[পর্ব-২৯]
জায়গাটা ভালো লাগছে না আর। বেশ অনেকদিন হয়ে গেলো এখানে ঘাঁটি গেঁড়েছে। মনে হচ্ছে শেকড় গজিয়ে গেছে এখানে। উঁহু। সেটি হতে দেওয়া চলবে না কিছুতেই। শরীর বাবাজিকে বেশি লাই দিয়েছ কী মরেছো! শেকড় গজাতে দিয়েছ তো সে ব্যাটা বজ্জাত ফন্দি আঁটবে ডালপালা মেলার, কিশলয় ছাড়ার! ব্যাটা মহাধড়িবাজ! সুখ খোঁজে অহর্নিশ, আরাম খোঁজে সর্বদা!
এছাড়া রহমত আলী লোকটাকেও সহ্য হচ্ছে না আর। একটা লোক সারাক্ষণ টিকটিক করছে তার পেছনে, সেঁটে আছে আঠার মতো, কাঁহাতক সহ্য হয় এই অত্যাচার! তাকে গুরু ভজে রীতিমতো পূজা শুরু করেছে লোকটা! এমনিতেই জীবন থেকে নিয়ত পালিয়ে বেড়াচ্ছে সে, তার ওপর আবার এই লোকটার বেহুদা ভক্তির চাপে এবার প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত হতে চলেছে তরুণের। না বাপু! এত অনাচার সহ্য হবে না তার। দীর্ঘদিন গুরুর ভেক ধরে চলা তার কম্ম না। ভেবে, সজোরে মাথা নাড়ে সে। পালাতে হবে। পাত্তাড়ি গুটোতে হবে এ তল্লাট থেকে।
দুম করে গত সন্ধ্যেটা মনে পড়ে। জিনিয়ার ডেরায় গেছিল সে গতকাল। জিনিয়াকে না জানিয়ে। হঠাৎ উপস্থিত হয়ে তরুণ চেয়েছিল জিনিয়াকে চমকে দিতে, জিনিয়াকে তেমনই বলেছিল তরুণ। আসলে তার উদ্দেশ্য ছিল অন্য। জীবন সম্পর্কে পুরোপুরি নির্মোহ হতে চায় তরুণ, নির্লিপ্ত হতে চায় সে মানবিক যেকোনো বিষয় সম্পর্কে। সে কারণে তরুণ চেয়েছিল, হঠাৎ করে গিয়ে, জিনিয়ার ডেরার প্রকৃত চেহারাটার একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে। এসব জায়গার আশপাশ দিয়ে ঘুরেছে সে, ভেতরে যাওয়া হয়নি কখনো। প্রয়োজনও হয়নি কখনো।
বরাবর জিনিয়াই দেখা করেছে তার সঙ্গে, কিংবা যোগাযোগ হয়েছে অন্য কারও মাধ্যমে। ঠ্যাঙারে দালাল লোকটা সম্ভবত তাকে চেনে। দেখে লম্বা সালাম দিয়ে হাসলো একগাল। অপ্রস্তুত কিন্তু পরিচিতের হাসি। সম্ভবত এর হাতে জিনিয়া একবার খাবার পাঠিয়েছিল তাকে। নোংরা, অপরিষ্কার জায়গাটা। দুই পাশে সারিসারি ঘর। মাঝখানে সরু একটু চলাচলের পথ। তাতে জায়গায় জায়গায় নোংরা স্তূপ হয়ে আছে, একটু দূরে, সম্ভবত অতিরিক্ত মদ্যপানে মাতাল কেউ বমি করে রেখেছে, তার ওপর নীল নীল কয়েকটা বেশ বড় আকারের মাছি খয়েরি-বাদামি চোখে ভনভন করছে, বসছে, আবার উড়ে যাচ্ছে, চক্রাকার উড়ে আবার এসে বসছে।
মহানন্দে সান্ধ্যভোজে ভীষণ ব্যস্ত তারা। নির্লিপ্ত, বোবা চোখে মাছিগুলোকে দেখলো তরুণ। মাছিগুলোকে হঠাৎ চেনা মনে হলো ভীষণ। চেনা কয়েকটা মুখ মনে পড়লো। কাকা মুজতবা খানের মুখটা চোখে ভাসলো দুম করে। লোকটাকে ক্ষমা করে দিয়েছে সে। কিন্তু জীবন সম্ভবত ক্ষমা করে না কাউকেই। এইসব মাছির মতোই, বিষ্ঠা, বর্জ্যের ওপর বনবন ঘুরিয়ে তাদের শাস্তি দেয়, অলক্ষ্যে। লোকটা এখন ঘুরছে শুনেছে। জীবন নামক বিষ্ঠা তাকে ঘুরিয়ে মারছে অবিরাম, নিয়ত উড়িয়ে চলেছে বর্জ্যের ওপর দিয়ে চক্রাকারে। চাইলেও মুক্তি মিলবে না সহজে আর। সেই শিশুবেলায় দেখা দৃশ্যটা এখনো গেঁথে আছে বুকের ভেতর, মাথার ভেতরে এখনো ভীষণ জীবন্ত সেই স্মৃতিটা। ভোরের হিম-হিম বাতাসে ঘুম-ঘুম ফোলা চোখে অপার বিস্ময় নিয়ে দেখা সে দৃশ্যটা বাকি জীবনে আর চোখ থেকে মুছলো না তার।
