[মহেশ পৌডওয়াল (১৯৮২)। নেপালের একজন কবি, গল্পকার, আলোচক ও অনুবাদক। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনরত পৌডওয়ালের নেপালিতে দুটি কবিতা সংকলন, তিনটি গল্প সংকলন, একটি উপন্যাস ও ইংরেজিতে একটি কবিতা সংকলন, একটি গল্প সংকলন, একটি আলোচনার বই প্রকাশিত রয়েছে। এছাড়া, ইংরেজিতে শিশু সাহিত্যের ছয়টি উপন্যাস, একটি নাটক সংকলন আর প্রায় দুই ডজন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত রয়েছে। পৌডওয়াল নেপাল সরকারের ‘নেপাল বিদ্যা ভূষণ’. ‘যুববর্ষ মোতি পুরস্কার’ পেয়েছেন। এছাড়া, ‘বিমল গুরুঙ স্মৃতি উৎকৃষ্ট পুস্তক পুরস্কার’, ‘গোবিন্দ গোঠালে কিশোর সাহিত্য পুরস্কার’, ‘ড. হর্ষ বাহাদুর বুড়ামগর স্মৃতি পুরস্কার’, ‘সুশিদ নিরৌলা স্মৃতি পুরস্কার’, ‘প্রসিদ্ধ কঁড়েল স্মৃতি পুরস্কার’ দ্বারা কবি সম্মানিত হয়েছেন।]
জমি
জমি পরিত্যাগ করো না বন্ধু
পা রাখার জায়গা দরকার।
ডানা রয়েছে বলেই কি
আকাশে বসবাস করে পাখিরা?
দেখো তো, মেঘও তো বাড়ি ফিরে আসে
বর্ষা হয়ে
জমি পরিত্যাগ করো না বন্ধু
পা রাখার জায়গা দরকার।
অশ্রু ও তুমি
চোখের কিনারা দিয়ে টপটপ করে
ঝরে পড়া অশ্রুর সঙ্গে
সংবাদে অসমর্থ হলাম
তাই মৌনতায় ঝরে পড়লো
চেহারার রাস্তা বেয়ে।
দূর থেকে হাত নাড়ানো তোমার সঙ্গে
কিভাবেই বা পারব
কোনো সংবাদ স্থাপন করতে?
বসন্ত
বসন্ত আমার উঠোনে এসে রাত কাটিয়েছে
বিশ্রাম করেছে,
আর ফেরত চলে গিয়েছে।
ঠান্ডা উনুনে স্বপ্ন রেঁধে চলা আমরা
জানতেই পারলাম না।
চাঁদতারার দেশ
ধরিত্রী থেকে ওপরে ওঠা সব ধোঁয়া
আকাশের দিকেই উড়ে গেলো
কিন্তু আকাশ কোনো দিন
ধোঁয়ার দেশ বলে বিবেচিত হয়নি
তাকে তো সবসময়ই চাঁদতারারই দেশ বলা হলো।
জল ও স্বপ্ন
বেরঙ্গী জলের বর্ণহীন কণারা
কেমন করে, ওপরে আকাশে
বহুরঙ্গী হয়ে পড়ে।
নিচে শহরে, মানুষদের
বহুরঙ্গী স্বপ্নগুলো
কিভাবে যেন দিন-দিন বর্ণহীন হয়ে পড়ে।