণ কম্বল শরীর মসৃণ প্রশান্ত
সূর্যকিরণ কক্ষের দরোজায় পর্দা এখনো হয়নি উন্মোচিত
বাতাসে এখনো বসন্তের তারুণ্যের আস্বাদ
প্রায়শই তোমার কাছে আসবে এমনকি ঘুমিয়ে থাকলেও
বৃষ্টিস্নাত শরতরাতের ঘুম
শরতের তৃতীয়ার চাঁদ ঠাণ্ডারাত
বিজন এক বুড়ো প্রশান্ত তাতে
দেরিতে শয্যায় গিয়েছিলো ইতোমধ্যে নিবে গেছে বাতি
এবং সুন্দরভাবে ঘুমায় বৃষ্টির শব্দের ভেতর
পাত্রের অভ্যন্তরে ছাই এখনো আগুনে উষ্ণ
কম্বল ও কভারে এর সুরভি উষ্ণতা বাড়ায়
যখন প্রভাত আসে পরিষ্কার ও ঠাণ্ডা জাগ্রত হয় না সে
শিশিরস্নাত লালপত্রালি আবৃত করে পদচারণাকে
ঘাস
ঘাসগুলো বিস্তৃত হয়েছে সমতলে
ফিবছর এগুলো মরে আবার ফুলেফেঁপে ওঠে
এগুলো পুড়ে যায় কিন্তু ধ্বংস হয় না তৃণের আগুনে
যখন বাসন্তী সমীরণ বয় এতে ফিরিয়ে আনে প্রাণ
সুদূরের সুগন্ধ হানা দেয় প্রাচীন সড়কে
এর পান্নাসবুজ ছড়িয়ে পড়ে বিধ্বস্ত শহরে
আমি আবার দেখি আমার কুলীন বন্ধুর প্রস্থান
অনুভব করি আমি পরিপূর্ণ বিদায়ী অনুভূতিতে
নৈশ তুষার
অবাক হই আমার কম্বল ও বালিশ ছিল ঠাণ্ডা
দেখি যে এখন জানালা উজ্জ্বল হয়েছে আবার
রাতের গভীরে তুষার খুব পাতলা আমি জানি
কখনো বা শোনা যায় বাঁশগাছের মচমচে শব্দ