সকালের প্রথমভাগে সোনারোদ পায়ের কাছে হামাগুড়ি দেয়। গা বেয়ে উঠে চোখে-মুখে লেপ্টে গেলে উষ্ণতা এসে শীতের মোহ বাড়ায় আর আধখোলা জানালা হাট হয়ে খুলে গেলে তরল রোদ মগজের ভেতরে মন্ত্রণা দেয়। কুহকি জানালার ওপারে দুই জোড়া চুড়ইয়ের খুনসুটি মিস করলে মনে পড়ে তারা এখন দিনের প্রথমভাগ থেকে অবসরে গেছে আর দিনের মধ্যভাগে তাতানো রোদের ভেতরে জানালার গ্লাসে এসে আঁচড় কাটে, যেন তাদের ছায়ার মতো প্রতিচ্ছবির ওপরে রাজ্যের আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়ে বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে ক্ষান্তি দেওয়ার কথা ভাবে। দিনের প্রথমভাগের মতো মধ্যভাগে এসে তাদের ভেতরে আর খুনসুটি দেখা যায় না এবং এভাবে সে দিনের শেষভাগের কথা ভাবতে গিয়ে মাতালের মতো হোঁচট খায়। রোদ তখন শরীরজুড়ে উষ্ণতা ছড়ায় আর কুহকি জীবনের ভাগে ভাগে ঘুরে বেড়াতে থাকলে বিষাদ হানা দেয়। জীবন কি শেষ পর্যন্ত বিষাদময় কুহকি! শরীরজোড়া রোদের মতো মনের ওপরে তখন গত হয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাস। সময়, মায়ের কোলের গন্ধ না শুকাতেই হুটহাট কেমন শৈশব ছিনতাইহয়ে যায়। স্কুলের প্রাইমারি লেভেল ক্রস করে উঠতেই হঠাৎ বুকের দু’ধার অস্বাভাবিক ফুলতে শুরু করলে চেনা-অচেনা মানুষজনের চোখ কেমন চোখা হয়ে যায়। ওপর ক্লাসের ছাত্ররা পরস্পরে চোখ টেপাটিপি করে আর ক্লাসের ফাঁকে বড়দের প্রেরণায় ক্লাসের বদসাহসের ছোকরাগুলো বগলের তল দিয়ে হাতা মেরে উঠতি স্তনে পাঁচ আঙুলের চাপ দিয়ে ছেড়ে দেয়। বাড়ির পাশের বড় ভাইটা যাকে রোজ সকালে শিউলি আর বকুল ফুলের মালা গেঁথে গায়ে গায়ে মাখামাখি করে মালা পরিয়ে দেওয়া হতো তার নজরও আঠার মতো কচি বুকের ওপরে লেগে থাকে। ‘মাইয়া আমার বড়ো হইয়া গ্যাছে এখন ছোটখাটো কাপড়ে চলব না’ মায়ের এমন তাড়নায় বাবাজি বাজার থেকে রঙ-বেরঙের চওড়া কাপড় এনে মেয়ের গলায় ঝুলিয়ে দেয়। আর মেয়েও যেন একটু আড়াল পেয়ে হাঁফ ছাড়ে। কী এক সম্পদের মালকিন হয়ে পড়েছে হঠাৎ পুরুষগুলো বাঘের মতো থাবা তাক করে থাকে সম্পদ লোটার ধান্ধায়। মা একদিন রহস্যময় ডেকে নেয় ঘরের কোনায়। কিছু হয়ছে তোর? মেয়ে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাকে জড়িয়ে হু-হু কান্নায় বুক ভাসায়া কয়, দু’দিন যাবত মাথা আর গা হাত-পা কেমন ঝিনঝিনায় আর আজকে সকালে জাইগা দেখি প্রসাবের দ্বারে রক্ত। মা তারে সান্ত্বানা দিয়ে মিটি মিটি হাসে আর কয় এখন তুমি আর ছোটো নাই।
শৈশব ছিনতায় হয়ে যায় আর বড়রা রাতদিন বড়ত্বের তালিম দিতে থাকলে মেয়ে দেখে বিশাল খোলা মাঠ কেমন সংকীর্ণ হয়ে চারপাশে দেয়াল উঠে যায়। তখন কুহকিদের বাড়ি দোতলা হয় নাই আর হঠাৎ কুহকির পরিবর্তনে তার খেলার সখিরা বিকেল বেলা করে এসে একতলা বাড়ির ছাদ হুল্লোড়ে মাতায় না। বিকেল বেলার সোনারোদ বিষণ্ন কুহকিদের ছাদে সন্ধ্যার আয়োজন করে। তখন একসঙ্গে অনেক হঠাৎ কর্মের ভেতরে কমল ভাইয়ার পিয়ারের দোস্ত সফল ভাইয়ার আসা-যাওয়ার গতি বাড়ে বহুগুণ। আড়াল পেয়ে একদিন হাতের মুঠোয় অক্ষর সাজানো কাগজ ধরিয়ে দিলে মায়ের নজরে ধরা পড়ে যায়। সেই থেকে সফল ভাইয়া এই বাড়িতে নিষিদ্ধ হয়। তারপর সবাই ঘিরে ধরে কুহকিকে ধমক লাগায়। এ সব এ বাড়িতে চলব না আর চালানোর চেষ্টা করলে গলা কাটা লাশ হইয়া পদ্মায় ভাসতে হইবে। কুহকি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সবার সামনে ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করলেও কারও ভেতরে কোনো মায়া কাজ করে না। কুহকি রাতে বিছানায় তুমুল তড়পাতে তড়পাতে গলা দিয়ে গোঙানি ছাড়লে মা এসে ব্যস্ত তুলে বসায় আর আকুলিব্যাকুলি হয়ে জানতে চায়, বাজে খোয়াব দেখছস কুহু, ও কুহু? ধাতস্ত হতে খানিক সময় নেয় কুহু। তারপর ভয়ে জড়তায় কয় খোয়াবে দেখি সমুদ্রের পানিতে ভাসতাছি আর বড়-বড় নখ আর মুখওয়ালা জন্তু-জানোয়ার ছিঁড়ে খুবলে খাইতাছে। মা কতক্ষণ বিড়বিড় করে বুকের ওপরে লম্বা তিনটি ফুঁ দেয় আর অভয় বাণী শুনিয়ে বিছানায় শোয়ায়। কিন্তু কুহুর মনে লম্বা নখওয়ালা জন্তু-জানোয়ার দাপাদাপি করে বেড়ায় বলে সারারাত ঘুমহীন কেটে যায়।
রোজকার মতো সকালে কুহুর বাবা হাতলওয়ালা চেয়ারে বসে বাড়তি ভুঁড়িটুকু আয়েশ করে ছেড়ে দিয়ে সিগারেট ফোঁকে। কুহুর মা তখন তুমুল ব্যস্ত সময় পার করে। রুটিগুলো সেঁকে আর তার সঙ্গে কয়েকটা ডিম ভেজে টেবিল সাজিয়ে বাড়ির ভেতর বাহির করতে থাকে এটা সেটা কাজে। কুহু তখন সকাল বেলার মাস্টারের কাছে বীজগণিতের সূত্র প্রয়োগের কৌশল রপ্ত করে। আধপোড়া সিগারেট হাতে হঠাৎ নড়েচড়ে বসে কুহুর বাবা কুহুর মাকে ডাক পাড়ে, শুইনা যাও, দেখতাছো তো, মাইয়া কিন্তু এখন দিনে দিনে সেয়ানা হয়, দিনকাল কেমন খারাপ, মাইয়াডার ভাবগতিক একটু বুইঝো। কুহুর মা মুহূর্তকয়েক অবহেলায় দাঁড়িয়ে কয়, মাইয়ারে আমি নজরে আর শাসনে রাখি, মাইয়ারে আমার কুপথ অধিকারে লইবে না। এসব ভাবনা না ভাইবা বরং তুমি আড়তে গিয়ে বইসো, ঢের বেলা হইছে।
তখন আরেকটু বড়ো বয়স। মাধ্যমিকের বছর দুই পেরিয়ে গেলে কুহু দুই বছরে মনে আর শরীরে আরও ভালোভাবে নারী হয়ে ওঠে। ক্লাসের কাছের বান্ধবী টুম্পা একদিন অনেক ভিড়ের ভেতর থেকে হাত ধরে টেনে কিছুটা নির্জন লাইব্রেরি ঘরের পেছনে একটি ছেলের সামনে এনে ছেড়ে দেয়। কুহুর বাম-বুক ধুকপুক করে ওঠে আর তলপেটে হঠাৎ চাপ ধরে আসে, তবু স্থির দাঁড়িয়ে থেকে দেখে বান্ধবী টুম্পাকে পেছন ফিরে একবার রহস্যের হাসি হেসে ফিরে যেতে। সামনে কয়েক ক্লাস ওপরের সোপান ভাইয়ার দিকে সে চোখ তুলে তাকাতে পারে না, যে কিনা কিছুদিন হবে তার দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকে আর পায়ে পায়ে কিছু পথ পিছু পড়ে থাকে। কিন্তু সে কোনো রকম আগ্রহ দেখায়নি, তবে মন কি একটুও টানেনি! সেই কাচা বয়সেই তো বিছানায় শুয়ে পায়ে পা ঘষে কত রঙ্গলীলা কল্পনা করে সালোয়ার ভিজিয়েছে, সেখানেও কি সোপান ভাইয়ার দখল ছিল না? বরং মনটাও তো তখন আকুল হয়েছিল সে কিসের এক ভার তার হাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মুখে কোনো সায় ছিল না। রাতের সে দুঃস্বপ্ন তখনো হুটহাট রক্তের ভেতরে মিশে ভয় জাগাতো। কুহু তারপর দেখে সোপান