সারি সারি পিঁপড়ার দল। মাতাল তাদের চলন; মন-আনন্দে চলছে তো চলছে। ছুটছে তো ছুটছে। বিরামহীন এই ছুটে চলা—থালা, বাটি, জগ, মগ, ফ্লাস্ক, চায়ের কাপ, এঁটো মিঠে কেক, পেস্ট্রি, রুটি, তরকারি, ভাত, রাস্তা, পুল, সেতু, সড়ক, মহাসড়ক ধরে ধরে এই যে বিপুল ভয়াবহ পিঁপড়ের সারি; সত্যি ভয়াবহরকমের প্রতিযোগিতা।
পাখির চোখে এই দৃশ্যপাঠ কেমন? পাখির চোখে একটি বেশ-লম্বা উঁচু দালান থেকে দেখলে, প্রাণী নামক মনুষ্য সমাজকেও পিঁপড়ের মতো খুদে ও খুব ছোট মনে হয়। মানুষের চোখে এই দৃশ্যপাঠ কেমন? মানুষের দৃষ্টিতেও পাখির চোখ আছে। ব্যবধান শুধু সাইজ আর নাগালে। মানুষ চাইলেই, হাতেপায়ে ছোঁ-মেরে, নিমিষেই যেকোনো পতঙ্গ-পাখি-কীট-জীব-অণুজীবকে পিষিয়ে মিশিয়ে একেবারে গুঁড়ো গুঁড়ো করতে পারে; ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মতো, যদিও এর মধ্যে শত শত পতঙ্গ বা পিঁপড়াজন্ম হবে—পিঁপড়ারা বড় হতে হতে তাদের শরীরে পাঙ্খা গজাবে। এই পাঙ্খায় ভর করে মৃত্যু—অর্থাৎ ‘পিপীলিকার পাখা ওড়ে মরিবার তরে’ পর্যন্ত। এ-ই জীবন। এ-ই নিয়তি। এ-ই বাস্তবতা।
মানুষের শক্তি হলো ক্ষমতা। সে নিজেও জানে না, দৈত্যের মতো কত বড় ক্ষমতাবান। নিজের রুচি ও সূচিতে এইসব পিঁপড়া বা যেকোনো খুদে জীবের অস্তিত্ব সে কোনো মতেই স্বীকার করতে রাজি নয়। এই সব খুদে অস্তিত্বের গার্হস্থ্য জীবন; চলা ফেরা রাস্তাঘাট
সবটাকেই সে নিজের মনে করে। মনুষ্য সমাজ, তাদের সবাইকে দু’হাতের কবলে কব্জা করে নিয়েছে।
যেকোনো পতঙ্গ দল বা পিঁপড়ার মিছিলকে থামিয়ে দেওয়া যায়। নিত্য রসুইঘরের কোণা, ঘুপচি গলির ফাঁক অথবা তরল তেলের শিশির নিচে, মিছিলের মতো দলা দলা এরকম অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকের—রসুই ঘরের পাচক থেকে শুরু করে বাবুর্চিসহ সবারই কমবেশি অভিজ্ঞতার ঝুলি লটকে আছে, পাকের ঘরের পিঁপড়ার গল্প অথবা সড়ক, রাস্তা-মহারাস্তায় ছুটে চলা মানুষের নানান সব গল্প নিয়ে; শুধু পার্থক্য এই যে, দূর থেকে মানুষকে, পাখির চোখে পিঁপড়ে মনে হলেও তারাও এই পৃথিবীর অভাবনীয়-কত গল্পের সাক্ষী।
পৃথিবীর ত্বকের ওপরে শুধু মাটি নয়। ঘাস আছে। বালি আছে। পাথর আছে। রাস্তার কোনো নিভৃতে, সবুজ ঘাসের মসৃণ পিঠের ওপর একটি বাদাম লতা ফুটে আছে; ফুটে আছে কত শত পরগাছা—শুধু সভ্যতা নামক আত্মঘাতি পৃথিবীর চকচকে এক রঙিন চশমা, আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে মানবতাহীন একটি পৃথিবীর বৈপরীত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। কোনো লজ্জাবতী, লাজুকলতার মতো এক পলকে ঠিকই হাসি দিচ্ছে, কিন্তু সবার মাঝেই আবার জমা হচ্ছে পুঞ্জিভূত অভিমানী মেঘ। সেই মেঘ মাঝেমধ্যে দলা দলা হয়ে মাটির ভেতরে ঢুকে পড়ে। টর্নেডোর মতো মহা প্রলয়ঙ্করীর রূপ নেয়। অনেক সময় সেই মেঘই আবার, বাষ্পীভূত হয়ে, কোটি কোটি পানির কণা হয়ে হঠাৎ বৃষ্টি অথবা ঝড়ের রূপ নিচ্ছে।
যতই প্রমোশন হচ্ছে, ততই নিজের অবস্থান শক্ত হচ্ছে বলে মনে করছি। সার্বিকভাবে ততই এক অনবদ্য শক্তি নিয়ে আমরা ছুটে চলেছি।
