চোখের পানির ফোঁটাগুলো
চোখের পানির ফোঁটাগুলো
মনের সুতোয় গাঁথলে, জানি
ভালোবাসার মালা হয়—
ভালোবেসে এমনতর জ্বালা হয়॥
যে সুখ দিয়ে বুক বাঁধা যায়
সেই সুখেরই স্বপ্নগুলো
বুকের ভিতর কান্না তোলে—
বুকটা ফালা ফালা হয় ॥
ভালোবেসে এমনতর জ্বালা হয়।
যে রঙ দিয়ে প্রেম গড়া যায়
সেই রঙেরই কষ্টগুলো
মনের ভিতর আগুন জ্বালে —
মনটা পুড়ে কালা হয় ॥
ভালোবেসে এমনতর জ্বালা হয়।
যারে যত্নে পুষি এই অন্তরে
যারে—যত্নে পুষি এই অন্তরে
অন্তর পোড়ায় সেই —
ভালোবাসার মানুষ আমার
অন্তরে আর নেই ॥
ব্যথা হইল গাঁথা মালা
. গলায় পরিলাম
গলার মালাই ফাঁস হইল তাই
. জ্যান্তে মরিলাম —
এই মরণে প্রেমের শিখা
. জ্বলতেছে অঙ্গেই ॥
কথা হইল বিষের কাঁটা
. বুকে গাঁথিলাম
বুকের জ্বালা জুড়াইতে প্রাণ-
. বন্ধু পাতিলাম।
বন্ধু হইল বাউল পঙ্খি
. উইড়া গেল বনে
সেই দুঃখেতে মন পুড়িল
. মনের সংগোপনে —কোন্ বা মনের সাথে পোড়া-
. মনের কথা দেই ॥
আমার রাধা না-শোনে গান
আমার রাধা না-শোনে গান না-শোনে আর বাঁশি
প্রেমের কৃষ্ণ সন্ন্যাসী আজ নেই মুখে সেই হাসি রে
নেই মুখে সেই হাসি ॥
এখনো ওই নদীর জলে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে
সেই জলে স্নান করে রাধা মনটা কি তার গলে রে —
কার আশাতে সন্ন্যাস ছেড়ে নদীর ঘাটে আসি রে
নদীর ঘাটে আসি ॥
এখনো ওই বনের ফুলে কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে
সেই ফুলে সাজ করে রাধা যায় সে পরের ঘরে রে —
তাই বুঝি সন্ন্যাসীর মনও হয় আরো উদাসী রে
হয় আরো উদাসী ॥
বন্ধু মন দিও না ভুলে
বন্ধু
মন দিও না ভুলে
মনের কথা জানাতে আজ মনটা রাখো খুলে॥
বন্ধু, মন দিও না ভুলে বন্ধু, মন দিও না ভুলে।
বৃক্ষে থাকে সবুজ পাতা
ফুল দিয়ে যায় মালা গাঁথা।
ওরে—প্রেমের মালা যায় না গাঁথা স্মৃতির কোনো ফুলে॥
ঝড় তুফানে শঙ্কা ভারি
গাঙের জলে বাড়াবাড়ি
ওরে—প্রেমের জলে ডুবতে গেলে সাগর ওঠে দুলে ॥
বাজলে বনে শ্যামের বাঁশি
ঘরেতে মন হয় উদাসী
ওরে—প্রেমের বাঁশি সুর মানে না অন্তরে সুর ছুঁলে ॥
মন দিলে মন যায় না পাওয়া
সুখের জীবন হয় রে হাওয়া
ওরে—জীবন থেকে পালালে তার কে থাকে তিন কুলে॥
যত কাছে যেতে চাচ্ছি তোমার
যত কাছে যেতে চাচ্ছি তোমার
তত বেশি ঘুরে দাঁড়াচ্ছ
বুকের ভেতরে হাহাকার তুলে
অস্থিরতাই বাড়াচ্ছ ॥
ভালোবাসি বলে মুখটা ফেরানো ভালো নয়
জোছনার মতো নিজের আলোটা জ্বলো নয়
জানি না আঁধারে রেখে কেন তুমি
এত কলকাঠি নাড়াচ্ছ ॥
স্মৃতির আকাশে উঁকি দিয়ে ব্যথা ভোলো নয়
আবেগে আবার হৃদয়-দরজা খোলো নয়
জানি না এভাবে পাচ্ছ কী তুমি
না কি সবকিছু হারাচ্ছ ॥