ঘুমের ভেতর ফোন বেজে ওঠায় ধড়ফড় করা বুকে কলটা রিসিভ করলেন পঞ্চাশছোঁয়া তাবাচ্ছুম। তিনি ভাবেন, দুঃসংবাদ ছাড়া সুসংবাদ কেউ তাদের এই পঞ্চাশ পেরোনো বয়সে এমন মাঝরাতে দেয় না। চশমা না পরেই তিনি ফোনটা রিসিভ করেছিলেন। এরপর নিজের একমাত্র মেয়ে শেফার হাউমাউ করে কান্নার শব্দে তার তখন দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম। তাবাচ্ছুম উঠে বসেন ও দৃঢ়কণ্ঠে মেয়েকে বলেন, শেফা, কী হয়েছে তাই বলো?
কিন্তু কে শোনে কার কথা! শেফা কেঁদেই যায়। আর ওদিকে তিনি চেঁচিয়ে বলতে থাকেন সৌরভ ভালো আছে? রণি? মিমি? তাবাচ্ছুম ভাবতে থাকেন, সবাই যদি ভালো থাকে এরপর আর শেফার এমন কান্নার কারণ কী হতে পারে!
একসময় শেফার কান্না থিতিয়ে আসে। তাবাচ্ছুম বলেন, এবার তো বলো কী হয়েছে। তিনি এতক্ষণে অনুমান করতে পারেননি তার একমাত্র মেয়ে কেন এভাবে কাঁদছে। জামাই সৌরভের সঙ্গে মেয়ে শেফার একটু খিটিমিটি ভাব থাকলেও তা মেয়ের এইরকম কান্নার পর্যায়ে এসে পৌঁছুবে না, যেন তার মেয়েকে এভাবে কাঁদতে হবে!
শেফার কান্না থামছে না দেখে তাবাচ্ছুম আবার বললেন, বিধবা মানুষ আমি। তুমি কি মাঝরাতে ফোন করেছো, আমাকে হার্ট অ্যাটাকে মারতে?
শেফা কান্নারত অবস্থায় বললো, এ জন্যই তোমাকে এ ক’দিন ফোন দিইনি!
-ক’দিন ধরে কী হয়েছে, বলো!
-সৌরভ বাসা ছেড়ে চলে গেছে!
তুমিও সন্তানের মা হয়েছ। আমার জায়গায় নিজেকে রেখে তুমি তোমার জায়গায় তোমার মেয়েকে রেখে ভেবে দেখো, আমি এখন কেমন আছি!
মেয়ের এই কথা শোনার পর আকাশ ভেঙে পড়লো যেন তাবাচ্ছুমের মাথায়। কারও মৃত্যু সংবাদও তাকে এর চেয়ে বিচলিত করতো না! তিনি জানতে চাইলেন, কেন গেছে? ক’দিন গেছে?
-আজ সাতদিন।
-কোথায় গেছে?
-আজই জানতে পরলাম সে নোভার বাসায় উঠেছে! সাতদিন হয় গেছে, আর তুমি আজ বলছো আমাকে?
-তুমি চিন্তা করবে তাই বলিনি! আর ভাবছিলাম ও এমনিই ফিরে আসবে!
-সৌরভ তো এমনি বাসা ছাড়ার ছেলে নয়। তুমি কী বলেছিলে তাকে?
-ইদানীং ও ইনফিরিউটি কমপ্লেক্সে ভোগে।
-তা না ভুগে উপায় আছে? তুমি ওকে সবসময় হেয় করে কথা বলো। আমি তোমাকে বলেছি পুরুষ মানুষকে এমনি যা বলবে, বলবে। কিন্তু সে যখন বেকার থাকবে তখন তাকে আগের থেকে বেশি সম্মান দিয়ে কথা বলবে! পুরুষকে আল্লাহ তৈরিই করেছে ওভাবে, বোহেমিয়ান স্বভাব দিয়ে। ওদের ভালোবেসে, সম্মান দিয়ে বশে রাখতে হয়!
-কেন, পুরুষ মানুষ কি রাজার ঘোড়া?
-ধরে নাও তাই! আমি তোমাকে একথা বোঝানোর পর তুমি আমার সাথেও ঝাঁ ঝাঁ করে ঝগড়া করছিলে। তাই আমি নিজেও তোমাদের কাছ থেকে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ফিরে এসেছি!