ভাইয়াকে লাল গোলাপ নিবেদন করতে। এবার সে মুহূর্ত এক সোপান ভাইয়ার দিকে চোখ তুলে তাকায় কিন্তু গোলাপের দিকে হাত ওঠে না। তারপর সোপান ভাইয়া কেমন কাঁপা কণ্ঠে প্রেম নিবেদন করলে কুহুর কানে নগ্ন আর নোংরা শোনায় আর তলপেটের চাপ প্রবল মনে হলে গোলাপটা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো করে নিয়ে পেছন দিকে হাঁটা দেয়। সেই থেকে সোপান আরও কাছে ঘেঁষতে থাকে আর কুহু কাঁপা বুকে উভয় সংকট থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে থাকলে আচমকা একদিন পরিবারের সবাই মিলে ধরে বসে। বাবা হুঙ্কার ছাড়ে আর অন্ধ পশুর মতো গোঁ গোঁ করে, মায়ের চোখে আগুন যেন তরল হয়ে ঝরে আর বড়ো ভাইটা অনবরত দাঁত কটমট করে। আমাদের চোউক্ষু ফাঁকি দিবি ভাইবাছিস? মানসম্মান জলে ডুবাইবার বাকি কি রাইখাছিস হারামজাদী?
সহশিক্ষার স্কুল বদলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি হলে সোপানের টিকিটিও কোথাও আর দেখা যায় না আর নতুন স্কুলের ভেতরে যদিও প্রেম নিবেদনের কেউ থাকে না। তবে আসতে-যেতে পথে কেউ কেউ পিছু নেয়। কুহু শুধু পথই হাঁটে। তখন কি কুহু সত্যিই মরে গিয়েছিল কিংবা এখনো কতটুকু জীবিত? মনের ভেতরে কখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকায়।
জানালার ওধার থেকে আসা রোদে একটু একটু করে তাপ যোগ হয় আর কুহকি আড়মোড়া ভেঙে পাশ ফিরে শুয়ে আগের জায়গায় ফিরে যায়।
দীর্ঘদিনের ধূসর একতলা বাড়ি দোতলা হতে চললে কুহুর মনে একটু আনন্দ ঝলকে ওঠে। আশেপাশের বড় বড় সব বাড়ির মাঝে তাদের বাড়িটা দৃষ্টিকটূর মতো মনে হতো। এছাড়া একতলার ছাদ কেমন বদ্ধ লাগতো, এখন যদি একটু স্বস্তি হয়।
যেদিন কুহুরা নিচতলা থেকে ওপর তলায় বদলি হয় আর নিচতলায় ভাড়াটে আসে, ততদিনে কুহুর স্কুলে পড়া শেষ হয়েছে।
ছাদে ওঠার সিঁড়িতে একদিন মুখোমুখি দেখা হয়ে গেলে ছেলেটা মুখের ওপর থেকে সহজে দৃষ্টি নামায় না আর তাতে করে কুহু ফোঁস করে উঠেও নিজেকে সামলে নিয়ে নিচে নেমে যায়। কিন্তু তারপর থেকে দেখা হওয়াটা নিয়মিত হতে থাকলে কুহুর মনে সন্দেহ দেখা দেয় এবং যেদিন কলেজের পথে তার পিছু লম্বা পথ হেঁটে আসে, সেদিন সব সন্দেহ উবে যায়। কুহু ছেলেটাকে কাছে ডাকে আর ছেলেটা অতি উৎসাহে কাছে এসে দাঁড়ালে কুহুর দু’চোখে আগুন জ্বলে। এরপর থেকে পিছু নিলে সুস্থ থাকার আশা কইরো না। লজ্জা করে না যে আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাইকা আমারই পিছু নাও? কিন্তু এসব কথায় ছেলেটার কোনো বিকার হলো কি? কুহুর মনে দ্বিধা দেখা যায়।
ছেলেটা সত্যিই পিছু ছাড়ে না এবং ছাদে যে তার নিজের এক জগত বেড়ে উঠেছিল সে জগৎ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে ছেলেটা তাকে ভালোবেসেছে কিনা ছেলেটার আচরণ পোস্টমর্টেম করে শুভ কোনো লক্ষণ মনে ধরে না। ছেলেটার চোখ কেমন নির্মীলিত কিন্তু দৃষ্টি বড্ড চোখা মনে হয় যে, দৃষ্টির প্রখরতায় দেহ তার এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও কেন যে বাড়িতে অভিযোগ করেনি কুহু, সে এক দুর্বোধ্য রহস্য বটে, আকস্মিক সে পরিণতির জন্যই কি!
