ও রে ও কবিরাজ ভাই
ও রে ও কবিরাজ ভাই,
দাও বলে দাও আমার দেহে হইলো কী অসুখ
চোখ বুঁজিলে চোখে ভাসে একটি কালো মুখ॥
ঠোঁটে যে তার মধুর হাসি
কণ্ঠ যেন মোহন বাঁশি
তার নামে আজ হই উদাসী
তার ইশারায় ঘর ছাড়িতে থাকি যে উন্মুখ॥
বাড়ছে অসুখ ক্ষণে-ক্ষণে
স্বস্তি তো নাই দেহে-মনে
দেখা হইলে কালার সনে
কেমন করে কইব কথা, বুক করে ধুকপুক॥
তোমার কবিরাজির দোহাই
এই বেদনা কেমনে পোহাই
তপন বলে উপায় তো নাই
বিচ্ছেদেরও বড়ি দিয়া শান্ত করো বুক॥
ভালোবেসে আমায় কেন
ও সে ভালোবেসে আমায় কেন বিরহ দিলো না
ও সে ভালোবেসে আমায় কেন বিচ্ছেদও দিলো না
ওরে বিরহ আমারও কাছে দামি কাঁচা সোনা
ওরে বিচ্ছেদও আমারও কাছে দামি কাঁচা সোনা॥ রে
ও সে আমায় শুধু ভালোবাসলো দিলো না তো জ্বালা
ও সে আমার জন্য গেঁথে রাখলো বকুল ফুলের মালা
ওরে বিনিময়ে আমার কাছে কিছু তো চাইলো না॥ রে
বলো তার বিরহ ছাড়া তপন বাঁচবে কেমন করে
জানি তারে পেয়ে অনেক আগেই গেছে সে যে মরে
ওরে মরারে সে মারার বুঝি সময় আর পাইলো না॥ রে
আমারে বসাইয়া ঘরে
আমারে বসাইয়া ঘরে
একা একা চুপটি করে
খুঁইজা নিলা মায়ার মানুষ, (সে যে) সুরের জাদুকর
(আমার) পুড়িল অন্তর॥
সুখের আশায় সুরের টানে
কোথায় গেছো এ-মন জানে
কইতে গেলে ভাঙতে পারে (আমার) ছোট্ট কুঁড়েঘর॥
(আমার) পুড়িল অন্তর॥
সুর শুনিলেই বুঝতে পারি
কোন সাগরে দিচ্ছ পাড়ি
তপনের দিন চইলা গেছে (বন্ধু), তাই করিলা পর॥
(আমার) পুড়িল অন্তর॥