৯৯৯
যে মেয়েটি ল’ কলেজে পড়তো বিষয় আইনে
গতকাল-ই ফোন দিলো সে হঠাৎ ট্রিপল নাইনে
‘হ্যালো হ্যালো ভাই-বেরাদার কাইন্ডলি ফোনটা ধরুন
ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিস একটা কিছু করুন
থেকে থেকে আগুন জ্বলে মনের ভেতর ভাই রে
এমন আগুন শীতল করার উপায় জানা নাই রে’
ওপাশ হতে জবাব এলো ‘তাইরে নাইরে নাইরে
আমরা শুধু আগুন নিভাই লাগলে মনের বাইরে।’
ব্যাঙের হলো সর্দি-কাশি
ব্যাঙের হলো সর্দি-কাশি,
কাশির সাথে রক্ত
বললো সবাই ‘কঠিন পীড়া
বেঁচে থাকাই শক্ত।’
মফস্বলে বসত-ভিটা
এতই খারাপ ‘লাক’ তার
নেত্রকোনায় এমন রোগের
নাই যে ভালো ডাক্তার।
এদিক-সেদিক ঘুরলে শুধু
রোগীর যেমন কষ্ট
নানান রকম টেস্ট করিয়ে
হাজার টাকা নষ্ট।
বউটি বললো ‘ঢাকায় চলো
আর থেকো না গর্তে
জমি-জিরেত বেচে এসো
নগদ টাকার শর্তে।’
সেদিন ছিল সন্ধ্যেবেলা
সূর্য তখন পড়তি
এমন সময় ব্যাঙটা এসে
পিজিতে হয় ভর্তি।
চেকাপ-টেকাপ করার শেষে
রেজাল্ট হলে তার
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা
মুখ করে সব ভার।
বললো তারা ‘আপনি কি ভাই
নবাব আলী বর্দি
বেডটা পুরোদখল নিলেন
রোগটা যখন সর্দি।’
ব্যাঙ হেসে কয় ‘সর্দি কিবা
যক্ষা সে হোক—রোগ তো!
রাষ্ট্রপতির সর্দি হলে
ঘরে বসে ভুগতো?
নাই নাই
ইট-কাঠের এই মেগাসিটির
কোথাও খেলার মাঠ নাই
ডুব সাঁতারে গোসল করার
তালপুকুরের ঘাট নাই।
নগরবাসী হাঁপায় শুধু
তাদের যেন প্রাণ নাই
রাস্তাজুড়ে নোংরা-পচা
ফুলের কোনো ঘ্রাণ নাই।
ছুটছে সবাই টাকার নেশায়
মহৎ কোনো ‘এইম’ নাই
ডেবিট-ক্রেডিট খেলা বাদে
অন্য কোনো ‘গেইম’ নাই।