এক.
তাড়া নেই ইমতিয়াজের। টানা পাঁচ দিন ছুটি। অফিসের সবাই ছুটছে বাড়ির দিকে। পাঁচতলা অফিসটার নিচতলায় বসে আছে সে।
ইমতিয়াজ চোখ বন্ধ করে ডেস্কে মাথা রাখে। কিছুই ভালো লাগছে না। চেয়ারটা সরে যায় বারবার। চাকা নষ্ট হয়তো। কিছু একটা ভাবছে সে। লাকি এসে ঘুরে গেছে একবার। ইমতিয়াজের জুনিয়ার হলেও মেয়েটা তার খোঁজ-খবর রাখে। হামিদ বসে আছে সেই কখন থেকে ওর সঙ্গে লাইব্রেরিতে যাবে বলে। ব্রিটিশ কাউনসিলেও যাওয়ার কথা। হামিদের সঙ্গে ওর জমে ভালো। ছেলেটা অনেক বই পড়ে। মাঝে মাঝে ইমতিয়াজকে দিয়ে বলে, ‘পড়েন ভাই, এটা ভালো বই’। ইমতিয়াজেরও পছন্দ সেই সব উদ্ভিদ বিষয়ক লেখাপত্র। কখনো দুই-একটা বই রেখেও দিয়েছে, হামিদ কিছু বলে না, হাসে শুধু। কারণে-অকারণে এই লাকি মেয়েটা ঘুর ঘুর করে ওর পাশে, হামিদ তো সরাসরি বলে, ভাই, লাকি আপনারে পছন্দ করে, আপনি বোঝেন না?
—আরে না! আর হলেও বা কী আসে যায়, আমার টাইম নাই।
দুই.
আফিস ফাঁকা। সবাই চলে গেছে। হামিদও একটা এসএমএস করে বেড়িয়ে পড়েছে অফিস থেকে, ভাই, পিচ্চির দোকানে আসেন, চা খাই।
লাকি এসে দাঁড়িয়ে ছিল কিছুক্ষণ—স্যার অফিস বন্ধ, আপনি বাড়ি যাবেন না?
ইমতিয়াজ কথাটা শুনেও উত্তর দে নি। লাকি চলে যাওয়ার পর চোখ খোলে সে। পাঁচতলা দিকে যেতে যেতে সিঁড়িটায় পা ফেলে মনে হলো, আজ তাহলে নিজের মতোই থাকবে। যা ভালো লাগে, যা খুশি, তাই করবে।
ল্যাপটপের ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই ওপরে উঠছে ইমতিয়াজ। কতবার এই সিঁড়িগুলো পেরিয়েছে সে কিন্তু আজ এমন লাগছে কেন? উল্লাসে ফেটেপড়া কয়েকটা দিন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে—আহা! একা, সম্পূর্ণ একা! এই ‘ফিফ্থ ফ্লোর’টা এখন তার দখলে।
সুনসান চারদিক। দুই-একটা পাখির ডাক ছাড়া কিছুই শুনতে পাওয়া যায় না। খুব বেশি সময় লাগেনি দরজাটা খুলতে। মিনিট তিনেকের মধ্যেই ইমতিয়াজ দরজার লক খুলে ফেলে। টেকনিকটা আগেই জানা ছিল। ফাইনালি! বসের রুমে ঢুকতেই মনে হলো কিছু একটা জয় করেছে সে! একলাফে সোফাতে বসে পড়লো ইমতিয়াজ। ব্যাগটা কাঁধ থেকে নামাতে গিয়ে মনে হলো, এটা ফ্লোরে রাখবে না সে। বসের টেবিলেই বসাবে ল্যাপটপ। এখন থেকে এইসব কিছু তার, সোফা, রিভলবিং চেয়ার, বিশাল মার্বেলের টেবিল আরও কত কী! ফিফ্থ ফ্লোরের সব কিছুই তার। সব কিছু। তার সবচেয়ে প্রিয় ক্যাকটাস গাছটাও!
বসের রুমে এলেই ইচ্ছা হতো একবার ছুঁয়ে দেখতে। হয়নি কখনো। আর ইচ্ছা হতো মার্বেল টেবিলে রাখা চকলেট প্যাকেটগুলো খুলে ফেলতে। একটা কলমের হোল্ডার ছিলো, সিগ্রিন, ওটা আজ দেখতে পাচ্ছে না। কী জানি কোথায় রেখে গেছে সে!
তিন.
