মুখে বলো ভালোবাসি
মুখে বলো ভালোবাসি; অন্তরে কও বাসি না
ভেবে দেখো, অমন ক্ষেতের আমি বর্গা চাষি না।
চাষ করেছি আপন মনে
হাল ধরেছি নিঠুর বনে
যেমন করে হাসাতে চাও তেমন করে হাসি না।
মুখে বলো ভালোবাসি, অন্তরে কও বাসি না।
ভালোলাগা ভালোবাসা, অত সহজ নয়
সব জীবনের ভেতরই থাকে অনিশ্চয়।
দেহ মনের না হলে মিল
সে দরজার ভেতরে খিল
খুলতে হলে মন দিতে হয়, মন তো অবিনাশী না।
মুখে বলো ভালোবাসি, অন্তরে কও বাসি না।
সুখ
লজ্জায় তুমি লাল হয়ে যাও
সজ্জাতে চাও সুখ।
কাছে এসে আজ দু’হাত বাড়াও
খোলাই রেখেছি বুক।
তোমার গোপন ভিষণ আপন
পেলেই সারে অসুখ।
রাতে চঞ্চল দিনে অবিচল
ওড়াউড়ি করে পাখি।
মন জানালায় খুব নিরালায়
সারারাত মাখামাখি।
দিনের বেলায় চড় না ভেলায়
রাঙাও তবুও মুখ।
মিষ্টি হাসিতে সুরের বাঁশিতে
চুপিচুপি বলো কানে।
বললে আমায় দেব কি তোমায়
থেকো আজ সাবধানে।
এমনি করে যে প্রেমের ঘরেতে
দেখি অনাবিল সুখ।
তা না না না
তা না না না না তা না না না
বুকরে ভতের প্রেমের অনল
জ্বলছে দেখে যা
আমারে তোর মনটা দিলে
আর হারাবো না
তখন দুজন খুঁজে নেবো
সুখের মোহনা
তা না না না না তা না না না না
ভোরের স্বপ্নে বিভোর হতে
রাতের আঁধারে
নিদ্রাবিহনী কাটিয়ে দেই
হারাই দ্বারে দ্বারে
ভাবতে গেলে হৃদয় মেলে
খুলে রাখি যা
তা না না না না তা না না না
আমি যে তোমারি প্রেমে
হলাম দিওনা
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে
সুরের মূর্ছনা
তুমি আমার চাষের খামার
আসল ঠিকানা
তা না না না না তা না না না
প্রেমের জ্বালা
থাকলে মনে প্রেমের জ্বালা,
হয়ে যাই অবিনাশী
বোঝাতে পারিনি আজও
কতটা ভালোবাসি।
ভালোবাসার পবিত্র ধন
মন দেহ করে নিরঞ্জন
যখন-ই তার দ্রোহের আগুন,
করে দেয় উদাসী।
বোঝাতে পারিনি আজও
কতটা ভালোবাসি।
আমার উদাসী মন
যখন তখন, তোমায় পেতে চায়
না পেলে সে নিরুদ্দেশে
একাকী হারায়।
হারাতে হারাতে এখন
ফিরে এসে দেখি স্বপন
তোমাকে বোঝাতে আমি
বাজাই বাঁশের বাঁশি।
বোঝাতে পারিনি আজও
কতটা ভালোবাসি।
মুশকিল
আমার দরজা খোলা আছে
তোমারটাতে খিল।
কেমনে যাবো তোমার কাছে
বড্ড যে মুশকিল।
মন মানে না কেউ জানে না
কিভাবে বোঝাই।
আসলে কাছে হৃদয় নাচে
ততটা সোজাই।
সহজ করে হয়নি বলা
তাই তো হয়নি মিল।
কেমনে যাবো তোমার কাছে
বড্ড যে মুশকিল।
জানতে গিয়ে হৃদয় দিয়ে
পেলাম না যে সাড়া
বলছি তবু পাইনি কভু
দিলাম না তো তাড়া।
ইচ্ছে হলে ডাকতে পারো
করো যদি ফিল।।
কেমনে যাবো তোমার কাছে
বড্ড যে মুশকিল।