রিকশাটা এসে পায়ের কাছে থামলো। কিছু বলার আগেই রুবিনা আমার হাতটা ধরে সোজা হাঁটা দিলো মল চত্বরের দিকে। জোর করার অবকাশ পেলাম না, করলামও না। হাকিম চত্বরে গিয়ে রুবিনা দাঁড়ালো। হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেকে নিরাপদ করার আগেই তার জেরা শুরু, এতক্ষণ কোথায় ছিলাম, কী করেছি, কেন ফোন ধরিনি। হাজার জানতে চাওয়া। কোনটা রেখে কোনটার উত্তর দেবো, তা ভাবার সময় নেওয়াও মুশকিল। তার চেয়ে চুপ করে থাকাটা উচিত মনে করে চুপ করেই রইলাম। শব্দ করলাম না। আমার চোখ রুবিনার চোখের দিকে। রুবিনা রাগে ঘর্ঘর করে, শেষে আশা ছেড়ে দিয়ে তার স্বর চড়া হয়ে উঠলো। চেয়ে আছিস, কেন চেয়ে আছিস? কেন এমন করে? জানিস না তুই এভাবে চেয়ে থাকলে আমি তোকে কিছু বলতে পারি না! আমার রাগ পড়ে যায়! আর রাগ পড়ে গেলে ঝগড়া করা যায়? বল, ঝগড়া করা যায়? মাথা নাড়িয়ে আমি ‘না’ সূচক সম্মতি দিলাম। রুবিনা দাপিয়ে হাঁটা হাঁটা শুরু করলো। বললো, আয় আমার সাথে। বললাম, কোথায়?
বললাম না আয়? বলেই সে ছুট দেয়।
যেখানে এসে এই হাঁটা থামলো, জায়গাটা পাবলিক লাইব্রেরি। লাইব্রেরির ক্যান্টিনে চারটা কিমাপুরি, দুইটা আলুর চপ, দুইটা ভেজিটেবল রুলের অর্ডার হলো। রুবিনাই দিলো। আমি বসে রইলাম তার পাশে। তার মুড অফ। আমিও নীরব। মাঝে মাঝে তার চোখের দিকে তাকানোর চেষ্টা করছি। বড় বড় লাল চোখ দেখে আবার চোখ নামিয়ে ফেলছি। অনেক দিনের চেনা মেসিয়ার তমিজ পুরি, চপ নিয়ে এলে কোনো কথা না বলে আমি খেতে শুরু করলাম। রুবিনাও। বেলা চারটা গড়ালে বাসার ফোন পেয়ে রুবিনার মনে হলো তাকে উঠতে হবে। আমি রুবিনাকে শাহবাগ থেকে এটিসিএল বাসে চড়িয়ে দিলাম। সে বাসে চড়লো এই নির্দেশনা দিয়ে যে, আটটার মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে, রাত নয়টার মধ্যে ফোন দিতে হবে, না দিলে খবর আছে। আমি টিউশনি সেরে ঠিক ঠিক বাসায় গিয়ে হাতের কাজ শেষ করে ফোন করি রুবিনাকে। লাইনটা কেটে দিয়ে সে ব্যাক করে। খুশির ঢেঁকুর গিলে ধন্যবাদ জানায় আমাকে। আমি কারণ না খুঁজে স্বাগত বলে তার ঝাড়ি থেকে বাঁচি। সন্ধ্যায় কী খেলাম, বাসায় ফিরলাম রিকশায় না বাসে, গানের ক্লাসের আর কত দিন আছে, রাতের খাবার সেরেছি কি না—এভাবে কথা চলতে থাকে বহু দূর। কার্তিকের পোয়াতি চাঁদ রাতের অন্ধকার ম্লান করে কোদালি আকাশটায় ঘুরে বেড়ায় মহাজাগতিক নিয়মে। পশ্চিমের জানালা ধরে তার কিছু ছাঁট পড়ে বিছানায়। আমি ঢুলুঢুলু চোখে জেগে থাকি। সাত রাজার গল্প বলি, তের নদীর কিচ্ছা বলি, মীরাক্কেলের মীর আর ‘হা-শো’র নানান কথা বলি। রুবিনা খিলখিল করে হাসে। আহ্ কী হাসি! আমিও এপার থেকে হাসি, হাসির মতো শব্দ করি। থেমে গেলে রুবিনা ক্ষেপে যায়, ‘কী রে ঘুমিয়ে যাচ্ছিস? আমার আগে তুই ঘুমালে তোর কান ছিঁড়ে ফেলবো। একমাস আমার সাথে কথা বলতে পারবি না। তোর সব দাঁত আমি নিজ হাতে ভেঙে দেবো।’ আমি হু-হা করি। ওপার থেকে কোনো শব্দ না আসলে বুঝি, তার চোখে ঘুম নেমেছে।
