ছয় হাত দৈর্ঘ্যের ঘরটিতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও থাকতে হচ্ছে জাকির হোসেনকে। গত দুইদিন ধরে সে এখানে আছে। এটি তার ঘর নয়, সরকারি হাসপাতালের কেবিন। বিছানায় শুয়ে থাকা ১৮ বছর বয়সী ছেলেটির করুণ মুখ কিছুক্ষণের জন্য ভুলে থাকতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই ঘরটির দেয়ালে অপলকভাবে তাকিয়ে আছে জাকির হোসেন। দেয়ালের ঠিক শেষপ্রান্তে ক্ষুধার্ত টিকটিকি একটি পোকাকে গিলে খাওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে। টিকটিকির শিকার কৌশল ও নগণ্য পোকার পলানোর এই লড়াই দেখতে দেখতে জাকির হোসেনের কানে আসে ছেলের গোঙানির শব্দ।
মাস দুয়েক থেকেই জন্ডিসে ভুগছিল ছেলেটি। হঠাৎ করে জ্বর আসে। এরপর হাসপাতালের করুণায় এখানে ঠাঁই হয়েছে তার। ছেলেটির বুক গঞ্জের কামারের দোকানে কর্মব্যস্ত হাপরের মতো ওঠানামা করছে। একবার উঁচু হয়, একবার নিচু হয়। জাকিরের মনে হচ্ছে, তার ছেলে বড্ড ক্ষুধার্ত, পৃথিবীর সমস্ত ক্ষুধা যেন তার পেটে ঢুকে পড়তে চায়।
এবার দেয়ালে থাকা সেই ক্ষুধার্ত টিকটিকি টিক টিক শব্দ করে ডেকে ওঠে। সম্বিত ফেরে জাকিরের তার কানে জাকিরের কানে এই টিকটিক শব্দ ‘ঠিক ঠিক’ বলে মনে হয়। ছেলের বিছানার পাশে ক্লান্ত চোখে বসে থাকা জাকির হোসেনের মনে প্রশ্ন জাগে কোনটা ঠিক? ছেলের অসুখ, বহু হাসপাতাল ঘুরে দরিদ্র বাবার এই হাসপাতালে ঠাঁই হওয়া, চিকিৎসকের দেখা নেই, নার্সরা আসছে না! এগুলোর কি সবই ঠিক? এগুলো কি নিয়তির ফাঁদ!
গত দুই দিন ধরে জ্বর তার বেড়েছে। হতে পারে জন্ডিস ছড়িয়ে পড়েছে শরীরের ভেতর অন্য কোথাও। তাই তো ছেলের এই হাল।
অসুস্থ পেট থেকে উগরে ওঠা বমির মতো প্রশ্নগুলো জাকিরের মাথায় তোলপাড় তোলে। সে তো আসলেই নিরুপায়। এই হাসপাতালে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো দাম নেই। কেবল সে ভাবে এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করুণার কথা। এতেই সে শান্তি খুঁজে নেয় মনে। দূর গাঁ থেকে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে এই রাজধানী শহরে আসা। চেনা নেই, পরিচয় নেই এই হাসপাতালের ছোট রুমটি তার জন্য ছেলের বদৌলতে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
গ্রাম থেকে ছেলেকে ঢাকায় আনার সময় অ্যাম্বুলেন্স জোটেনি তো কী হয়েছে, একটা সিএনজিচালিত অটোরিকশা তো জুটেছিল। বাড়তি টাকা পরিশোধের শর্তে একটা অ্যাম্বুলেন্স অবশ্য জোগাড় করতে পেরেছিল কৃষক জাকির হোসেন। কিন্তু ছেলের জ্বর বেশি থাকায় বেঁকে বসেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। গলাকাটা কবুতরের মতো চোখের সামনে ছেলে তার ছটফট করলেও মন গলেনি অ্যাম্বুলেন্স চালকের। বরং অ্যাম্বুলেন্সটি সাইরেন বাজাতে বাজাতে ফিরে যায় তার গন্তব্যে। জাকিরের মনে হয়, অ্যাম্বুলেন্সের হুইসেল নয়, তার ছেলে কাঁদছে। মাইলের পর মাইল সে কান্না ছুটতে থাকে। এরপর এক অটোরিকশার কল্যাণে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই শহরে আসা।