কভিজ আলী। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের, বায়োলজির শিক্ষক। যিনি প্রতিদিন, উল্লেখিত এত্তসব অদ্ভুত পরিস্থিতি, ভাবনা-চিন্তা ও বৈপরীত্যের মুখামুখি হচ্ছেন। জীবের জীবনগঠন, জিন, কোষসহ প্রাণিজগতের নানা বিবর্তন নিয়ে তিনি কাজ করেন; জীবনের কতশত ফয়সালা করছেন—আশপাশের মানুষ হয়তো তাকে পাগল অথবা মেন্টাল ভাবতে পারে—এরকম জীবনও হয় নাকি! এ তো রীতিমতো পাগলের জীবন। মাঝেমধ্যে এভাবেই হয়তো পেয়ে যান, আপেক্ষিক তত্ত্বের একটি সরল মীমাংসা।
কভিজ আলি। প্রাণবৈচিত্র্য ও সৃষ্টিবৈচিত্র্যসহ প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের সঙ্গে জীবনকূলের মধ্যে বসবাসকারী পতঙ্গ থেকে শুরু করে একেবারে যেকোনো জীব-অনুজীব, জীবানু-বিজানু-আরশোলা-কেঁচো-কৃমি পর্যন্ত এমন কিছুই নেই, তার পরীক্ষার বিষয়বস্তু নয়। কারণ ইতোমধ্যে বড় ধরনের গবেষণামূলক দু’টি বইও লিখে ফেলেছেন তিনি।
চিন্তা-মেধায়-ধ্যানে, যেতে যেতে এত্তসব প্রবণতার নানাতল থেকে তলান্তরে ঢুকে যাবেন—সেটা বিস্ময়কর কিছু নয় যদিও বা। আজ সকালে, কভিজ ওয়াশরুমে গিয়ে হঠাৎ করে টাশকি খায়। টাইলস করা শক্ত দেয়াল ফুঁড়ে দাপটের সঙ্গে চলা-পিঁপড়াদের এই যে সারি সারি গতি; সত্যি সে অবাক হয়। দিনকে দিন এই সারি বড় হচ্ছে। তাদের বাড়বাড়ন্ত এমন পর্যায়ে চলে গেছে! সামনে ভারী বর্ষাও আসছে। শীতের খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য তাদের দৌড়ের শেষ নেই। অন্যদিকে আছে আরশোলা! শরৎচন্দ্রের সেই বিখ্যাত উক্তি—‘অতিকায়হস্তি লোপ পাইয়াছে অথচ তেলাপোকা এখনো টিকিয়া আছে’। সত্যিই তো। ঘরের চিপাচাপা মেঝের ফাঁকে। গাছের টুকরোর কার্নিশে। লেপ তোষক হাঁড়ি পাতিল থেকে শুরু করে, নির্জন বা কিছুটা নিশ্চুপ যে কোন জায়গাতেই এই তেলাপোকা। অদ্ভুত বিষয় হলো, এক এক তেলাপোকার শারীরিক গঠন ও ফিগার দেখলে রীতিমতো ভড়কে যাওয়ার মতো অবস্থা। যেখানেই সে নিজেকে সারভাইভ করেছে, সেখানেই দেহের কাঠামো বা অবয়ব অনেকটা পাল্টে পেলেছে। পাল্টে ফেলেছে চলন গতি!
বৈরি বাতাস, প্রচণ্ড রকমের গরম আর নরমকে মানিয়ে যে চলতে পেরেছে, মোটামুটি সে তার নিজের শরীর থেকে শুরু করে, জাগতিক সবধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সামনের দিকে চলমান থাকে; বলা যায়, এরাও সভ্যতার আরেক আইরন ম্যান। আমাদের চারপাশেই আছে। মোটা চোখে এদের দেখা যায় না—মহাপুরুষের এ এক অন্তহীন যাত্রা। খুদে পতঙ্গ বা পাখির জীবনেও আছে, প্রবল বৈরি পরিবেশের বিপরীতে, বিস্ময়কর অভিযোজন করে বেঁচে থাকার অদ্ভুত সব মন্ত্র।
আমরা এমন মানুষ, যারা সভ্যতার নাম দিয়ে প্রতিনিয়ত ছুটছি, চলছি ফিরছি। উন্নয়নের নামে পৃথিবীর বড় বড় অনেক জীব-অণুজীবের জীবনচক্র-বাস্তু সংস্থান ধ্বংস করেচলেছি। প্রতিদিন সকালে প্যান্ট শার্ট কোর্ট টাই পরে কৃত্রিম সুগন্ধির প্রলেপ মেখে, মাথা উঁচু করে বীরের মতো ছুটছি। সভ্যতা যতই উন্নত হচ্ছে, আমাদের মাথা, মগজ-ধ্যান ও চোখ ওপরের দিকে ততই উঠতে উঠতে গ্র্যাভিটি অব অ্যাট্রাকশানের ওপরে চলে যাচ্ছে। নিচের দিকে বিন্দুমাত্র তাকানোর সময় নেই। সত্যিই কি আমরা পেছাচ্ছি? অথবা আগাচ্ছি?