বস ছুটিতে, আজ দুইদিন হলো। সবার আগেই তার ছুটি শুরু হয়। এমন এক কাঠখোট্টা মানুষ। পাহাড়ে নাকি বেড়াতে গেছে, ইমতিয়াজ ভেবে পায় না। শুধু ভাবে সত্যি কি সে গেছে! এই ফিফ্থ ফ্লোর নিয়ে কত কথাই না হয় অফিসে। ইমতিয়াজ শুধু শুনে যায়, বলে না তেমন কিছু, বসের জীবন নিয়ে কত কথা! বকা-ঝকা তো আছেই। ইমতিয়াজ শান্ত স্বভাবের বলে খুব একটা ঝামেলা হয়নি কখনো তার সঙ্গে। এছাড়া চাকরিটাও তার খুব দরকার।
সোফায় বসে আছে ইমতিয়াজ। অফিসে কেউ নেই। এতক্ষণে হয়তো মেইন গেটেও তালা দেওয়া হয়ে গেছে! তাতে কিছুই আসে-যায় না ইমতিয়াজের। বসের রুমে তালা ভেঙে বসে আছে সে! কী চায় ইমতিয়াজ, কী! তিন পাঅলা একটা টেবিল। সোফার পাশে। গোল। বেশ উঁচু। জানালার পাশে সাইড টেবিলে ক্যাকটাস। এই টবটা মাটির কি না, বোঝার জন্য টোকা দেয় ইমতিয়াজ। আরেকবার টোকা দিয়ে কান পেতে শোনে। আজকাল আবার প্লাসটিকের টবও মাটিরঙা হয়। টবটা হাতে তুলে নেয় ইমতিয়াজ। এটা মাটির টব! বাহ! খুব কাছে থেকে দেখে ক্যাকটাসটাকে। কাঁটার ভিড়ে কতটুকু সবুজে তাকে চেনা যায়? কষ্টসহিষ্ণু এ ক্যাকটাস শেষ কবে ভরা নিশ্বাস নিতে পেরেছিল কে জানে!
জায়গা বদল হয় টবটার, কখনো মার্বেল টেবিলে, কখনো সাইড টেবিলে, কখনো কখনো বারান্দার একপাশেও জায়গা হয়।
ইমতিয়াজ খুব বেশি আসে না ফিফ্থ ফ্লোরে। বস ডেকে পাঠালেন সপ্তাহে দুই কী তিনবার। তবে প্রতিবারই বিশ পঁচিশ মিনিট কেটে যায় এই ঘরে। এত নির্দেশ, এত উপদেশ! ইমতিয়াজ শুধু শুনে যায়, কিছু বলে না, তিনি কথাই বলে যান। তবে টেবিলে এই টবটা থাকলে তেমন খারাপ লাগে না ইমতিয়াজের। এক দৃষ্টিতে টবের দিকেই তাকিয়ে থাকে সে। সঙ্গে কাগজ থাকলেও কিছু লেখা হয়ে ওঠে না। নোট না নিলেই সুবিধা। একটু পরেই হয়তো ফোনে কথা হবে বসের সঙ্গে, এত কথার সারাংশ হবে দুই মিনিটে!
চার.
অন্ধকার। আলো নেই কোথাও। বাতিটা নিভিয়ে রেখেছে সে। পাশের বিল্ডিংয়ে কোনো এক জানালা খোলা আছে। এতটুকু আলোতেই যা দেখা যায়। রিভলবিং চেয়ারটা দুলছে, সামনে ক্যাকটাস। ইমতিয়াজের কথা বলতে ইচ্ছা করে। কারও সঙ্গে। কে আছে এখানে?
—কেঊউ নেই, এখানে কিচ্ছু নেই। তুমি একা ইমতিয়াজ।
—আছে, এই যে ক্যাকটাস আছে আমার সঙ্গে। ওর সঙ্গেই কথা আমার। অনেক কথা।—নিজেকে নিজেই বলে গাছটাকে আরও কাছে টেনে নেয় ইমতিয়াজ।
—অন্ধকার ভালো লাগে বুঝি?
—হুম।
—আমি জানি, তুমি আধার ভালবাসো।
—তুমিও বাসো!
—এই যে সারাবেলা একা থাকা, মন খারাপ হয়?
—যদি আমি একা হই, তুমিও তো একা।
—আমার কী ইচ্ছা হয়, জানো? কাঁটা ছুঁয়ে দিতে!
—দাও, তবে ক্ষত হবে জেনো।
—নাহ, আমার কিচ্ছু হবে না।
—এই তো, আমি। একলা মরুভূমি।
—আমি কে তবে, তোমার বন্ধু নই তো কী!
—তোমার কাছে একই প্রশ্ন করি যদি!
—তুমি বললেই কাঁটার ভিড়ে আমি তোমার সবুজকে ছুঁয়ে দেখতে চাই।
—দেখো, এ বড় গভীর আর মসৃণ।
—ভেঙে দিলে কাঁটা, ব্যথা আমিও পাবো জানি, তবুও…
—আমি আর তুমি! এ ব্যথা পরস্পর, গহীন!