প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ছেলের জ্বর বেশি থাকায় জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয় বার্ন ইউনিটে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। হাতে থাকা পুরনো কাগজপত্র আর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণপত্র দেখিয়ে জাকির হোসেন বলতে চান, ছেলের জন্ডিস, হঠাৎ করেই জ্বর এসেছে। ভাইরাস-টাইরাস কিছু না। গত দুই দিন ধরে জ্বর তার বেড়েছে। হতে পারে জন্ডিস ছড়িয়ে পড়েছে শরীরের ভেতর অন্য কোথাও। তাই তো ছেলের এই হাল।
হাসপাতালের চিকিৎসক সরকারি কাগজে ছাপানো হাতের তালু সমান প্রেসক্রিপশনটি লিখতে লিখতে জানিয়ে দিলেন ‘যা বলছি তাই করুন, কাগজপত্র এখানে দেখানোর কাজ নেই। আপনার ছেলের শরীরে জ্বর। হি মে বি সাসপেকটেড কোভিড-১৯। ইউ হ্যাভ টু গো দেয়ার। আই মিন বার্ন ইউনিট।’
জরুরি বিভাগ থেকে বেরিয়ে ট্রলি হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকটির কাছে কাগজ এগিয়ে জাকির হোসেন গন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, দুইশ টাকায় রফাদফা হলে তিনি অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে যাবেন বার্ন ইউনিটে। ছেলের ভাইরাস থাকলে ওখানেই চিকিৎসা হবে তার।
সিদ্ধান্ত বদল করেন জাকির হোসেন। কথা না বাড়িয়ে তিনি ছুটে যান সঙ্গে থাকা সিএনজিটির কাছে। সিএনজিচালক তখন আবছা ঘুমে বিভোর। পাঁজাকোলে করে অসুস্থ ছেলেটিকে নিয়ে সিএনজিচালকের দরজার কাছে গিয়ে জোরে বললেন, চলো হাসপাতালে।
আবছা ঘুমের ঘোর কাটিয়ে সিএনজি চালক বললেন, আপনারে না হাসপাতালে লইয়া আইলাম। দেশের বড় হাসপাতাল। এখানেই চিকিৎসা করেন।
জাকির হোসেন বিরক্ত হয়ে বলেন, যা বলি তাই করো মিয়া। অন্য হাসপাতালে লও।
-কোন হাসপাতালে যাবো?
-তোমার চিনপরিচয় আছে কোনো হাসপাতালে?
-চলো যাই।
জাকির হোসেন ছেলের কপালে হাত রেখে দেখেন তার জ্বর আরও বেড়েছে। বৈশাখ মাসের মাটি চৌচির করা রোদের মতো ছেলের কপাল থেকে বের হচ্ছে উষ্ণ হাওয়া।
সিএনজিচালকের পরিচিত হাসপাতালে আসার পর দেখা দেয় আরেক বিড়ম্বনা। হাসপাতালের অভ্যর্থনা ডেস্কে থাকা লোকটি হিসাব-নিকাশ করে যা বললেন, তার অর্থ হলো আগামী সাতদিনে যদি এখানে ভর্তি রাখতে হয়, তাহলে লাখখানেক টাকার মামলা।
-টাকা কি আছে? টেবিলের সামনে থাকা ক্যালকুলেটরে হিসাব কষতে কষতে জানতে চাইলেন লোকটি।
-এখন নেই অত টাকা! বারো হাজার টাকা আছে পকেটে।
-পরে দিলেও চলবে।
জাকির হোসেন চিন্তা করেন টাকার ব্যবস্থা কোনো না কোনোভাবে হবেই। দুটো হালের বলদ কোনোমতে গ্রামের মহাজনের কাছে বিক্রি করলেই রাতারাতি মিলবে টাকা।
আর সময় ব্যয় না করে জাকির হোসেন দৌড় দেন হাসপাতালের তিন তলায় বিছানায় শুয়ে থাকা ছেলের কাছে। ছেলের বুক আবার কামারের হাপরের মতো ওঠানামা করছে। বুকের ভেতর জংধরা বেয়ারিংয়ের মতো ঘড়ঘড় করছে।
হাসপাতালে আসা নতুন রোগীর ব্যাপারে তথ্য জানিয়ে কার কাছে যেন ফোন করলেন ডেস্কের লোকটি। ফোনে কথা বলার পর বিষণ্ন মুখে জানালেন, আপনার ছেলের নো কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট আছে? ওই সার্টিফিকেট লাগবে তা না হলে লাখ টাকা দিলেও তো আপনার ছেলেকে ভর্তি রাখা যাবে না। স্যারের নিষেধ আছে। রোগী ভর্তি করতে হলে নো কোভিড সার্টিফিকেট লাগবে!