এটা প্রতিরাতের গল্প। রুবিনা ঘুমিয়ে গেলে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি, না হয় রাতটা কেটে যায় সুনীলের নীরার সঙ্গে, সৈয়দ হকের নূরলদিন, আকবর হোসেন অথবা কবির সুমনের ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই’ গানের সঙ্গে। সকালে সাড়ে নয়টা বেজে গেলে আমার ঘুম ভাঙে ফোনের রিং-টোনে। রুবিনার ফোন, ‘কী রে আর কত ঘুমাবি, রাতে ঘুমাস না? এ জন্যই তো আমাদের পাড়ায় চোরের এত উৎপাত! তা হলে তুই’ই এসব কাজ করিস!’ আমি হাসি। রুবিনা হাসে। ‘উঠ্, তাড়াতাড়ি উঠ্। সোয়া দশটায় রোবায়েত স্যারের ক্লাস, ধরতে পারবি?’ বলে তার গলা চড়া হয়। আমি বলি, ‘পারবো, উঠছি।’ সে বলে, ‘উঠছি বলে কোনো কথা নেই, আমি লাইনে আছি, উঠ, ফ্রেশরুমে যা তারপর রাখছি। উ্ঠ. . .।’ রুবিনা ফোন কাটে না। আমি ফ্রেশরুমে ঢুকে ঝরনা ছাড়লে জলপড়ার শব্দে রুবিনা লাইন কাটে। পৌনে এক’টায় আসিফ স্যারের ল্যাকচার শেষ হলে প্রবীরের সঙ্গে বের হয়ে শাহবাগ থানার কোণায় রকির দোকানে যাই। কানে আসে, ‘এই মৃদুল, আমি এই দিকে।’ বুঝি, এটা রুবিনার স্বর। ‘এখানে আয়’ আবার বলে। এড়ানোর উপায় নেই। অর্ধেক চা শেষ করে রাস্তা পার হই। তার হাতে এক ঝুড়ি ছোট ছোট বক্স। মুখটা লাল। হাতের রগগুলো টানটান। অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, সে ছাপ স্পষ্ট। প্রবীর বিদায় নিলো। আমরা লিচু তলায় এসে বসি। একে একে সবকয়টা বক্স খুলে মুখের সামনে ধরে রুবিনা, ‘নে ঝটপট খেয়ে নে। ঘুম থেকে উঠে কিছু খাসনি জানি। খাবি কেন, ঠিকমতো খেলে যদি শরীরটা ভালো থাকে, তা করবি কেন। ভন্ ভন্ করে সারাদিন ঘুরবি আর বিস্কুট, সিঙ্গাড়া খেয়ে দিন সাবার করবি। নে খেয়ে নে।’ হরহর করে তার পেটের কথা পাড়তেই থাকে, পাড়তেই থাকে। আমি চেয়ে থাকি তার মুখটার দিকে। কথা বলার দিকে। রাগের দিকে। বলে, ‘নে হা কর।’ আমি কথা মতো হা করি। জানি কোন বাধাতেও রক্ষা হবে না। তাই বাধাও দেই না। একটানে লুচি, হালুয়া, মিষ্টি, ডিম-বন, ভুনা-গোস্ত, পুডিং সব মুখে পুরতে হয় নিঃশব্দে। এই মুহূর্তে ‘না’ বলা মানেই হলো বিকট চোখ, কটমট দাঁত, সব ছুড়ে ফেলা, অবশেষে হাউমাউ কান্না। তারপর বাড়ির কথা বলে কোনো চিপায় ঘাপটি মেরে থাকা। শত ফোনেও রিসিভ না করা। ফোন বন্ধ। সাতদিন পর রাগ নামলে গলা চেপে ধরে, ‘তোর জন্যই তো এমন আতিপাতি। তোর জন্যই তো আমি এমন। তোর জন্যই তো সব খাপছাড়া। তোর জন্যই তো…।’ যেন আমিই নষ্টের মূল। এরপরও বকে বকে একসার করা। চোখের জলে থৈথৈ হওয়া। সারি-সারি অভিযোগ, ‘তুই রাগ করস কেন? আমারে রাগাস কেন?’ কে নেয় এত ঝামেলা। পেট ভরে গলা পর্যন্ত পূর্ণ হলে বারবার ঈশ্বরের নাম নিতে নিতে মুখটা হাসি হাসি করে আমি গিলতে থাকি। খাওয়ার পরে ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে নিজের হাতটা মুছে আমার হাতটাও মুছে দেয় রুবিনা। পাশ থেকে লিচু তলার চেনা পাগলা সদরুল মিয়া খিলখিল করে হাসে আর বলে, ‘মায়া গো মায়া।’ আমি খানিকটা লজ্জায় পড়ি। সদরুলের দিকে থেকে চোখ ফিরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকি। যেন কিছু শুনিনি। আমার মন চিন্ করে ওঠে, ধরে আসে ভেতরটা। নিজেই যেন নিজের মুখটা দেখি, ফ্যাকাশে। প্রকাশ করি না।
