মুজিব আমার
মুজিব আমার চেতনার রঙ দিশাহীনের আশা
লাল-সবুজের চাদরজোড়া গভীর ভালোবাসা।
যখন মেঘে আকাশ ঢেকে রাখে
মাঠের রাখাল বজ্রকণ্ঠে ডাকে
মুজিব তখন নিপীড়িতের চির কাঁদা-হাসা।
মাঠ ভরা ধান দূর দিগন্তে সবুজের হাতছানি
নদীর ঢেউয়ে বাতাস নাচে স্রোতের কানাকানি
তর্জনি তার মিনার হলো যদি
নামলো মানুষ রাজ পথে রে মানুষ হলো নদী
ওরে দেখরে চেয়ে কামার-কুমার দেখরে মাঠের চাষা।
ঝুলছে দুপুর
ঝুলছে দুপুর চার দেয়ালে, ঝুলছে দুপুর মনে
উড়ন্ত মেঘ থমকে তাকায় হঠাৎ তারার বনে।
দুরন্ত রোদ উড়ছে এখন
কারও কি মন পুড়ছে ভীষণ
কেউ কি আবার জ্বলছে প্রেমে কোথাও সংগোপনে?
যায় পুড়ে যায় স্মৃতির নদী সাগর ভুলে যায়
হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসলো কি চাঁদ মোমের জোছনায়?
গাছের পাতায় স্বপ্ন দেখে
প্রজাপতি কী দেয় এঁকে
কী উড়ে যায়, কী রেখে যায় কারা সযতনে?
ভালোবেসে
ভালোবেসে কত জনই মরেছে গো যুগে যুগে
আমিও যে মরিতে চায় তারে ভালোবাসার সুখে।
তারে ভালোবেসে সখি মরমে যে মরেছি গো
সে যে আমার মেঘবালিকা শ্রাবণরাতে পেয়েছি গো
সখি গো তার গোপন চুমো কাঁটা হয়ে বিঁধছে বুকে।।
বুকে আমার হাজার ক্ষত, সে উড়ে যায় মেঘের দেশে
একা ঘরে মরণ আমার—সখি তারে ভালোবেসে
সখি তারে দেখিতে চাই মরণকালে পোড়া চোখে।
আরও পড়ুন: রাত নেমেছে ॥ মোহাম্মদ নূরুল হক