কিটসের চিঠির নিলাম: অস্কার ওয়াইল্ড
এই চিঠিগুলো এন্ডিমিয়নের
কাউকে ভালোবেসে গোপনে লেখা
এখন নিলামকারী দর হাঁকছেন
কষাকষি করছেন এই পুরনো লেখাগুলোর
বণিকেরা প্রতিবার দাম হাঁকায়
মনে হয় তারা বোঝে না শিল্পের মর্যাদা
কে পারে কবিদের কাচের হৃদয় খান খান করে ভাঙে
যদিও ছোট বা রোগা জ্বলজ্বলে চোখ ধাঁধানো আলো
অনেক বছর আগে হয়নি কি বলা
কোনো এক প্রাচ্যের শহরে
মধ্যরাতে মশাল জ্বালিয়ে সৈনিক কয়েকজন
ঝগড়ায় মত্ত ছিল জুয়ার ঘুঁটির চালে
এক হতভাগা পুরুষের পরিত্যক্ত পরিচ্ছদ
পাবার আশায়
তারা জানত না স্রষ্টার বিস্ময়
অথবা কী শোক
অন্য শিশুরা: স্টিফেন স্পেন্ডার
মা-বাবা আমাকে নোংরা শিশুদের থেকে
রেখেছেন দূরে দূরে
পাথরের মতো কথা ছুড়ে মারে
ময়লা কাপড় পরে যারা-
মলিন কাপড় পরে ঘোরে, উরু দেখা যায় ছেঁড়া ফাঁকে
পাহাড়ে পাহাড়ে ঘোরে, নদীতে ডুবায় গ্রামে
ওদের লৌহকঠিন পেশি, ডরাই বাঘের মতো
হেঁচকা টানলে বাহু, বেশ শক্ত লাগে
ওদের কঠিন হাঁটু বাহু
আমার মুখের উচ্চারণ ওরা ভ্যাঙচায় পথে পথে
অনেক সহজ ছিল ওরা, লাফাতো বেড়ার পাশে
আর চিল্লাচিল্লি ঠিক
আমাদের কুকুরগুলোর মতো
কাদা ওরা ছিটাতো নরম, আমি ভিন্ন পথ খুঁজতাম ঠিক
হাসির মতন ভান করে
আমি ওদের ক্ষমা করতে চাই
কিন্তু তারা এখনো হাসে না
বুলডোজারের গান: প্যাট্রেসিয়া বাবেল
আমরা বুলডোজার! বুলডোজার! বুলডোজার!
আমরা খনন করি বিমানবন্দরে, সমুদ্রবন্দরে, সুড়ঙ্গপথে
আমরা নির্মাতা স্রষ্টা ও ধ্বংসকারী
আমরা বুলডোজার
‘আমাদের স্বাধীনতা দাও’
কী দুর্বল মানুষগুলো আমাদের ওপর চড়ে,
ভাবে তারাই চালাচ্ছে
কিন্তু আমরা সবল, আমরা প্রবল, পরাক্রমশালী
তারা নয়, তারা নয়
আমাদের ধারালো ব্লেড ছিঁড়ে ফেলে পাহাড়ের পেট
আমাদের ধারালো দাঁত কেটে ফেলে শহরের বুক
আমরা বুলডোজার!
‘এখন আমাদের স্বাধীনতা দাও’
একেকজন দৈত্যাকার দানবের মতো ক্ষিপ্র, জাগ্রত
প্রবল শক্তিতে ঘণ্টার মধ্যে ধারালো পাতে
কেটে ফালাফালা করে সব
আমরা বুলডোজার!
ক্রমাগত বিকশিত হই
মানুষেরা ভাবে, তারা আমাদের করেছে বিজয়
‘কিন্তু এটা কখনোই নয়’
আমরা বুলডোজার!