ছবির হাট, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, ভাস্কর্য চত্বর, লাভরোড, পলাশী, শহীদ মিনার, কণার চায়ের দোকান, স্বপন মামার মরিচ চা করে করে সারাটা দিন টইটই করি। রুবিনার সেই-না কত কথা। স্কুলের রবিন স্যারের প্রেম সম্বোধন, হাসিনা ম্যাডামের শাস্তি, পরীক্ষার সময় অঙ্ক খাতা বদলে, ধরা পড়ে, আর সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে না পারা, কলেজে অনিলের পাগলামি আর ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে চার সপ্তাহ হসপিটালে ভর্তি, একই টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য কী কৌশল, যেন স্মৃতির ব্রিপকেস খুলে বসা। আমি সেই আগের মতোই। শুনি আর শুনি। দুই একটা জবাব দেই তো, কোনোটার দেই’ই না। রুবিনা মেজাজ দেখালেও আমাকে সে জানে। বেশির ভাগ সময়ই বোঝে। তারপরও চটে গেলে সেই হয়ে যায়। আমি মেনে নেই সবকিছুই। কেন মেনে নেই, তার সঠিক ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। অবশ্য রুবিনা ইদানিং আগের কথা, পরের কথা, হঠাৎ হঠাৎ আজগুবি কথা, জীবনের কথা খুব বেশি বলে। কারণে-অকারণে মন ভার করে, হাজার বায়না ধরে, অভিমান করে কথায় কথায়। নিজেকে নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ের হাবিজাবি বলে যখন তখন। কিছু বলতে পারি না। ভেতরে স্বচ্ছ আকাশটা মেঘলা করে আসে। কখনো বসে থাকি স্থির হয়ে, কখনো উঠে গিয়ে চোখ মুছে আসি, না হয় কথার বাঁক ঘুরিয়ে অন্য কথা বলি। গোপালভাঁড়ের ভাঁড়ামি, মিস্টার বিনের কোনো অ্যাপিসোর্ড বলে চেষ্টা করি মন হালকা করার। হালকা যে হয় না, তা না। কিন্তু নিজেকে প্রতারক মনে হয়। মিথ্যুক মনে হয়। অপরাধ বিবেকের মধ্যে টোকা দিয়ে দিয়ে আহত করে বারবার। একজন মানুষকে মিথ্যা বলে বলে আমরা ভুলিয়ে রাখছি। সত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখছি। জানার অধিকার থেকে নীরবে বঞ্চিত করছি। বলতে চেয়েও আমরা বলতে পারছি না। মাঝো মাঝে আমি ভাবি, এ কি আমাদের ভালোবাসা, না নিজেকে বাঁচানোর জন্য সত্য থেকে হাসি হাসি মুখ করে পালিয়ে বেড়ানো? বাস্তবতার যে রূঢ় রূপ আছে, সে রূপ দেখতে চাই না বলেই কি আমরা লুকিয়ে ফেলছি পরম বাস্তবতাকে? ‘সত্য যে কঠিন’, কঠিনেরে তবে কি আমরা ভালোবাসতে ভয় পাই? কোনটা ঠিক, তা ঠাওর করতে কষ্ট হয়। তবু চরকার মতো ঘুরি আমরা। দক্ষ অভিনয় শিল্পীর মতো অভিনয় করে চলি। চলতে হয়। এমন মুখচ্ছবি দেখলে কেউ পারবে না সত্য-মিথ্যা, ভুল-শুদ্ধ, ঠিক-বেঠিক, ন্যায়-অন্যায় নির্দিষ্ট করতে। পারবে না মুখোমুখি হয়ে তাকে বলতে। যা বলা দরকার। যা জানানো দরকার। বিবেক যুদ্ধে ছিন্নভিন্ন হবে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এলোমেলো হবে চোখ, ভাবনা।