-তুমি খালি আমার দোষটা দেখো। আমি অফিস থেকে আসি, তারপর এসে দেখি আমার জন্য অনেক কাজ পড়ে আছে।
-যে কাজ পড়ে থাকতে দেখো তা ফেলে রাখো! আমি যখন গিয়েছি, তখন দেখেছি না সৌরভ বাচ্চা দুটোকে দুই স্কুলে দিয়ে আসছে, আবার সময় মতো নিয়ে আসছে। সেই গোসল করাচ্ছে, খাওয়াচ্ছে। এভাবেই দিন পার হয়েছে তার! সৌরভ যখন চাকরি করতো, তখন তুমি এইসব কাজ নিখুঁতভাবে করতে। কিন্তু আমাদের দেশের পুরুষেরা আমাদের কাজগুলো অত নিখুঁতভাবে পারে না! আমাদের দেশের মানুষের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, পুরুষ করুক, আর নারী করুক, ঘরের কাজ একজন করলে আরেক জনের কাছে তার কোনো মূল্য নেই! এবার সৌরভ যে কাজগুলো করতো, বাজার করা, বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনা, তোমাকে অফিস থেকে আনা-নেওয়া, সব মিলিয়ে তার কাজের মূল্য কত হয়?
-আমি যখন করতাম, তখন?
-ওই তো মূল্য একই হতো। কিন্তু আমি আগেও বলেছি, ঘরটা মেয়েদের জন্যই দরকার। পুরুষকে তাড়িয়ে দিলে, সে পৃথিবীর সব দেশেই স্টেশনে গিয়েও থাকতে পারে। কিন্তু সব দেশের মেয়েদের প্রথমত ঘর তাদের জন্যই লাগে! তোমাকে বের হতে হলে আজ তুমি কোথায় যেতে?
-তুমি সৌরভের পক্ষ নিচ্ছো, মা!
-আমি কারো পক্ষ নিচ্ছি না। এখন মনে করো যার বাসায় গেছে, তারও দুটো বাচ্চা আছে। বহুদিন ধরে তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। ঠিক তারই মতো ভুল তুমিও তোমার স্বামীর বেলায় করেছো। সৌরভ নোভার কাছে গিয়ে বসে নেই। নিশ্চয় এবার ওই মেয়ে ওর কাজের মূল্যটা ভালো করেই বুঝবে। সে যদি ভাব-ভালোবাসা দিয়ে ওকে ভুলিয়ে রাখে, পুরুষের নাড়ির টান কমই হয়। ঘর পোড়া গরুর মতো ওই মেয়ের ফাঁদে আটকে সৌরভ যদি বাচ্চাদের টানে ফিরে না আসে, কেমন হবে তখন?
-পুরুষের টান কম হবে কেন? সেকি রণি-মিমির বাবা নয়?
-তোমার বাবাও তোমারি ছিল!
-তো?
-রিটায়ার করার পর তিনি ভাবলেন তোমার কথা? আমার কথা বাদ দাও। তিনি সব টাকা এদিক-ওদিক দান করে দিলেন! এটা মহত্ত ছিল না, বুঝলে? এটা ছিল তার অ্যাবনর্মালিটি! একটা পাগল নিয়ে রয়েসয়ে সংসার করেছি আমি। সাবধানে থেকেছি যেন তোমার মনে কোনো বেদনার ছাপ না পড়ে! সৌরভ, তুমি একসাথে একই ইউনিভার্সিটিতে পড়েছো। একই সাথে চেষ্টা করে কানাডা গিয়েছ। পছন্দের বিয়ে তোমাদের। নাহলে পাঁচ-দশলাখ টাকা তোমার বিয়েতে খরচ করতে হলে কী হতো আমার? আজ আমি বাপের বাড়ির কোনায় পড়ে আছি। সামান্য একটা চাকরি করছি বলে কারো কাছে হাত পাততে হচ্ছে না, তাই কেউ-ই আমার আসল অবস্থা জানছে না!
-বাবা বেঁচে থাকলে তিনি নিজে কী করে চলতেন?
-ভাবো এবার! বলতো, গ্রামে গিয়ে জমিজমা দেখবো। মাটির সাথে জীবন কাটাবো। স-ব ভালো ভালো নয়, বুঝলে! এখন সৌরভকে ফেরাও!
শেফা আবার কান্না জুড়ে দেয়। বলে, না মা, ও নিশ্চয় নোভার সাথে রাতে একঘরে থেকেছে।
-রাত আর দিন কী? একঘরে থাকতে হলে রাত লাগে না কি? আর এটা তো অসম্ভব কিছু না। তুমি ওকে যেতে দিলে কেন?
-ঝগড়া করে বেরিয়ে গেলে আমি আটকাবো কী করে?
-শোনো, দুধ ফেটে গেলে তার ছানা দিয়ে অনেক কিছু করতে পারবে। কিন্তু সে দুধকে আর আগের অবস্থায় ফেরাতে পারবে না! মানে দুধ আর বানাতে পারবে না! সম্পর্কটাও সেরকম। কিন্তু সৌরভকে ছেড়ে দিলে তার থেকে তোমারই লোকসান। আবার যদি কাউকে বিয়ে করতে হয়, কোনো অবিবাহিত তরুণ নিশ্চয় দুই বাচ্চার মাকে বিয়ে করতে আসবে না। আসতো, তোমার যদি বিরাট অঙ্কের ব্যাংক ব্যালান্স থাকতো!
