সম্প্রতি ফেসবুকে কারো কারো স্ট্যাটাস দেখে আমি হতবাক হই। এতে অবশ্য ব্যক্তির মেধা, জ্ঞান, রুচি-অরুচির পরিচয় পাওয়া যায়।
এখানে কয়েকটি প্রবণতা উল্লেখ করা হলো:
এক.
যিনি মেডিক্যাল কলেজের বারান্দায় যাননি কখনো, ফিজিও-এনাটমিক্যাল অথবা চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞান যার নেই, কারো অসুস্থতার কথা শুনে তিনি এমন সব পরামর্শ ও উপদেশ দিতে শুরু করেন, যেন বিশেষজ্ঞের অভিমত দিচ্ছেন। এসব পরামর্শ কোনো রোগীর জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না, বরং অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যু কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
দুই.
ভাষা ও সাহিত্যে যাদের ন্যূনতম জ্ঞান নেই, বিশুদ্ধভাবে একটি অনুচ্ছেদ লেখার যোগ্যতা নেই, ই-কার ঈ-কারের পার্থক্য যারা বোঝেন না, তাদেরও দেখি বাংলাভাষা বিষয়ক জ্ঞান দিতে। কবিতার ছন্দ ও অন্ত্যমিল সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ ধারণা নেই, অথচ কবিতা বিষয়ে জ্ঞান বিতরণ করেন। বানানরীতি না জেনেও বিসর্গ সন্ধি এবং বিন্দু-ত্রিবিন্দুর ব্যবহার নিয়ে নাক সিটকান যখন-তখন। এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞান দেখে আমি এ বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে শঙ্কিত।
তিন.
হাদিস একটি ইসলামি ও ধর্মীয় পরিভাষা। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে হাদিসের শ্রেণীবিভাগ, বহুবিধ সংজ্ঞা ও আমলের জন্য শর্ত বিষয়ে যাদের জ্ঞান সীমিত বা আদৌ নেই, তারাই এখন কথায় কথায় হাদিসের প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন। একজন মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র যখন বলেন, ‘এটা বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয় অথবা সগিহ হাদিসে এভাবে আছে’ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি।
ভাবছি, আমরা আসলে কোথায় বাস করছি!