সে ভাবে এ কোন লু হাওয়া বইছে আজ? আঙুলে বিঁধলে কাঁটা সে ভেঙে দেয় আরও। ক্যাকটাসের গা ঘেঁষে রক্ত! সবুজ কী লাল, চেনা যায় না এ গাছের রঙ। চোখ বুজে আসে ইমতিয়াজের। আজ কতদিন পর সে শান্তি পেলো নিজের রক্তস্রোতে। গাছটাও নিশ্চুপ এখন।
তারপর থেমে থেমে কথা হয়, ইমতিয়াজ বলে—কী এত ভাবো তুমি?
—আকাশ, যে দূর! যে দৃশ্য থেকে দৃশ্য বদলায়।
—আমিও ভাবি, অনেক, এই সব চাকরি-টাকরি আমার ভালো লাগে না, কোথাও চলে যেতে মন চায়, দূরে কোথাও।
—তুমি তো চলেই যাও, ফের আসো তো, আবার যাও।
—একটা কথা বলবো?
—বলো।
—আচ্ছা থাক, আমি জানি, তুমিও সেই মানুষটার মতোই ভাবলেশহীন, আমার বস আর তুমি দুজনই!
—আমি কি সত্যি কারও মতো?
—এভাবেই থাকো, এখানেই, শত বছর!
পাঁচ.
ঘুম আসে ওর। সোফায় এলিয়ে পড়ে ইমতিয়াজ। আজ খুব বেলা করে ঘুম ভাঙে। একটা বোতল। পানি আছে অল্প। তেষ্টা বেড়ে যায় ইমতিয়াজের। পানিটুকু শেষ করে দ্রুত। গড়িয়ে পড়ে কয়েক ফোঁটা মেঝেতে। আর কিছুটা পানি টবে দিতে গিয়ে ভাবে, না থাক আরও একটু ঘুমাক গাছটা। রাতে দেরিতে ঘুমিয়েছে সেও। রক্তের দাগ এখনো কালচে হয়নি ওর শরীরে। সবুজে ছোপ ছোপ ক্যাকটাসে কী এক মানচিত্র এঁকে দিয়ে সে বলেছে, নামবিহীন এ সম্পর্কের কোনো রঙ নেই। আছে ব্যথা, কাঁটার আদর।
ঘড়িটা খুলে রাখে মার্বেল টেবিলে। টবকে নিয়ে বারান্দায় চলে যায় ইমতিয়াজ। আলো-হাওয়ার এ বারান্দায় গাছটা প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেয়। ইমতিয়াজ চায় বৃষ্টি না আসুক। আকাশের এই মেঘ মেঘ খেলাটা ভালো লাগে ওদের। এ রেলিংয়ের ধারে আগে কখনো আসেনি ইমতিয়াজ। ফিফ্থ ফ্লোর বলে কথা! এক্কেবারে টপ ফ্লোর! বিশাল জানালাগুলো মুখ হা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে যেন! বস রুমে থাকলে কি আর মন খুলে দেখা যায়? এই এক অদ্ভুত মানুষ। ঠোঁটে কোনো হাসি নেই, গল্প নেই, কাজে ডুবে যাওয়া ওয়ার্কহোলিক একটা! মানুষ নয় বরং রোবটই মনে হয় তাকে। সত্যি কি বেড়াতে গেছে সে পাহাড়ে? অফিসে কত সত্যি-মিথ্যা কথা শোনে রোজ। এখন হঠাৎ যদি অফিসে ফিরে আসে! হঠাৎ! ইমতিয়াজের কেমন যেন লাগে। ভয় নয় বরং অপ্রস্তুত সে। আসতেই পারে। চাবি আছে তার কাছে। শুনেছে ছুটির দিন মাঝে-মধ্যে অফিসে বসে একাই কাজ করে বস। অবশ্য ঈদের ছুটিতে আপনজন ফেলে এখানে অফিসে কী কাজ তার? হাসি পায় ইমতিয়াজের, নিজের কথা ভেবেই। কোথাও কেউ কি নেই তার, কোনো আপনজন? টবের দিকে ফিরে তাকায় সে। আপনজন বলতে এই গাছটাই। গল্পচ্ছলে যাকে ছুঁয়ে দেখা যায়, যার সঙ্গে কথা বলা যায় নির্বিঘ্নে!
ছয়.
তৃষ্ণা পেলো কী ক্ষুধা, ঠিক বুঝতে পারে না ইমতিয়াজ। বোতলের পানি নেই। একফোঁটাও না। বাথরুমে পানি খেতে গেলে মুখ গড়িয়ে শার্ট ভিজে যায়। গুন গুন, গুন গুন! কানের পাশে নিজেই গান গায় ইমতিয়াজ। আজ সে একটা গান শোনাবে ক্যাকটাসকে।
—ভায়োলিনে আমাকে শুনতে পাও তুমি?
