মা-বাবা ভাবে, সময় বড় বেপরোয়া, অথচ মেয়ে কুয়াশার শরীর বাড়ছে লাউডগার মতো; বানানো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা কঠিন; তার মতো মেয়ের জন্য আরও কঠিন। তবে কয়েক দিন ধরে মেয়ের অদ্ভুত কাজ ভাবিয়ে তুলেছে তাদের। পাগল হয়ে যাচ্ছে না কি মেয়েটা? প্রত্যেক ভোরে শিশিরের ফোঁটা জমিয়ে রাখছে সে। কিন্তু মা-বাবা জানে না, সেই রাতের রহস্য অথবা স্বপ্ন-বাস্তবতা অথবা কুহকের কথা।
এত সুন্দর চোখ, মুখ, রঙ, গড়ন মেয়েটার, অথচ সে কিনা প্রত্যেক ভোরে পাত্র হাতে দাঁড়িয়ে শিশির জমায়। তার বিশ্বাস, মাত্র একমুঠো শিশির হলেই মার মুখ থেকে শোনা কিসসার মতো হয়ে যাবে কিছু।
তার কল্পনায় আকাশের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ভাসে। আবারও ভাসে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে তার পরিবর্তনের চিত্র।
আকাশ ক্যাম্পাসের বন্ধুদের মা-বাবার চেয়েও আপন ভাবে, তাদের এত ভালোবাসাবাসি, এত প্রেম, এত আবেগ বাতাসে ভাসে যেন। জীবন যেন শঙ্খ-ঝিনুকের মতো অথবা সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা পাখিদের মতো, হৃদয়ে হৃদয়ে সম্পর্ক।
অলরাউন্ডার হওয়ার কারণে আকাশের ভাব আকাশ সমান, যেন তার নিচে বেড়ে ওঠে তৃণ, লতা-পাতা আর অর্ধনমিত মানুষ। ক্রিকেট, ফুটবল, থিয়েটার, আবৃত্তি—সব দিক দিয়ে তাকে হারানোর সাহস ওদের থাকার কথা নয়। সে কত সুন্দরীর হার্টথ্রব, কে জানে! অবশ্য এসব নিয়ে বন্ধু বিন্দুর সঙ্গে চলে তার অভিমান; চলে মুখ কালাকালি-গাল ফোলাফুলি। তবু তারা এখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি করে; তেপান্তর পার্কে যায়, সারকিট হাউস যায়, এগ্রি ভার্সিটিতে যায়। তবে সেসব স্থানে আকাশের মনে মনে কুয়াশাও কি উপস্থিত হয় না? তবে কেন বিন্দুর স্পর্শের সঙ্গে কুয়াশার স্পর্শ মিলে যায়? ভাবনার পরে ভাবনার ঢেউ ওঠে; বিন্দু আর কুয়াশার কুহকে কাটে কিছু সময়।
বন্ধু সুজনের বাবা-মা বাসায় না থাকলে আকাশ বিন্দুকে নিয়ে সেই বাসায় যায়। তখন ঊনসত্তর নম্বর চ্যানেলে চলে প্রজাপতিদের মিলনের দৃশ্য। কিন্তু দৃশ্যের অবসানের পরে আকাশের মনের কোনো এক কোণে অস্বস্তি লাগে; সব উত্তেজনা ও ভালো লাগা উবে যায়; অপরাধবোধ কাজ করে; কুয়াশার কথা মনে পড়ে খুব; মনে পড়ে এ রকম আরও কত সময়ের কথা; যখন তারা ছাদের এক কোণে কাটিয়েছে রাতের পর রাত।
এত এত আনন্দের মধ্যেও বেদনার রঙ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। দৃষ্টির অগোচরে টুপ করে মাকড়সা যেভাবে বাসা বাঁধে, ঠিক সেভাবে আকাশের শরীরে ক্যান্সার ঘর-সংসার শুরু করে।
এই খবর বিদুৎ বেগে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং কুয়াশার বুকে বিশাল এক ভাবনার পাহাড় জমা হয়। অনেকের কাছ থেকে জেনে সেও বুঝতে পারে—এ রোগে মানুষ বাঁচে না। তার সমস্ত দিন-রাত একাকার হয়ে যায়। কয়দিন আগেও তারা গভীর রাতে সময় কাটিয়েছে। কেউ জানেনি পর্যন্ত; সে টুপ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে; আকাশ বলেছে তখন নাকি আকাশে চাঁদ তারা কিছুই ছিল না। শুধু উত্তরের বাতাস আর শিশিরের কণা তাদের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমোতে চেয়েছে।