-মা তুমি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো। তাই শত্রুর মতো কথা বলছ।
-কী বললে মায়ের মতো কথা হবে শিখিয়ে দাও তাহলে? তুমিও সন্তানের মা হয়েছ। আমার জায়গায় নিজেকে রেখে তুমি তোমার জায়গায় তোমার মেয়েকে রেখে ভেবে দেখো, আমি এখন কেমন আছি! চাকরির এখন মন্দাভাব পৃথিবীজুড়ে। ছেলেটার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে, সে তো ট্রাই করছে, আমি দেখে এসেছি। মা-বাবা দু’জনের একজনের কেয়ারে সারাদিন বাচ্চারা থাকলে তাতে দু’জনেরই কত শান্তি! সেই শান্তিটাই না হয় দু’জন ক’দিন উপভোগ করতে!
তাবাচ্ছুম হিমকণ্ঠে বললেন, এরকম শিক্ষা যেন জীবনে আর দরকার না হয়। ফোন রেখে সৌরভের দিকে মনোযোগী হও। আমি প্রার্থনায় বসবো!
-মা তুমি একপেশেভাবে বলেই যাচ্ছ! সমস্যা কি শুধু সেটাই?
-শোনো আমারও অন্ধকার সময়ে জন্ম হয়নি। তাই দেখেছি মেয়েরা যতই প্রগতির কথা বলুক, তবু স্বামী বেকার থাকলে তাকে তাদের সম্মান করতে বাধে। কিন্তু তোমাদের সময়ে এই অন্ধ ইগো বিলুপ্ত হওয়া উচিত ছিল। আরেকটি বিষয় এই সমবয়সীদের ভেতর বিয়ের প্রচলন হয়ে একদিকে খারাপও হয়েছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাও না। কিন্তু এই যে আমি, তোমার মা, তোমার বাবার অনেক অসঙ্গতি মেনে নিয়েছি, মানে মানতে বাধ্য হয়েছি, সেটা বোধহয় ওই বয়সের কারণে। বয়সে বড়। শিক্ষায়-দীক্ষায় বড়। তাই বলে সব কাজ ঠিক করেছেন, তা তো নয়!
-যা-ই ঘটুক সৌরভ এভাবে চলে যেতে পারে না মা! এর জন্য আমি আইনি লড়াই লড়বো! তোমাকে জানিয়ে রাখলাম!
-এখানেই বড় ভুল করবে! আর ও চলে যেতে পারে না মানে, এই তো গিয়ে দেখিয়ে দিলো, পারে কি না! এরকম যাওয়া সৌরভই প্রথম যায়নি! আইনি লড়াই লড়লে বিষয়টা তেতো ছাড়া আর কী হবে?
-ঠিকাছে আমি রাখি! তুমি আমার দুঃখ বুঝবে না মা! শতহোক, বাবা তোমাকে প্রতিপক্ষ ভাবতেন না!
-প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছ কেন? মেয়েদের বাড়তি কিছু ক্ষমতা আছে। তারা বুঝতে পারে অবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ভালোবেসে সহাবস্থান তৈরি করে নিতে পারতে। তা যদি পারতে সেটাই তোমার বড় ক্রেডিট হতো!
-এত মানিয়ে চলার আমারই কেন একলা দায় পড়ছে!
-দায় পড়েছে, তোমার কাছেই জরায়ু। তোমার কাছেই বাচ্চার বিকল্পহীন খাদ্যভাণ্ডার! তাই বাচ্চাকে ছেড়ে যখন তুমি সরতে পারবে না, তাই তাদের বাবাকেও তাদের কাছে টেনে রাখার দায়িত্ব তোমাতেই বর্তায়। এ নিয়ে তর্ক তুলে সারাপৃথিবী লণ্ডভণ্ড করতে পারবে। কিন্তু ওই মা ক্যাঙারুর তলপেটই সমাধান, দেখো। পুরুষ ক্যাঙারুকে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা থলি দেননি। সৃষ্টিকর্তা ভাবেননি বাবার পেটেও একটা থলি দেই, মায়ের আসান হবে!
-রাখি মা! তোমার ছেলে নেই তো। তাই ওই পরের ছেলের ওপর তোমার টান বেঁধেছে।
-রাখি মানে? এখন ওকে ফেরাবে কী করে তাই আমাকে বলো!
-মাথা নত করে একটা নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষকে আমি ফিরিয়ে আনবো, ভাবছ?
