জ্বালা
সারা রাত জেগে জেগে নিজেকে একলা তুমি
পুড়িয়ে দিলে
আমার সুখের ঘর জানি না কী অপরাধে
গুঁড়িয়ে দিলে॥
যা চেয়েছ দিতে চাই তারো চেয়ে বাড়তি
বুঝলে না এ বুকের আর্তি
ঘাটের কাছের তরী ভিড়তে না দিয়ে তুমি
ঘুরিয়ে দিলে॥
যা দিয়েছে তাতে আমি হয়ে আছি পূর্ণ
নিমিষেইসব হল চূর্ণ
ভালোই করেছে আজ, হদয়ের সব জ্বালা
জুড়িয়ে দিলে॥
উজান-ভাটা
কখন তরী ভিড়বে এবার কূলে এসে
দুইটি হৃদয় মিলবে তখন মূলে এসে॥
কেউ জানে না তার চালাকি
ভাঙবে প্রেমের এই তালা কি
রসিক সুজন নিজের কর্ম ভুলে এসে॥
নৌকা চলে স্রোতের টানে
উজান-ভাটা কে না জানে!
করবে দেখা কখন সে মাস্তুলে এসে॥
আরশিনগর
খুঁজতে গেলি আরশিনগর
একলা কেন সন্ধ্যারাতে
বুঝি না তোর আসল চলন
সুর বেঁধেছিস কোন্ ধারাতে!
কুড়োস কি তুই মুক্তা-মাণিক
ছেউড়িয়ার ওই রাঙ্গা ধুলায়
ক্লান্তি তোকে ধরলে ঠেসে
বাউলা বাতাস সোহাগ বুলায়
পড়শীনাগর রইলো বসে
কালিগঙ্গার কণ্ঢারাতে॥
বুঝলি না তুই ভবের হাটে
কাচের দামে স্বর্ণ বিকায়
রাখবি যারে গলায় তুলে
সেই তো ঝোলে শখের শিকায়
নাই রে ছায়া, এই তপনের
চায় না সেথায় মন দাঁড়াতে॥