কুয়াশা তার মার কাছে জানতে পারে—আকাশের বাবা মাদ্রাজ নিয়ে যাবে তাকে। প্রতিবেশীরা বলাবলি করে—বড়লোকের বড় ঠ্যালা; এইবার তুই লুঙ্গি সামলা।
মাদ্রাজের ভালো হাসপাতালে চলে তার চিকিৎসা। কিন্তু একসময় তার বাবার টাকা শেষ হয়ে যায় অথবা শেষ হয়ে যাওয়ার ভান করে। তাই মাদ্রাজ থেকে একদফা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসে তারা। তখন বাসায় দলে দলে বন্ধুরা আসে। বাবা ছেলের বন্ধুদের বলে—বাবারা ক্যামনে বাঁচাবো আকাশকে? আমার আকাশ তো শ্যাষ; ত্রিশ লাখ টাকা শ্যাষ এই কয় দিনে। তখন বিন্দু, জীবন ও সুজন সান্ত্বনা দিয়ে বলে—আংকেল টেনশন করবেন না; দেখি আমরা কী করতে পারি। তারা ক্যান্সার আক্রান্ত বন্ধুকে বাঁচানোর জন্যে ক্যাম্পেইন শুরু করে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, হাটে-বাজারে, বাসে-ট্রেনে, টুইটার-ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে টাকা কালেকশন করে। তাদের মনে হয়, এই কাজটুকু করতে না পারলে তাদের মানসম্মান কিছুই থাকবে না। অল্প দিনের ব্যবধানে তারা আকাশের বাবার হাতে আঠারো লাখ টাকা তুলে দেয়। সিরাজগঞ্জ ক্যান্সার হাসপাতালে চলে তার থেরাপি।
এসব খবর শুনে কুয়াশা নতুন করে আশায় বুক বাঁধে। তার আকাশ মরতে পারে না। সে দিনে-রাতে দুআ করছে। তার দুআ বিফলে যেতে পারে না। এছাড়া তার দরকার মাত্র একমুঠো শিশির; পাত্রটিতে কেন যে একমুঠো শিশির জমা হচ্ছে না।
জীবন ও বিন্দু আকাশের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অথবা ফেসবুকে লাইভে আসে। তবে জীবন ও বিন্দুর সময় খারাপ কাটে না; বন্ধুর চিকিৎসার জন্যে টাকা জোগাড় করার সময় তারা আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তারা মাঝে মাঝে ঘুরতে যায়। ভোজনবিলাসে গরুর মাংসের কালো ভুনা খায়। আশিকের দোকানে চটপটি খায়। তবে কয়েক মাসের মধ্যে ফিরে আসে আকাশ। কুয়াশার দুআ কবুল হয়েছে তাহলে। তার মতো ইননোসেন্ট মেয়ের দুআ কবুল হবে না তো কার দুআ কবুল হবে?
কুয়াশা অপেক্ষা করে, কিন্তু আকাশ ক্যাম্পাসে সময় কাটায়। তার মাথায় থাকে ক্যাপ অথবা থাকে রুমাল দিয়ে মোড়ানো মাথার ওপরে ছাতা। সবাই তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। এবং আস্তে আস্তে সে আবারও ফেসবুকের রাজা হয়। আবারও বিন্দুর সঙ্গে চলে ঘোরাগুরি। আবারও জীবন দূর থেকে চেয়ে থাকে। কিন্তু সে যখন নতুন করে স্টেজে গান করে, খেলার মাঠে ছক্কা মারে, গোলবারে শর্ট নেয়, মিডটার্ম-এ ভালো নম্বর পায়, তখন বিন্দু, জীবন, সুজনের বুকের কোনো এক কোণে খচখচ করে, অস্বস্তি লাগে।
ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের মনে হয়, ক্যান্সারের সময় আকাশের রুম থেকে যে ল্যাপটপটা হারিয়ে যায় তার তুলনায় এখনকারটা আরও লেটেস্ট, আরও সুন্দর; তাই অনেকের ভেতরে জ্বালাপোড়া করে, কেউ কেউ মনে মনে বলে: ক্যান্সার না ঘোড়ার আন্ডা হইছে, ক্যান্সারের রোগী এত তাড়াতাড়ি ভালো হয় নাকি! সব টাকা কামানোর ধান্দা।
