কুকুর কিংবা মনুষ্যত্ব-বিষয়ক
সকাল-বিকাল কিংবা দুপুর, যে রাস্তা দিয়েই যাই। আমার কোনো গোপণীয়তা থাকে না—
থাকে না কোনো নাটকীয়তা।
যেকোনো বৃক্ষের ডালে বসা পাখিরা জানে আমার গন্তব্য, আমার ঠিকানা।
আমি তো কারও পোষা কুকুর নই যে, কেউ আমাকে ইচ্ছে করলেই খাবারের লোভ
দেখিয়ে তার পিছু পিছু ডেকে নিয়ে যাবে
আর আমি লাল রঙের জিহ্বা লেলিয়ে-লেলিয়ে ছুটে যাব তার পিছু কিংবা আমিই বা কাউকে…।
এতটা জানোয়ার অথবা ততোধিক মনুষ্যত্ব কোনোটাই হয়তো আমার ভেতর এখনো জন্ম নেয়নি—
পাগলামি
শীতের সন্ধ্যায় খুব বেশি বরফ জমে গেলে সেদিন রাতে আর কুকুরগুলো ডেকে ওঠে না কুঁই-কুঁই করে—
বাচ্চারা কোথায় যেন পালিয়ে বাঁচে। আমরা শরীরে ভারী কোটটাই জড়িয়ে ভিড়ে যাই গ্লাস-গ্লাস মদের
আড্ডাখানা আর কবিতায়। কবিতাকে মাঝে মাঝে নিজের স্ত্রী ভেবে ভুল করে গলা টিপে ধরি
ওর ফর্সা গালে চুরুটের ছ্যাঁকা দেই, ওর নাভিতে চুমু দিয়ে বাড়িয়ে দেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া।
কখনো কখনো ওর পায়ের কাছে নত হয়ে ক্ষমা চাই আর বলি, আমার এ দুর্বিষহ জীবনটা
কাউকে ধার দিতে চাই। নেবে কেউ?