বর্ষার প্রথম দিককার একটি দিনও আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি। অতি খরায় পাড়া মহল্লায় চান্দিফাটা রোদে দাঁড়িয়ে ছেলেবুড়ো বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে রক্তের মতো মূল্যবান চোখের পানি ফেলে আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে ঘরে ফেরে। সেদিন দুপুরের আকাশে সত্যিই জলভরা মেঘ জমে আর ছেলেবুড়োরা রাস্তায় নেমে এসে চোখের জলের চেয়েও মূল্যবান জলের জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে। মেঘ যেন জলভরা কলস, বৃষ্টি নামে। কুহুর উতলা প্রাণ আকুলিবিকুলি করে উঠলে এক ছুটে ছাদে চলে আসে। আহা কামনার শীতল জল, হৃদয়ে ছোঁয়া লাগে। প্রিয়তম মিলনের মতো সে বাঁধন ছাড়া হয়ে ভিজতে থাকলে এক সময় শীতে শরীরে কাঁপুনি ধরায় আর তাই ছাদ থেকে নেমে যাওয়ার কথা ভাবতে ভাবতে সিঁড়ির ওদিকে তাকায়, দেখে দুটি চোখ তার ভিজে নগ্ন দেহের ওপরে আঠার মতো লেপটে আছে। রাগে কুহুর সারা শরীরে জ্বালা ধরায় কিন্তু চুপচাপ নিচে আসে আর ভাবে এবার একটা রফাদফা না করলেই নয়। সেদিন রফাদফা করার আগেই কুহু বিছানা ধরলে সন্ধ্যার পর ডাক্তার এসে শরীর মেপে বলে একশ তিন জ্বর। কিন্তু পাঁচ সাতদিন জ্বর শুধু কমতে আর বাড়তে থাকলে কুহু হাসপাতালের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। নাকের ডগায় চশমা পরা বুড়ো ডাক্তার নতুন রিপোর্ট দেয় যে, টায়ফয়েড এবং সে টায়ফয়েড থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে তার মহাকাল থেকে সতেরোটা দিন খসে যায়। কিন্তু ততদিনে নতুন জেগে ওঠা চরের মতো শরীরের হাড়-হাড্ডি চামড়ার তল দিয়ে উঁকি দেয় আর মুখেও সহজে রুচি ফেরে না। এমনি সময়ে নির্জন এক সন্ধ্যায় যখন কিনা তার শরীরে ও মনে অবসাদ জমতে জমতে রক্তে দূষণ ছড়াতে শুরু করে, সে বিছানা ছেড়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর ধীরেধীরে শরীরকে নগ্ন করে। অবাক হয়ে দেখে শরীরের হাড় হাড্ডি তো জেগে উঠেছে, উদ্ধত আর সুডৌল স্তন তো শীর্ণ হয়ে যায়নি, সামান্য একটু নুয়ে পড়েনি! আর তার যে খাবারে রুচি নেই, জিহ্বায় পানতা পড়ে গেছে, তবে কি কামেও অরুচি ধরেছে? এবার কুহু দু’হাত তার উদ্ধত স্তনের ওপরে রাখে। তারপর স্তনজুড়ে মৃদু মর্দন করতে থাকলে সহজেই নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসে। কুহুর মুখে এবার আলো পড়ে। জিহ্বা বিস্বাদ হয়ে গেলেও জৈবিক কামনায় তো অরুচি ধরেনি! এবার তার সে ছেলেটার কথা মনে হয় যে কিনা রোজ সন্ধ্যায় ছাদে গিয়ে দাঁড়ায়। আর তারও মুখে না হয় বিস্বাদ জমেছে কিন্তু কাম তো জেগে আছে আর ছেলেটার চোখে বৃষ্টিতে ভেজা সেদিনের সে স্তনজোড়াও তুমুল উদ্ধত নগ্ন। কুহু দ্রুত কামিজ আর সালোয়ার পরে নেয় আর তারপর অস্থির পায়ে সিঁড়ি বাইতে থাকে।
মন্তব্য