জোছনা
আকাশ খুলে আকাশ দেখি
জোছনা করি পাঠ।
দেহের ভেতর লুকিয়ে আছে
চরাচরের মাঠ।।
নিশি দিন হই বিমলিন
বাজাই সুরে সুরে।
মন আমার হারায় খেয়াল
দুরে সুদূরে।।
(ও সেই) সুরের নেশায়, অমানিশায়
ঘুরছি নানান ঘাটে।।
হাটে মাঠে পরিপাটে
নানান ফুলের ঘ্রানে।
হারাতে চাই তখন হারাই
ছুটলে তাহার পানে।।
( ও সেই) তাহার আলো, লাগে ভালো
খুললেই কপাট।।
ঠিকানা
কোথায় গেলে আপন মেলে
আপন বাড়িঘর।
জীবনটা এক দেহের ভেতর
অলীক যাযাবর।
আমার ভেতর আমি এখন
বড্ড নিশাচর।।
ঘরটাকে যেই পর করেছি
পর হলো আপনজনা।
আপন ঘরে বাঁধলো বাসা
সে হলো বাউলমনা।
আমার, বাউল মনের লেনাদেনা
গুরুশিষ্য পরম্পর।।
একটা বাড়ি, আপনারই
তারে চিনতে হলে।
চেনাজানা ভুলগুলো সব
ভুলে যাও তাহলে।
চন্দন বলে, সফল হলে
চিনবে আপনপর।।
সন্ধ্যা
যখনই সন্ধ্যা আসে গোধূলির আকাশে।
মন আমার নিরাকার, ভরে যায় আবেসে।
(তখনই) তোমার ঘরে, একাকি নীরবে,
ছুটি অবশেষে।
এমন সন্ধ্যা যদি আসে।
প্রকৃতির বৈভবে, ছড়ায় না সৌরভে
তোমাকেই খোঁজে।
নিরালায় কেন তবে
দুচোখ যে বোজে।।
চোখ বুজে দেখি যত
খোলা চোখে নয় তত
একাকি সে ভাসে।
সেই তুমি এই তুমি, বেদনার মরুভূমি
তবু কাছাকাছি।
জীবন যাপনে কেন
এত কাছে আছি।
থেকেও থাকি না যেই
কত কিছুই বেছে নেই
নিজের ভুলে তার মাশুলে
একাকি যে হাসে।