সিদ্ধান্ত নিতে বেগ পেতে হবে, কী বলা উচিত, কী করা উচিত, দেবকন্যার মতো তার মুখোশ্রী, বাঁশিসম নাক, কালো কাজলের কোনো লেশ নেই, তবু কাজলটানা চোখ। ময়ূর ছানার মতো দেখতে। খাড়া খাড়া কান, খরগোশ যেমন হয়। পেঁয়াজ পর্দার মতো ঠোঁট, জোড়ালাগা ভ্রূ। ডান গালের বাম কোণের তিল অপ্সরীর রূপের মতো আঁকা। শিশিরে ধোয়া নারী হয়ে জাগা ছিপছিপে নদীর মতো টলমল বহতা। টুনটুনি পাখির মতো চঞ্চল—এমন সুন্দর মানুষটি পৃথিবীতে আর মাত্র কয়েকটা মাস উপস্থিত থাকবে, সে কি কল্পনা করা যায়! কল্পনা করা যায় কি? কোনোভাবেই তাকে আর ধরে রাখা যাবে না এই বিপুলা পৃথিবীর আলো বাতাসে, মায়া মমতায়! সম্পর্কে? আর, সে কারও উপর রাগ করবে না, অভিমান করবে না, যখন তখন দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়বে না, যা ইচ্ছে তাই বলে নিজেই আবার হু-হু করে কাঁদবে না! বায়না ধরে এ-শহর চষে বেড়াবে না, অলিগলিতে, রোদে, বৃষ্টিতে মাতবে না! এসব ভাবতে ভাবতে ঝুপ করে বৃষ্টি নামে। আমরা শহীদ মিনারের বেদীতে। আমি ছুট দিতে গেলে রুবিনা আমার হাতটা মুঠ করে ধরে। আমি দাঁড়িয়ে যাই। রুবিনার চাখে আমার চোখে। আমি রুবিনার চোখের দিকে তাকিয়ে। ‘চল আমরা আজকে বৃষ্টিতে ভিজি। পুরোটা বৃষ্টিতে তুই আর আমি থাকি। ভিজবি?’ ভেতরটা চমকে ওঠে। আমি কাঁপতে থাকি। কেন, জানি না। বলি, ‘না, এ অসময়ের বৃষ্টি ভালো না, জ্বর ধরবে। তোর শরীর খারাপ করবে। চল।’ সে ক্ষেপে ওঠে, ‘কে বলেছে শরীর খারাপ করবে, করবে না। আর করলে তোরও করবে। না-হয় দুজনেই বাসায় পড়ে থাকবো দুদিন। আমি অত সহজে মরবো না। তোকেও মরতে দিবো না।’ আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে রুবিনা। তার মরার কথাটা আমার বুকে তীরের মতো বিঁধে। টনটন করে ওঠে সমস্ত অস্তিত্ব। স্তব্ধ হয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলতে পারি না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। একরাশ বৃষ্টি বইতে থাকে আমার ওপর, রুবিনার ওপর, আমাদের ওপর। দুজনের কেউ কোনো কথা বলি না। দূরে কুয়াশার মতো ঝাপসা সব। কাছেও কাউকে দেখা যায় না। রুবিনা আমার দুইটা হাত মুঠ করে ধরে রাখে। ধরেই রাখে। বৃষ্টি আরও বাড়ে, লিচু তলার পাগলা সদরুল মিয়ার কথাটা আমার মনে পড়ে, ‘মায়া গো মায়া।’ বৃষ্টি আরও বাড়ে। আরও বাড়ে। আমার শরীর তিরতির করে ঠাণ্ডা হয়ে আসে। ভেতরে কাঁপন ধরে। অজানা ভয়ের কাঁপন। টের পাই, রুবিনাও কাঁপছে। তবু আমি আর ফেরার কথা বলি না। বলি না, ‘চল।’ কী লাভ বলে? বৃষ্টির ফোঁটায় অনন্তের কান্নায় একাকার হয় অঙ্গন। সমস্ত দিয়ে আমি চেপে রাখি সে কান্না। সে কান্না চাপা থাকে না।
শেষবার কোলকাতা থেকে ফেরার সময় ডা. অনিল পোদ্দার জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করলাম, সুফল তেমন পাইনি। গোড়াতেই গলদ হয়ে গেছে। এমন সময়ে আপনারা এসেছেন যখন জীবাণু তার ফুসফুস দখলে নিয়েছে বেশিটাই। এই অসুখ মৃত্যুর আরেক নাম হয়েই মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে। বুঝতে দেরি করলে উপায় থাকে না! তাই হয়েছে! অলৌকিকভাবে মেয়েটির যতটুকু দুর্বল হওয়ার কথা ছিল, অতটা সে নয়। তাই বলে নিশ্চিন্ত থাকার কিছু নেই। সময় খুব কম! হঠাৎ করে থেমে যাবে। তাকে তার ইচ্ছেমতো বাঁচতে দিন কয়েকটা মাস।’ ডা. অনিল পোদ্দার যেমন পারেননি সেদিন কথাগুলো রুবিনাকে বলতে, রুবিনার বাবা যেমন পারছেন না, আমিও বলতে পারি না, ‘তুমি আছ, আর কয়েকটা দিন।’