-না। ছেলে ম্যাট্রিক পাস, সেই সার্টিফিকে আছে।
-ধুর ছাতামাথা। নো কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট লাগবে।
-তা তো আনি নাই।
-যদি না থাকে তাহলে সরকারি হাসপাতালে যান। ভাইরাসের হাসপাতালে যান।
সিএনজি চালক বুঝতে পারলেন এ যাত্রা শুভ হচ্ছে না।
অবশেষে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করুণা করায় এই হাসপাতালে ছেলেকে এনে ভর্তি রাখার সুযোগ পেয়েছেন জাকির হোসেন। তার কাছে এই হাসপাতালটিকে মহান কিছু মনে হয়। তা না হলে বারোঘাটের পানি খেয়ে অবশেষে তীরে এসে ঠাঁই পেয়েছেন জাকির হোসেন।
দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ছোট পরিসরের এ বিছানাটি জুটেছে কপালে। শুধু তাই নয় সঙ্গে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারও। ভর্তি কাউন্টার থেকে শিখে নিয়েছেন কিভাবে দরকার পড়লে এই সিলিন্ডার রোগীর নাকেমুখে লাগিয়ে দিতে হবে। সেই প্রশিক্ষণও জাকির হোসেন কাজে লাগিয়েছেন এই দুই দিন।
ছেলেকে ভর্তি করার গত দুই দিন হলো কোনো ডাক্তার আসেননি। এমনকি ডাকলেও কোনো নার্সকেও পাওয়া যায় না। ওর্য়াড বয়গুলোও কেমন যেন বেপরোয়া। কোনো কিছু জানতে চাইলে চোখমুখ ঢেকে কী যেন বলে তা জাকির হোসেনের কানে আসে না।
টিকটিকির ঠিকঠিক আওয়াজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা নাড়াচাড়ার শব্দ কানে আসে জাকিরের। দেয়াল থেকে চোখ নামিয়ে বিছানায় চোখ পড়তে দেখেন তার আঠারো বছর বয়সী ছেলেটি গলা কাটা গরুর মতো তড়পাচ্ছে। বাবার হাত খামছে রেখেছে ছেলের হাত।
নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ছেলে রাহাতের। ভর্তি কাউন্টার থেকে শিখে নেওয়া বিদ্যা কাজে লাগানো শুরু করেন জাকির হোসেন। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডারটি কোনো কথা শুনছে না। সিলিন্ডার থেকে বেরিয়ে আসা অক্সিজেন কোনোভাবেই ছেলের নাকেমুখে ঢুকছে না। এই অবস্থায় দরজা খুলে দৌড় দেন জাকির। হাঁপাতে হাঁপাতে হাজির হন নার্স রুমে। নিশ্বাস নিতে ছেলের কষ্ট হচ্ছে, নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।
নার্স রুম থেকে জানানো হয়, অক্সিজেন সিল্ডিারটি ভালো করে লাগিয়ে দিন। রোগীর কাছে নার্সদের যেতে ভয় পান। সেফটি ফার্স্ট। ওষুধ লাগলে এসে নিয়ে যাবেন।
জাকির জানায়, অক্সিজেন সিলিন্ডারটি তিনি লাগাতে পারছেন না। গত দুইদিন তিনি নিজেই সিলিন্ডারটি লাগিয়েছেন। কিন্তু এটি আজ আর কাজ করছে না।
বিরক্ত হয়ে এবার নার্স বললেন ডাক্তার ডাকছি। দেখি।
কিছুক্ষণ পর নার্স জানালেন ডিউটি ডাক্তার অন্য রুমে গেছেন। সেখানে এক রোগী মারা গেছেন। রোগীর স্বজনরা ক্ষেপে আছে। তারা গোলযোগ করতে চান। ডাক্তার তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আপনি শান্ত হোন। আধাঘণ্টা পর ডাক্তার আসবেন।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে এসেছে। আর সময় ব্যয় না করে জাকির হোসেন দৌড় দেন হাসপাতালের তিন তলায় বিছানায় শুয়ে থাকা ছেলের কাছে। ছেলের বুক আবার কামারের হাপরের মতো ওঠানামা করছে। বুকের ভেতর জংধরা বেয়ারিংয়ের মতো ঘড়ঘড় করছে।