-এভাবে বলো না। একাকিত্বের কী যন্ত্রণা এই ক’দিনে সেটা বুঝেছ নিশ্চয়? এই যন্ত্রণা দীর্ঘ হলে তুমিও ভুলে যাবে, কে নষ্ট আর কে শুদ্ধ! শেষে ওই নোভার মতো অন্যের পুরুষকে আটকে রাখার পাঁয়তারা করতে হবে! প্রথম জীবনে একটা সম্পর্ক যেভাবে তৈরি হয়, পরে আর তা হলে তোমার এই মাও বৈচিত্র্যহীন, একঘেয়ে একাকী সময় পার করতো না! রূঢ় শোনালেও এই কথাটি জেনে রাখো। তোমার মতো গায়ের জোরে অনেকে এমন ভুল করে শেষে আবার একজনকে ধরতে টোপগাঁথা আর চার ফেলতে ফেলতে সোসাইটিতে হাস্যস্পদ হয়ে ওঠে!
-মা, তুমি কিন্তু আমাকে যা তা বলছ!
-বলছি, যেন তোমার জীবনেও ওরকম অবস্থা অনিবার্য না হয়ে ওঠে। মা তো আমি, মায়ের মনে খারাপ দিকটিই আগে ভাসে। শোনো পথ চলতে গেলে যেমন কখনো পথিক হোঁচট খায়, তেমনি জীবনে চলতে গেলে এটাকেও ওই হোচট ভেবে দু’জনকেই দু’জন কঠিনভাবে শুধরে নিতে হবে। তবে নোভার উচিত ছিলো সৌরভকে বুঝিয়ে তোমার কাছে নিয়ে আসা! বিদেশে আছো মনে করে কেউ তোমরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারো না। বিদেশে তোমরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাস করলেও আমরা তো দেশে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করি। তোমাদের সব ঘটনা আমাদের কানে এসে আমাদের সমাজের কাছে ঠিকই জবাবদিহিতার মুখোমুখি করে। নোভার মা-ও তার আত্মীয়ের ভেতর আরেকজনকে তাড়িয়ে, তার ভরা সংসার নষ্ট করেছে। তাই নোভা আর কী শিখবে!
মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে রাত শেষ হয়ে যায়। উদ্ভ্রান্ত তাবাচ্ছুম ভাবতে থাকেন, শেফা কী করে বাচ্চা দুটোকে স্কুলে দিয়ে আবার অফিসে যাবে। শেফার অফিস ছুটি পাঁচটায়। কিন্তু ওদের তো দুটোয় স্কুল ছুটি। এ ক’দিন ধরে সে এতো সব কী করে সামলাচ্ছে। এক সন্তানের মা হওয়ার কী জ্বালা তিনি এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন। তার কাছে এত টাকা নেই যে, তিনি আবার ভিসার জন্য দাঁড়ান। টিকিট করেন, মেয়ের কাছে ছুটে যান। আর সেটা সম্ভব হলেও তো সময়সাপেক্ষ।
একবার বাঙালি কমিউনিটির একজনের বাড়িতে দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়ে সেখানে আরেক আগন্তুকের সঙ্গে তাবাচ্ছুমের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল। ফোন নম্বরও বিনিময় করেছিলেন। তাবাচ্ছুম সময়জ্ঞান ভুলে তখনই তাকে ফোন দিলেন। কিন্তু পরিচয় দেওয়ার আগেই তিনি তার কাছে এমনভাবে কান্নায় ভেঙে পড়লেন, ঠিক যেভাবে শেফা মাঝরাতে কেঁদেছে তার কাছে।
অক্ষম তাবাচ্ছুম কাঁদতে কাঁদতে বুঝতে পারছিলেন, ওপাশের ভদ্রলোক তাকে চিনতে পারেননি। কারণ তাকে তো তিনি কানাডার ফোন নম্বর দিয়েছিলেন! একসময় শান্ত হয়ে নিজের পরিচয়টি মনে করিয়ে দিয়ে, মেয়ে-জামাইয়ের পুরো ঘটনাটি তাকে বললেন। তিনি উত্তর দিলেন, আমাদের দেশ থেকে আসা ছেলেমেয়েগুলো ক’দিনেই এদেশের মানুষের থেকে ফার্স্ট হয়ে যায়, সমস্যা সেখানেই। এটা আপনার একার সমস্যা নয়। এটা অহরহ ঘটছে। তবু আমি দেখছি। আপনি শান্ত থাকুন। বয়স্ক মানুষটি তাকে আরও বললেন, আমি চেষ্টা করবো কিন্তু আপনি আল্লাহ’র অনুগ্রহ চান!
সন্ধ্যা নাগাদ মাকে শেফার ফোন, ‘মা, সৌরভ ফিরে এসেছে!’
তাবাচ্ছুম হিমকণ্ঠে বললেন, এরকম শিক্ষা যেন জীবনে আর দরকার না হয়। ফোন রেখে সৌরভের দিকে মনোযোগী হও। আমি প্রার্থনায় বসবো!
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা