শুনছ কুড়ির বাপ, ডাক্তার বলছে, কালকেই বাড়িতে চলে যেতে পারবো।
আচ্ছা, তা কালকেই দেখা যাবে।
কুড়ির বাপ মেডিক্যালের সিঁড়ি ভাঙে আর স্ত্রীর কথাগুলো তরতর করে মনের পর্দায় হাজিরা দেয়। ক্লান্ত শরীরে সিঁড়ি ভাঙা কষ্টের—বয়সটাও কেমন চেপে ধরেছে। লিফটে যাওয়ার লোভ সামলাতে হয় পকেটের দিকে চেয়ে। লিফটম্যানটা আস্ত হারামি। দরজা বন্ধ হলেই চোখ লাল করে বলবে—দেখি, বের করেন। বের করেন বকশিসের টাকা। কুড়ির বাপ দীর্ঘজীবন শহরের কোনায়, প্রায়-গ্রামে কাটাতে পারে, অন্যায়কে মাথায় উঠতে দিতে পারে না। এমনিতে বউ তার সপ্তাহ ধরে মেডিক্যালে। বাড়িঘর-রান্নাবান্না-গরুছাগল সামলায় কিশোরী মেয়ে কুড়ি। বাবার দিনের মুদির দোকানটায় বসে ঊনিশ। তার আর বুঝ-জ্ঞান কদ্দুর? হাইস্কুলের তিন নম্বর ক্লাসে পড়ছে সবে। কুড়ির বাপ সকালে ভাতের টিফিন নিয়ে এসে একটানা সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে স্ত্রীর পাশে। মাগরিবের আজান শোনা গেলে টিফিন কেরিয়ারটা নিয়ে বের হয় মেডিক্যাল থেকে। রাতে, দুজনের গরম ভাত নিয়ে আবারও আসীন হয় স্ত্রীর পাশে—রোগ-শোকের ভরা জাহাজ মেডিক্যালে। আহা, কত চিৎকার, কত আহাজারি, কত হৃদয়হীনতার মধ্যেই চলতে হয় সরকারি মেডিক্যালে! পাশের রোগী ব্যথায় কাতরায়, কেউবা বেডের সিট না পেয়ে স্যাঁতস্যাঁতে ফ্লোরে অপেক্ষমায় থাকে ডাক্তারের জন্য—না, এখনো স্যার আসার টাইম হয় নাই, চিল্লাতে হবে না, যার টাইমে সে আসবে বলে নাক সিটকায় সাদা এপ্রোনে সেবার শপথ নেওয়া নার্সেরা। আয়া—যাদের দায়িত্ব কিনা মেডিক্যাল সাফ-সুতোরো রাখা, তারাও বকশিস না দিলে ঝাড়– কিংবা ডেটলের পানির ছোঁয়া দেয় না ফ্লোরে। সবাই অনিয়মের গ্যাড়ায় ডুবে থাকলেও রোগী ভর্তি করার সময় দেখাতে আসে শত নিয়মের বাহানা। লাইনে দাঁড়ান, টিকিট কাটেন ইত্যাদির ফোঁকরে রোগী মরে যাক, তাতে তাদের কী! ইর্মাজেন্সি ট্রলি হাতে অনেক জোয়ান—যাদের পিঠে সিল সাঁটা আছে অবৈতনিক কর্মচারীর—দেখুন না একবার, টাকা ছাড়া কেমনে নড়ে? কোন বালের সেবাটা দাও তোমরা টাকা ছাড়া, অ্যাঁ? কুড়ির বাপের মেজাজ সপ্তমে উঠলে কোনোদিন বশ করতে পারেনি কুড়ির মা, প্রিয়তমা স্ত্রী। পকেটে আছে গাড়ি ভাড়া বাবদ বিশ টাকা। লিফটম্যান চায় বকশিস! দশ টাকার কম দিলে মুখকে ভাঙিয়ে বলবে, লন আপনার টাকা! কুড়ির বাপের আবার ভরাট কণ্ঠের দুর্নাম ছাত্রজীবন থেকে। রাজনীতি করাটা নানা কারণে ছেড়ে দিলেও কণ্ঠটা রেখে দিলো এখনো রাজনীতির। রাতে অতি গোপনে কুড়ির মাকে বলতে যাওয়া কথাও তার অবাধ্য হয়ে যায় শুধু কণ্ঠের জোরে। অ্যাঁ, মগের মুল্লুক পাইছো, না? মেডিক্যাল সরকারের, লিফটও। আমরা কী মাগনা চিকিৎসা করাই এখানে? বকশিস দেবো না। বেতন দেয় সরকার আবার বকশিস কিসের? তোমার বাপেরে বইলো বকশিস দিতে। লিফটের যাত্রীরা অবাক—চেহারায় শান্ত মানুষটার ভেতর এত দ্রোহ! এক্কেরে হক কথাই কইছে! বিষ মরুক এবার! যাত্রীদের অবাক করে দিয়ে লিফটম্যান দাবির পক্ষে যুক্তি দেখায়—সরকার বাবু যা বেতন দেয়, তাতে সংসার কেন, পান-বিড়ির টাকাটাও আসে না; বলেন, খাবোটা কী? চুরি করে? বালের বেতনের চাকরিটা নিতে নেতা ধরে ঘুষের কারবার করতে কত তেল জল হলো, তার হিসাব কেউ করছে কোনোদিন? কুড়ির বাপের এককথা, বকশিস দেবে না। তার প্রতিবাদী কণ্ঠের সঙ্গে অন্যরাও তাল মেলায়। লিফটম্যান এসব শুনবে কেন? তার হাতে প্রশাসন যে চাবি দিয়েছে! প্রতিশোধের শেষ ধাপ হিসেবে সে লিফট থামায় ফার্স্ট ফ্লোরে। নির্লজ্জের মতো বলে—লিফট আর যাবে না, ওপরে অপেক্ষা করছে গুরুতর রোগী। গজরাতে গজরাতে যাত্রীরা লিফট ছাড়ে। কুড়ির বাপ গাদ্দার লিফটম্যানের দিকে আড়চোখে তাকায়, সেও।
চট্টগ্রাম মেডিক্যালের বিশাল বিশাল ভবনের দিকে ভালো করে তাকায় কুড়ির বাপ। বিদেশি জাতের গাছ সবুজ শাড়ির মাধুরি ছড়িয়ে আগলে রাখে এসব ভবনের দুঃখগাথা। প্রতিনিয়ত যোগ হতে থাকা বেদনারা মুখ লুকায় সবুজের পবিত্রতায়। কুড়ির বাপ দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্ত্রীর ওয়ার্ড বরাবর দেখে চর্তুথ তলায়। ওদিকে তাকালেই বুক তার ফেটে যায়—বয়সের ভারে হয়তো দেখাতে পারে না। অগুনিত মানুষের হাঁটাচলার মাঝেই দুঃখগুলো ভাগ হয়ে যায় যেন। ফুটপাত ধরে হাঁটতে থাকে কুড়ির বাপ। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ক্লান্ত। হাঁটতে হাঁটতে মন ফিরে যায় অতীতের স্মৃতিমাখা দিনে—পথচলার এই তুচ্ছ অবসরে স্মৃতির জাবরকাটা ছাড়া মানুষের কী-ই বা থাকে আর! স্ত্রীর গর্ভে প্রথম সন্তান এলে সে কী উচ্ছাস রফিকুল আলমের। মুদির দোকানের আয় কম হোক, বাসের ঘর ভাঙা হোক, তুব দু’জন স্বর্গের টুকরো বানিয়ে রাখে যাপনের সবটুকু। অনাগত সন্তানের অজস্র নাম মনে মনে ঠিক করে রফিকুল। রাতে ঠিক করে, দিনে সে নামের আরেক জনকে আবিষ্কার করে সমাজে কিংবা আত্মীয়-স্বজনের পরিবারে। স্বামীর আবেগের ঘনঘটায় রাবেয়া আক্তার হাসে। থাক না, আধো পাগলামি; প্রথম সন্তান বলে কথা! ফুটফুটে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর রফিকুল আলম নাম রাখে কুড়ি আলম। একেবারে আনকমন নাম! চার গ্রামের কোথাও এ নাম নেই কারও। সেই থেকে রফিকুল আলম কুড়ির বাপ। তার দোকান হয়ে যায় কুড়ির বাপের মুদি দোকান। আদরের মেয়েটি এখন চুলো ঠেলছে। পড়ে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে। এলাকার অনেকেই সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেলেও কুড়ি ভর্তি হয়ে বয়ে আনে অবারিত সম্মান। মেয়ে তার লক্ষ্মীর ঘট; কারও ঘরে গিয়ে বেহুদা আড্ডা মারা, কারও সঙ্গে এলোমেলো বেড়াতে যাওয়া তার চরিত্রে নেই। পড়াশোনায় বরাবরই ভালো। ব্যস্ত থাকে পড়াশোনা আর মাকে কাজে সাহায্য করায়। এতক্ষণে হয়তো মায়ের পছন্দের কোনো তরকারি দিয়ে সুন্দর মতো সাজিয়ে রেখেছে টিফিন-কেরিয়ার। ছেলে পড়ে এইটে। তার এখন খেলার টাইম অথচ বাপের দোকানে বসে বিক্রি করছে চাল-ডাল-নুন। না হয় সংসার চলবে কিভাবে? শখ করে কুড়ির বাপ ছেলের নাম রাখে ঊনিশ! খাতাপত্রে ঊনিশ আলম। লোকে হাসুক, বছর দশেক পরে হলেও তারিফ করতে হবে নাম রাখার ব্যাপারে; বলে দিলাম কিন্তু! হাঁটতে হাঁটতে চকবাজার কাঁচাবাজারের মোড়। এখান থেকে টমটমে রাহাত্তারপুল। বৃষ্টিতে ধূলোবালি মরে গেছে, জ্যাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। পা চলে না কুড়ির বাপের। বিরক্তি ভরা মন নিয়ে কুড়ির বাপ দখল করে আছে টমটমের দশ টাকার সিট। দেরি হলে সমস্যা অথচ জ্যামে পড়ে দ্রুত ঘুরছে ঘড়ির কাঁটা। ডাক্তার এসে রোগীর গার্ডিয়ান না পেলে ধমকাবে, কুড়ির মা মন খারাপ করবে। সেদিন রাতেই তো কাণ্ডটা দেখলো কুড়ির বাপ। ডাক্তার কুড়ির মা’র দুই সিট পরের রোগীর কাছে যায় দায়িত্ব পালন করতে। ফাইলটা দেন তো— রোগী নীরব। বেচারার এক হাতে স্যালাইন চলছে, অন্য হাত অচল। শিয়রের পাশে রাখা ফাইলের দিকে তাকিয়ে ছেড়ে দেয় চোখের পানি। অসহায়ত্বের চাবুকে দংশিত হয়ে রোগী মিশে যায় হাসপাতালের বেড়ে। ডাক্তার বাবুর হাত টানতে ঘেন্না লাগে, দায়িত্বের মারপ্যাঁচে না পারতে ফাইলটা নিয়ে রোগীর ওপরেই ঝাড়ে যত ঝাল। অ্যাঁ, এটা কি নানার বাড়ি? রোগির সঙ্গে গার্ডিয়ান না থাকলে কাকে বলবো, প্রয়োজনের কথা? কে করাতে যাবে দরকারি টেস্ট? কুড়ির বাপ জানে, টেস্ট নামক ধান্দায় গরমিল হলেই চান্দি গরম হয়ে যায় ডাক্তারের। সরকারি উন্নত যন্ত্রপাতি থাকলেও তাদের দেওয়া ডায়গনস্টিক সেন্টারে অতি দামে করাতে হয় যত টেস্ট। টোকেনের বাইরের প্রতিষ্ঠানের টেস্ট হলে বাতিল। যান, এটা কোনো রিপোর্ট হলো? যতসব নাবালকের কথা! বলেছিলাম মেইন গেটের ওদিকে যেতে, কথা শুনলেন না। বেশি চালাকি করলে সমস্যা, বুঝলেন? এরকম ঝাড়ি রেগুলারই চলে রোগীর ওপর, তার কাছে থাকা আত্মীয়দের ওপর। হাসপাতালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকবে ওসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পোষা চাকুরেরা। ওদের আবার পাখির চোখ, রোগীর হাত থেকে টোকেন ছিনিয়ে নেবে অমনি, বলবে—চলুন স্যার, আমাদেরটাই সেরা, ওমুক ডাক্তার আমাদের সঙ্গে আছে, আমাদের কাছে বেশ ডিসকাউন্ট দেবো। আমাদের রিপোর্টই বেস্ট, না ভেবে আসুন তো স্যার। কুড়ির বাপ রাগকে বলে, থাম! রাহাত্তারপুলের হাইওয়ে রোড় পার হয়ে ওঠে রিকশায়, শেয়ারে। বিশ টাকার ভাড়া, হাফ কুড়ির বাপের ভাগে।
গলির মুখে পানি। জোয়ার এসেছে। আকাশের তলা ফুটো হয়েছে না কি—এতদিন বৃষ্টি! বৃষ্টির পানি আর জোয়ারের পানি একাকার। কারও কারও ঘরের বারান্দায় পানি। এ সুযোগে জাল নিয়ে মাছ ধরায় ব্যস্ত বেশির ভাগ মানুষ। কুড়ির বাপ একসময় মাছ ধরায় ওস্তাদ ছিল। মসজিদের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আসার সময় লুঙ্গির কোচায় ঠিকই নিয়ে আসতো তেলাপিয়া কি রুইগোত্রের কোনো মাছ। সবাই মাছ ধরুক কুড়ির বাপ এখন বাড়ি থেকে মেডিক্যাল, মেডিক্যাল থেকে বাড়ি। বাপের আগমন ইঙ্গিত পেয়ে কুড়ি দরজা খোলে। বাবার মুখের দিকে তাকায় সুসংবাদ শোনার অভিলাষে। বাবা, ডাক্তার কী বলেছে? ডাক্তার বলেছে, কাল রিলিজ দেবে। কুড়ির বাপ নিজেও জানে কুড়ির মা ছাড়া ঘরে বিদ্যুতের আলো থাকলেও কেমন যেন আন্ধার আন্ধার