এক.
কত সাধনায় তোমাকে পেয়েছি, তোমাকে মেনেছি প্রিয়,
তুমি পাশে বসে হাতখানি ধরে একটু ভরসা দিও।
কেউ তো বোঝে না আকুতি আমার
মরমের কোণে বাজে হাহাকার
তোমার নামেই অর্ঘ্য সাজাই, করে তুলি বরণীয়।
বিরহের বাঁধ ভেঙে গেছে তাই
দিবস-রজনী তোমাকেই চাই
ভালোবাসা ছাড়া তপনের জেনো নেই কিছু করণীয়।
দুই.
এই তো কেবলি নেমেছে সন্ধ্যা
এখনো ফোটেনি রজনীগন্ধ্যা
কণ্ঠে তোমার বেহাগের সুর গেয়ো না
ফিরে যেতে তুমি এখনই বিদায় চেয়ো না।
এখনো নামেনি রাতের আঁধার
কেমনে পেরোবো এই পারাবার
আমাকে একাকী ফেলে রেখে তুমি যেয়ো না।
যখন থামবে সব কোলাহল
মন খুঁজে পাবে খুশির অতল
তপন-সাগরে দুঃখতরণী বেয়ো না।
তিন.
আঁখিজল যেন আঁখিতে লুকায়
মধুর লগন আজ বয়ে যায়।
বিরহ ব্যথার এই গুরুভার
মরমে সইতে পারি না যে আর
গাঁথামালা তাই হাতেই শুকায়।
পরদেশে বুঝি চলে গেছে প্রিয়া
সুর তুলে তাই কাঁদিছে পাপিয়া
একাকী আঁধার রজনী পোহায়।
জানি না কী ভুলে এই পরিণতি
বুঝি নাই তার কোনো মতিগতি
অভাগা তপন করে হায় হায়!