তখন পাখিদের ঘরে ফেরার তাগাদা স্পষ্ট হয় এবং বিন্দু আবারও জীবনকে ফাঁকি দিয়ে আকাশের একান্ত কেউ হয়; আর কুয়াশা অপেক্ষা করতে থাকে রাতের পর রাত।
সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে আকাশ। এবার প্রতিবেশীরা বলে: বড়লোকের বড়ো ঠ্যালা এইবার তুই জাইঙ্গা সামলা। তবে আকাশের কথা শুনে কুয়াশা ভেঙে পড়ে। তার দুআ মিথ্যা হতে পারে না। প্রতি রাতে যখন ঘুম আসে না অথবা ঘুম ভেঙে যায় তখন ছাদের কোণে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বসে পড়ে, কখনো বা ঘুমিয়ে পড়ে।
একদিন ফেসবুকে আকাশের ছবি পোস্ট করে জীবন; সেই ছবি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এটা আকাশ। কিন্তু তার কোনো খোঁজ নেই কুয়াশার কাছে। অবশ্য মার কাছে জানতে পেরেছে আকাশের অবস্থা ভালো না। কুয়াশা শিশিরের জন্য অপেক্ষা করে। আরেকটু হলেই একমুঠো শিশির জমে যাবে।
প্রতি রাতে ঘুমের মধ্যে আসে আকাশ। তার একান্ত আকাশ। একদিন এক অচেনা রাতে ঘুম ভেঙে গেলে বাবা-মাকে ফাঁকি দিয়ে চুপি চুপি উঠে এসেছিল বিছানা থেকে। তার জানা পথে জানা পায়ে জানা ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়েছিল। তখন মনে হতো জীবন এত সুন্দর; এত আনন্দের। এভাবে যদি বাঁচা যেত হাজার বছর। সব কথা মনে আসে, প্রথম দিনের কথা, প্রথম ছোঁয়ার কথা, প্রথম ব্যথার কথা। তার মতো মেয়ের জন্য এসব স্মৃতি ভোলা সম্ভব নয়। তাই চোখ দিয়ে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা শিশির। একটানা পড়তে থাকে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি, নিজের প্রতি ঘৃণা জন্ম নেয়। মা বলেছে, তার পাত্রে একমুঠো শিশির জমা হয়েছে। নাকি মা জল ঢেলে একমুঠো করে দিয়েছে? সব দ্বিধা সরিয়ে মনে আসে সেই আশ্চর্য ঘটনার কথা। সেটা স্বপ্ন না কি বাস্তব ছিল, তাও জানা নেই তার, যা রহস্যই রয়ে গেছে।
সেই রাতে উত্তর থেকে বিচিত্র ধরনের বাতাস আসে। সে কি শুয়ে আছে, তাদের ঘরে, না কি অন্য কোনো খানে? ঠিক ঠাউর করতে পারে না সে । তবে তার মনে হয়, একটা ভরাট কণ্ঠ বলছে: হে আদম সন্তান; তুমি কাঁদছো কেন? তোমার কিসের কষ্ট? তোমাকে একটা উপায় বলে দিচ্ছি; তুমি প্রতিদিন শিশির জমিয়ে শক্রবার গভীর রাতে সেই শিশির দিয়ে মুখ মুছে নেবে এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যাবে; ঘুমানোর আগে তোমার একটা ইচ্ছের কথা মুখে উচ্চারণ করবে; সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখবে তোমার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে; তুমি আর কাঁদবে না।
স্বপ্ন-কল্পনা অথবা বাস্তবের অসম সম্ভাবনা নিয়ে তার বারবার মনে হয় মার কাছ থেকে শোনা কিসসার কথা, সেখানে এরকম দরবেশ কত কী করে ফেলে। সেই দরবেশ কি চলে আসছে তার কাছে? তবে তার ভেতরে ভেতরে ব্যাপক উত্তেজনা কাজ করে। ইস, যদি সত্যিই এমন হতো!
এরপর থেকে কুয়াশা শিশির জমাতে থাকে। আজ মা জানিয়েছে পাত্রটিতে একমুঠো শিশির জমা হয়েছে। তাই দারুণ উত্তেজিত সে। কারণ, আজ শুক্রবার!