জাকির হোসেনের চোখের দিকে তাকিয়ে ছেলে তার কী যেন বলতে চায়। হয়ত বলতে চায়, বাবা আমি বাঁচতে চাই। এখনও আমার অনেক পথ যে বাকি। কিংবা এমনও হতে পারে ছেলেটি বলতে চায় বাবা তুমি ব্যর্থ।
ছেলেকে এই অবস্থায় রেখে জাকির চলে যান হাসপাতালের বারান্দায়। চোখ মেলে দেখতে পান দূরের ভবনগুলোয় লাল-নীল আলো জ্বলছে। জাকিরের মনে হয়, দূর আকাশের তারাগুলো নেমে এসেছে হাসপাতালের বারান্দায়।
জাকির হোসেন আবারও অক্সিজেন সিলিন্ডারটির ক্যাপ ছেলের নাকে ধরতে চায়। কিন্তু নাকমুখ যেন মেশিনের এই হাওয়া নিতে চায় না শরীরে।
ছেলেটি এবার জালে পড়া কইয়ের মতো লাফাতে লাফাতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে তার।
জাকির হোসেন ছেলের দিকে তাকিয়ে হুকুম দেয়, চোখে মেলে থাক বাবা। ঘুমিয়ে পড়িস না। একটু কষ্ট কর। ঘুমিয়ে পড়িস না খবরদার। ডাক্তার দেখেছি। এসে পড়বে, ঘুমিয়ে পড়িস না খবরদার।
বাপের কথায় এবার জোরেসোরে সায় দেয় ছেলে তার। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ছেলে তার উঠে পড়তে চায় বিছানা থেকে। ওই পর্যন্ত এরপর নিস্তেজ হয়ে পড়ে ছেলের শরীর। জাকির বুঝতে পারে হয়ত এতক্ষণে তার সর্বনাশ হয়ে গেছে।
কিছুক্ষণ পর মুখোশপরা একজন ডাক্তার আসেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে আসা এই ঘরটিতে এতক্ষণে যেন কোনো যমদূত এসে পৌঁছেছে। পুরো শরীর তার সাদা কাপড়ে ঢাকা। গলায় ঝুলে থাকা স্টেথোস্কোপ নামিয়ে দেখতে চায়। সিদ্ধান্তে আসে ডাক্তার, ‘উই আর সরি মি. জাকির। ইওর সান ইজ নো মোর।’
জাকির ডাক্তারের কথা বোঝে না। উত্তরে বলে স্যার মুখে অক্সিজেন ধরেন। ছেলেটি নিশ্বাস নিতে পারছে না। দেখুন ঘুমুচ্ছে।
উত্তরে চিকিৎসক বললেন, তার আর দরকার হবে না। একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করুন। ছেলের দাফন-কাফন হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আর হ্যাঁ আপনাকেও আমরা রিলিজ করে দিচ্ছি। বাসায় গিয়ে যেখানে-সেখানে বের হবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আর হ্যাঁ, আপনাদের নাম সরকারি খাতায় তোলা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা আর জেলা প্রশাসক দেবেন ১০ হাজার টাকা। একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে আপনার ছেলের দাফন-কাফনের খরচ মেটানো হবে। এই ৩০ হাজার টাকা দিয়ে চাইলে কিছু ছাগল কিংবা একটা গরু কিনে রাখতে পারেন। ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে।
এই বলে মুখোশপরা ডাক্তারটি হন্তদন্ত হয়ে ছুটলেন অন্য কোথাও। জাকিরের মনে হয় কোনো যমদূত যেন বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার জাকিরের চোখ যায় দেয়ালে। জাকির দেখতে পান সেই টিকটিকি একটা পোকা মুখে নিয়ে বসে আছে।
ছেলে তার আর কোনো নড়াচড়া করছে না। ছেলেকে এই অবস্থায় রেখে জাকির চলে যান হাসপাতালের বারান্দায়। চোখ মেলে দেখতে পান দূরের ভবনগুলোয় লাল-নীল আলো জ্বলছে। জাকিরের মনে হয়, দূর আকাশের তারাগুলো নেমে এসেছে হাসপাতালের বারান্দায়। এই তারাগুলো নিয়ে যেতে চায় তার আদরের ছেলেকে।