আমরা আসলে যতই নিজেদের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন মনে করছি, ততই নোংরা ও আবর্জনায় মিশে যাচ্ছি। ভরা-বর্ষার প্রাথমিক ছিঁটাতেই গলা গলা পানি, নিজের পায়ের নিচের সুন্দর জুতা মাড়িয়ে যখন গলা অব্দি সেই পানি উঠে যায়; তখনই বুঝতে পারি ব্যাপারটা কী! আবার নিজেও অনেক সময় বুঝতে পারি না, এই চকচকে সু-এর নিচে কাকেই বা পদদলিত করছি, কাকে পিষে মারছি, তার কি কোনো খবর আছে?
পেশাগত জীবনের প্রমোশন ছাড়াও প্রতি পদে পদে আমাদের প্রমোশন হচ্ছে। যতই প্রমোশন হচ্ছে, ততই নিজের অবস্থান শক্ত হচ্ছে বলে মনে করছি। সার্বিকভাবে ততই এক অনবদ্য শক্তি নিয়ে আমরা ছুটে চলেছি। পায়ের নিচে সজীব মাটি নেই, কংক্রিটের রাস্তার ওপর চলছি—তবু মনে করছি এটাই সজীব সরল রাস্তা—সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবনের ওপর ভর করছে, আরেক অদ্ভুত জীবন! আপাতভাবে মনে হয়, কতই না সরল ও সজীব এই জীবন ও যাপন!
পাঁপিয়া হুদা। কভিজের স্ত্রী। হঠাৎ ডাক এলো।
পাপিয়া—এই কোথায়?
কভিজ—আছি তো।
কিছু বললে?
পাপিয়া—না বলছিলাম। আজকেও একদলা পিঁপড়া—চিনির বয়াম, পাউরুটির বাক্স, দুধের ছানার ডেক্সির ওপরের ডিবি, ভাতের হাঁড়ির বরোনার সাইডে সাইডে পিঁপড়ার রাজত্ব। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, রাতের অন্ধকারে ঝাঁকে ঝাঁকে আসে তেলাপোকা। আমার না খুব অস্বস্তি হচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে! গতকাল ঘন-মাঝরাতে বেসিনের নিচে তাকিয়ে দেখে তো আমি তো থ! একটি মরা, বড় তেলাপোকার শরীর থেকে, রানের দুইটা বড় মাংশের দলা, খাবলা করে পিঁপড়ার দুইটা পার্টি দুই দিকে নিয়ে যাচ্ছে! দুই দিকেই দেখি পিঁপড়ার বিশাল মিছিল! মেজাজ আমার চড়া হয়ে গেছে; গা রি রি করছে। বাসা কবে পাল্টাবে বলো তো?
কভিজ কিছুক্ষণ ঝিম মারে; প্রায় তিরিশ সেকেন্ড পর উত্তর দেয়, এই তো আর কিছুদিন।
ওপার থেকে হঠাৎ সহধর্মীণির ডাক—এই? কই? কই তুমি? শুনছ?
নিয়মিত ফ্রেশ পানি। কোনো আয়রন বসে না। সুন্দর পরিবেশ। এই এলাকায় স্বাস্থ্যকর বাতাসের রাজত্ব আছে—এই বলে বলে কভিজ আলী তার স্ত্রীকে কনভিন্স করে বাসায় রেখেছে। অদূরে পাহাড়ের পাদদেশ। ফরেস্টের ঘন বন, সবমিলিয়ে পরিবেশ খারাপ নয়। এজন্যই অন্য সবের বেলায় স্ত্রীকে একটু সেক্রিফাইস করতে বললো কভিজ। যদিও মশার উৎপাত মারাত্বক না হলেও এখন পিঁপড়া আর তেলাপোকার অন্যরকম উৎপাত।
এভাবে একদিকে মানুষ, অন্যদিকে পিঁপড়া আর তেলাপোকার দুই খুদে পতঙ্গকুল, অস্তিত্ব রক্ষার তুমুল লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। দু’টাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ! গায়ে গতরে শরীরের কাঠামো বড় হলেই, বুদ্ধিশুদ্ধি বেশি বলেই যে মানুষ সবসময় জয়লাভ করবে এমন কোনো কথা নেই। কে কখন কাকে দমন করবে—ভাবতেই কভিজের পুরো শরীরে, ঘামের গায়ে কাঁটা দিয়ে আসে। অন্যদিকে স্ত্রীর তাড়া—সবমিলিয়ে এক জটিল অবস্থা।
যদিও এর মধ্যে কভিজ, পিঁপড়া আর তেলাপোকার শত প্রজাতি, তাদের বিস্তার নিয়ে রীতিমতো গবেষণা, অনুধাবন, অভিনিবেশ মিলিয়ে একটা ভারী অভিজ্ঞতাও সে সঞ্চয় করেছে। বায়োলজির শিক্ষক বলে, জীববৈচিত্র্য নিয়ে আগ্রহের জায়গা থেকেই হয়তো সে এইসব খুদে পতঙ্গ, জীব কীট সবকিছুর প্রতি আলাদা একটা মনোযোগ, কৌতূহল ও মায়া তার সবসময় থাকে। নানা পারস্পেক্টিভে বা অবজারভেশনে, মানবজন্ম নিয়ে তার বোধোদয়সহ একটি দার্শনিক-ভাবনাও জন্মেছে—মানুষ এখন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার এবং ধবধবে জীবন পছন্দ করে।
হঠাৎ করে সে ভাবে, আজ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের আগেও তো মানবজীবন, তার গতি প্রকৃতি ওঠা-বসাসহ সমাজ সভ্যতা প্রায় একই রকমের ছিল। জোর জবরদস্তি লুটপাট, খুনের জেরে, যারা যারা যেভাবে ঐশ্বর্য-প্রতিপত্তি আর বস্তু সভ্যতাকে বানিয়েছে; এই প্রবল প্রতাপে দেখা যাচ্ছে, এইসব নিরীহ প্রাণীজগতের জন্য তারা কোনো আয়োজন বা আবাসের অবশিষ্ট রাখেনি।
প্রকৃতিকে শাসন করে, তার পেট ও পিঠের ওপর জোর জবরদস্তি লোহা-লক্কর আয়রন কার্বনসহ ঢুকিয়ে—নানা রসায়নের এই কৃত্রিমজীবনে, আমরা শুধু আমাদের একটা সাইড নিয়ে ব্যস্ত; তখন পিঁপড়া আর তেলাপোকা নিয়ে করা, বউ আর নিজের বিরক্তি-অভিযোগের খনিকেও তখন কভিজ আলির আরোপিত মনে হয়; কেননা এই পতঙ্গকুল কোথায় যাবে? তাদেরও তো জীবন আছে। ক্ষুধা আছে। সংসার আছে। জীবন আছে, যাপন আছে, বউ, বাচ্চা কাচ্চা, দাদা দাদু, নানা নানিসহ আছে বিশাল পড়শি জীবন। মাঝেমধ্যে গৌতমের সেই অমীয়বাণী—’জীবহত্যা মহাপা ‘-এর কথাও স্মরণে আসে। আহা বোধের ভেতরটাকে ছেনিয়ে কী অমৃতবচন! কী অমৃতকথা। পরিষ্কার সভ্যতার নামে আমরা একরকম নিঠুর জীবনকেই যাপন করে চলেছি? মাঝেমধ্যে কভিজের মনের ভেতরে জন্ম হয় দার্শনিকতা বা নানা আচার ভাবনা—প্রকৃতি বিমুখ, অতি-পরিচ্ছন্ন জীবন মানে শরীর ও মনে কিছু বাধ্যগত অসুস্থতা নিয়ে চলমান থাকা—সত্যিই তো? আমরা সবাই কি তাহলে কমবেশি অসুস্থ? সাদা সভ্যতার এক পিঠে সবকিছু ছিমছাম আর গুছানো। কিন্তু অপর পিঠের সত্য-বাস্তবতা কী?
মানবজনম তাহলে এত্তসব বাস্তবতার ভেতরেও ঘুরপাক খাচ্ছে; এইসব নানাবিধ প্রশ্ন, আক্ষেপ—নিজের ভেতরেই অবদমনের একটা বিশাল উঁচু পাহাড় সে বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু শিখর ছোঁয়া হিমালয়সম এই অভিমানের ভাষা বুঝবে, পৃথিবীর সবচেয়ে সরল ও সংবেদনশীল কোন প্রাণিটি? ওপার থেকে হঠাৎ সহধর্মীণির ডাক—এই? কই? কই তুমি? শুনছ?
আরও পড়ুন: দীর্ঘ কবিতা