নিশ্চুপ এক রাতে সবার অগোচরে শিশির দিয়ে মুখ মুছে ইচ্ছে পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুখে চলে আসে তার চোখের কথা। তাহলে কি সে তার চোখকে বেশি ভালোবাসে? মানে নিজেকে? না, তখন সে জোর করে বলে, না, না, না, তার ভুল হয়ে যাচ্ছে, আসলে আকাশের কথা বলতে চায় সে এবং জোরে জোরে আকাশের সুস্থতা কামনা করে। তারপর মৃত্যুর মতো এক নিদ্রা আচ্ছন্ন করে ফেলে তাকে।
সকাল হয়ে গেলেও ঘুম ভাঙে না কুয়াশার । চিকচিক করে রোদ এসে পড়ে বিছানায়। আলোর বন্যা বয়ে যায় যেন। চোখ খুলতেই একটা আলোর ঝিলিক তাকে হত্যা করে যেন; সে সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলে; এরকম হয়নি তো কখনো। কী হয়েছে তার চোখে? তখন চোখ বন্ধ করে রাতের কথা কল্পনা করে সে। দারুণ এক ভয় অথবা উত্তেজনা তাকে ঘিরে ধরে। তারপর একটু একটু করে তাকায়; কিছু একটা তার সামনে যেন; হ্যাঁ চোখের সামনে ভাসছে সমস্ত কিছু; কিন্তু তার কল্পনায় যে ছবিগুলো ছিল সেগুলোর সঙ্গে কিছুই মিলছে না কেন? তবে প্রতিদিনের অভ্যস্ততায় ও হাত দিয়ে স্পর্শ করে বুঝতে পারছে এটা বালিশ, এটা লেপ, এটা তার হাত-পা, নাক-মুখ। সে শুনেছে আয়নায় নিজেকে দেখা যায়; রুমের কোন্ পাশে আয়না আছে তা তার জানা আছে। এক লাফে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। একটা দানবের ছবি যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে; ভয়ে আঁতকে ওঠে সে । এটা কে? সে নাকে-মুখে হাত দেয় । হ্যাঁ, এটা তো সে-ই; কিন্তু তাকে সবাই এত সুন্দর বলে কেন? কেমন উঁচু-নিচু মুখ! সে জোরে চিৎকার দেয়। মা বলে, কী হইছে রে । কিন্তু সে আবারও চিৎকার দিলে মা দৌড়ে আসে। মা আসছে, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটা আসছে; মায়ের পায়ের শব্দ পর্যন্ত তার জানা আছে। মা ঘরে ঢুকেই বলে, কী হইছে তোর? এমনে চিল্লাইতাছস ক্যায়া? স্বর শুনে বুঝতে পারে এটা তার মা। কিন্তু মা এমন! সঙ্গে সঙ্গে বাবা আসে। বাবা এমন! তাহলে আকাশ কেমন? মানুষ বুঝি এমনই হয়! একটু ভেবে নেয় সে; মা প্রশ্ন করে যায়; বাবা প্রশ্ন করে যায়; কিন্তু জবাব আসে না। তবে মনের কোণে দ্বিধা জাগে, মানুষ এত কুৎসিত অথচ জন্মের পর থেকে সে শুনে আসছে মানুষ সবচেয়ে সুন্দর।
তখন নিচতলা থেকে বিলাপের শব্দ আসে। কে যেন বলছে আকাশ মারা গেছে। আকাশের মৃত্যুর খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। ফেসবুকে চলে শোকের মাতম; যাদের সঙ্গে তার কোনো দিন কথা হয়নি, তারা পর্যন্ত স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট দেয়। তবে সেই শোকের মধ্যেও অজানা এক তৃপ্তি থাকে। ফেসবুকের পোস্টগুলোতে কমন একটা কথা থাকে: লাউ ইউ ব্রাদার, অনেক, অনেক। হাজার চেষ্টা করেও আপনাকে ধরে রাখতে পারলাম না, আল্লাহ্ আপনাকে জান্নাত দান করুণ, আমিন।
আকাশ মারা যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তিনটি খবর পাওয়া যায়:
ক. আমেরিকা ফেরত এক ছেলের সঙ্গে কুয়াশার বিয়ে হয়েছে।
খ. জীবনের সঙ্গে বিন্দু সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়েছে।
গ. আকাশের বাবা ত্রিশাল বাজারে একটা শপিংমলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে; যার নাম রাখা হয়েছে ‘আকাশ টাওয়ার’।