ভাব। চারদিকে কেবল শূন্যতার কালিমা হা-মুখে ব্যঙ্গ করে। ঘরের লক্ষ্মীকে পলে পলে অনুভব করে ঘরেরই যাবতীয় আয়োজন-সামাজিকতা। চালের পুরনো টিনের ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি ঘরে গড়াগড়ি খাচ্ছে খুশিতে। মেয়েটি হিমশিম খায় ঘর গোছাতে। দিনান্তের ক্লান্তি তাড়াতে কুড়ির বাপ গামছা-লুঙ্গি কাঁধে নিয়ে কলঘরের দিকে যেতে উদ্যোগী হলে মেয়ের বাধা—বাবা, কলঘর ডুবে গেছে পানিতে। গোসল করলে ড্রামে বৃষ্টির পানি আছে। তিনদিনের টানা বৃষ্টির কথা ভুলেই গেছে কুড়ির বাপ। মেয়েটি একটা রাত মায়ের পাশে মেডিক্যালে রাখবে সে পরিবেশও কি আছে? বাথরুমের কী বাজে অবস্থা! নেই নিরাপত্তার কঠিন চাদর। বিবির আতকা মেডিক্যাল ভর্তি তাকে উদাস করে দেয়। সংসারের সব কিছুতে থেকেও তিনি নেই। সব কিছু করেও, কিছুই করে না! চারদিকে পানি, মাগার গোসলের পানি নাই কোথাও! সবই খোদাতালার খেল, তার মনে কী সব চায়— মালুম করা দুষ্কর।
রাতের খাবার নেওয়ার পর কুড়ির মা আবারও তোলে সকালের প্রসঙ্গটা। শুনছো কুড়ির বাপ, ডাক্তার কালকেই রিলিজ দিয়ে দেবে বললো। কেমন যেন আনমনা হয়ে যায় কুড়ির বাপ। কপালে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। এদিক-ওদিক তাকায়। ওয়ার্ডে প্রায় সিটই তার চেনা। কয়েক দিনের মেডিক্যালবাস পরস্পরকে কাছে এনেছে, পরিচয়ের সুযোগ দিয়েছে। বিকেলে, ডাক্তার চলে গেলে—অনেকটা ঝিমুনিতে থাকে মেডিক্যাল। তখন আড্ডা হয়, কথা আর পরিচয় হয়ে উঠে সহজেই। বারো নম্বর সিটে পরিবর্তন এসেছে আজ। আগের রোগী— বৃদ্ধার বয়স নব্বইয়ের কাছাকাছি। মেডিক্যালে আনার পরও অবস্থার উন্নতি হয়নি। আত্মীয়-স্বজনের ঢল নেমেছে উনি আসার পর থেকেই। প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের আত্মীয় হিসেবে ডাক্তারেরা তাকে ঘিরে রাখে প্রায় সময়। বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় খাবার হাতে ঝুলিয়ে আসে তারা, খানিক কান্নাকাটি আর হা-হুতাশের পর চলে যায় রোগীর সঙ্গে সেলফি তুলে। জগতের কোনো বাঁধই বুড়িকে রাখতে পারে না, তিনি চলে যান পরপারের ডাকে। তার সিটে আজ দেখা যায় নতুন রোগী। জগতের শূন্যস্থান ভরতে সময় লাগে না, কেন এমন বিধান? কুড়ির মা আবারও পাড়ে কথাটা। কুড়ির বাপের চোখ সজল হয়ে উঠে অদৃশ্য যাতনায়। নিজের ভেতরেই ভাঙচুর হচ্ছে কি না, কে জানে! কুড়ির মা জানে—তার বর শক্ত মানুষ; সংসারের নানান ঝামেলায় কাত হয় না সহজে। আজ কী হলো তার? মেডিক্যালে কোনো মায়া ভর করলো নাকি তার বুকে? অশ্রু আর হাসি এখানেই গড়াগড়ি খায় রোজ রাতে! কুড়ির বাপ মুখ খোলে—কুড়ির মা, জীবনে তোমাকে বিল্ডিংয়ে রাখতে পারিনি, রাখতে পারিনি দামি খাটে। ভুলে গেছ? আমরা বাসর রাতে মাটিতে পাতা বিছানায় শুয়েছিলাম।এখনো ঘরের ফ্লোরে গড়াগড়ি দিচ্ছে বৃষ্টির পানি। থাকো আরও কয়েক দিন। লক্ষ কোটি টাকায় বানানো দালানে আরো কিছু দিন থাকো।
কুড়ির মা অপলক চেয়ে তাকে স্বামীর দিকে। কী জবাব আছে তার! স্বামীর একটি হাত টেনে নিয়ে বুকের কাছে।