—পাই, পাখিরা বাজায়। ঠোঁটে হাওয়া কেটে কেটে আর যখন তুমি নিজের ভেতর হাঁটো!
—আমি থেমে গেলেও শুনতে পাবে ভায়োলিন, সেই গলির ধারে।
—হ্যাঁ, ওখানে বসন্ত। আমার জীবন প্রোথিত এক গান।
—নিবিড় অথচ কাছে নয়, দূরে কোথাও।
—মনে হয় তোমার ভেতর-বাহির।
একটা গান ভেঙে ভেঙে নেমে যায় রাতের অন্ধকারে। গাছ ও ইমতিয়াজ কে কার সুরের নেশায় বুঁদ হয়, কে জানে!
সাত.
ড্রয়ার খোলার শব্দে চমকে যায় ক্যাকটাস! অভ্যাস নেই বলে ইমতিয়াজ ঠিকমতো খুলতে পারছে না। খয়েরি-নীল প্যাকেট, চকলেটই হবে হয়তো। দুই-তিনটা খোসা এখানে সেখানে ফেলে রাখে ইমতিয়াজ। ক্ষুধা লাগলেও চকলেট খেতে খুব একটা ভালো লাগে না এখন তার। অদ্ভুত! আজ বোধহয় তিন দিন হলো, এইভাবে পুরো অফিসের ফিফ্থ ফ্লোরে সে একা। ক্ষুধা ও তৃষ্ণাকে প্রায় জয় করে ফেলা ইমতিয়াজ হাসানের কেবল ক্যাকটাসের সঙ্গ ভালো লাগে।
কার্পেটে শুয়ে আছে সে। শো শো শব্দ শুনতে পায় ইমতিয়াজ। জানালাটা খুলে দিয়েছে সেই কবে। এ জীবন গাছের জীবন, সুনসান এই দুপুরের কী মায়া আছে ইমতিয়াজ ভেবে পায় না! অভিমান হয়, তার অভিমান হয়, গাছটা একবারও কি নিজে থেকে কথা বলবে না!
—তুমি কি দুপুর বোঝো?
—তোমার ভেতর এলিয়ে থাকা আমার সময়।
—তুমি একটা হৃৎপিণ্ডের মতো দুপুরকে অস্বীকার করতে পারো? এই যে লাফিয়ে চলা একটা দুপুর!
—না, পারি না!
—হুম তুমিও বসের মতো, বিকারহীন, একা!
—আমি ঠিক একা নই, তুমিও নও।
—যোজন যোজন দূরত্বে আমি থাকতে চাই না, আমি পারবো না!
ক্যাকটাসের থেমে থাকা, ইমতিয়াজের থেমে থেমে কথা বলা, এরই মাঝে বাম পাঁজরের কোথাও লাফিয়ে চলে কেউ!
আট.
সিঁড়িতে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। থেমে থেমে কেউ উঠে আসছে ওপরে। ফিফ্থ ফ্লোরে। চাবিটা হাতেই ছিল রুবিনার। দরজা খুলতে গিয়ে তার মনে হলো ছুটির আগে তালা লাগাতে ভুলে গিয়েছিল কি? হতেই পারে! স্নিগ্ধ এক সুবাস ছড়িয়ে আছে চারিপাশ। গুমোট কোনো গন্ধ নেই! তাহলে কি জানালাগুলোও খোলাই ছিল?
এ কথা ভাবতে ভাবতেই রুবিনার চোখ পড়ে ফ্লোরভর্তি চকলেটের খোসা, পানির বোতল আরও কী সব! কে এখানে? কে শুয়ে আছে! কালচে দাগে প্রায় কাঁটাহীন একটা ক্যাকটাস শুয়ে আছে ইমতিয়াজের পাশে। উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা মানুষটাকে চিনতে ভুল হয় না রুবিনা হকের! একটা চিৎকার দিতে ইচ্ছা করে তার! ফিফ্থ ফ্লোরে তালা ভেঙে ঢুকে পড়া ইমতিয়াজ হাসানকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে দিতে চায় রুবিনা হক, এক্ষুনি!
হাত-পা অবশ হয়ে আসে তার, গলায় থেমে থাকা চিৎকার থমকে যায়! একটা অদ্ভুত সকাল আটকে থাকে চোখের ভেতর।
সে ভাবে ছেলেটার এলোমেলো ঝাকড়া চুলে কতদিন কেউ একবারও হাত রাখেনি, কে জানে! সোফার পাশে কার্পেটে বসে পড়ে রুবিনা। এখনো অঘোরে ঘুমাচ্ছে ইমতিয়াজ। রুবিনা জানে, সেই কবে থেকে ক্লান্ত প্রায় এ মানুষটা আধো ঘুম আধো আলোয় তাকে শুধু কাছে টানে। যার বাম পাঁজরে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে ক্যাকটাসরূপী রুবিনা হক।