অনেকেই তরুণকে খদ্দের ভেবে পটানোর চেষ্টায় বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করছে। দেখেও না দেখার ভান করে চোখ সরিয়ে নিলো তরুণ। তাদের রসালো মন্তব্যও কানে তুললো না সে। অদূরে একটা ঘরের সামনে চোখ স্থির তার।
পুকুরপাড়ে, আমগাছের নিচু ডালটাতে দোদুল্যমান তার মায়ের শরীর, মাটি থেকে সামান্য উঁচুতে ঝুলতে থাকা খালি পা, ঘোমটা নেমে যাওয়া একদিকে কাত হয়ে থাকা মাথা, দাঁতে কামড়ে থাকা অনেকটা বের হয়ে আসা জিব, মায়ের শরীরটা অতটা আগ্রহ আর বিস্ময়ে আগে কখনো দেখেনি তরুণ, সেদিনের মতো। সদ্য ঘুম ভাঙা তরুণের চোখে সেদিন ভর করেছিল শৈশবের সকল বিস্ময় ও বিমর্ষতা, ভয় ও অনিশ্চয়তা। যে বোধ তাকে নিয়ত আচ্ছন্ন করে রেখেছে, তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বাকি জীবন। কয়েকটা কুকুর গন্ধ শুঁকে দৌড়ে এসে হামলে পড়লো সেই বমির ওপর। মাছি আর কুকুরের তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হলো, যেমনটা নিত্য চলে জীবন নামক ভাগাড়ে।
দালালটা হাসিমুখে জানালো, জিনিয়ার ঘরে খদ্দের আছে এখন, ও পথে যাওয়া যাবে না আপাতত। তরুণ চাইলে অন্য কোনো ঘরে খদ্দের হিসেবে ঢুকে যেতে পারে অনায়াসে। হেসে তাকে নিরস্ত করলো তরুণ। লোকটা তাকে খাতির করে ভেতরের দিকে নিয়ে বসতে দিলো একটা টুলে। পায়ের ওপর পা তুলে আয়েশ করে বসলো তরুণ। লোকটার কাছ থেকে একটা পান চেয়ে নিয়ে মুখে পুরলো অকারণেই। পান তার সহ্য হয় না একদম। কেমন কষাটে একটা স্বাদ। মুখটাই বিস্বাদ হয়ে যায়। সময় কাটানোর জন্য তবু চিবুতে থাকলো দীর্ঘক্ষণ। মনোযোগ দিয়ে দেখলো চারপাশ। এখনো খদ্দের জোটেনি যাদের, নিজ নিজ ঘরের সামনে তারা দাঁড়িয়ে আছে সেজেগুজে। অনেকেই তরুণকে খদ্দের ভেবে পটানোর চেষ্টায় বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করছে। দেখেও না দেখার ভান করে চোখ সরিয়ে নিলো তরুণ। তাদের রসালো মন্তব্যও কানে তুললো না সে। অদূরে একটা ঘরের সামনে চোখ স্থির তার। বয়স সম্ভবত ষাটের কোটায়, শনের মতো পাকা চুল, পরনে নীল পাড়ের গোলাপি সুতি শাড়ি, ঘরের দাওয়ায় বসে আছে টুল পেতে।
বুড়ির হাতের দিকে তাকিয়ে থাকলো তরুণ, অনেকক্ষণ। দ্রুতলয়ে তসবি গুনে চলেছে একহাতে, অন্যহাতে একটা খাতা। সম্ভবত এখানকার সব গণিকার নাম লেখা তাতে। বুড়ি হিসাব রাখছে খাতায়, কার ঘরে কখন খদ্দের ঢুকছে, কবার। দালাল লোকটা তরুণের দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখে বললো, উনি এখানকার মাসী। এখানকার সবাই উনার জিম্মায় ব্যবসা করে।
জীবনের এমন বিচিত্র রূপ আগে কখনো দেখেনি তরুণ। ইহকাল আর পরকালের এই অদ্ভুত সহাবস্থানে দারুণ চমকিত হলো সে। ভণ্ডামি আর মুখোশে ঢাকা জীবন এমন করে আগে কখনও উন্মোচিত হয়নি তার চোখে। গলা ছেড়ে গেয়ে উঠলো সে,
পাবে সামান্যে কি তার দেখা
বেদে নাই যার রূপ-রেখা।।…
তরুণের কণ্ঠে চমকে তাকালো খদ্দেরের জন্য অপেক্ষমাণ গণিকারা, মাসিও। দালাল লোকটা তরুণকে চেনে, পাশে এসে হাঁটু মুড়ে বসলো সে, সুরের তালে তালে সে মাথা দোলাতে থাকলো চোখ বুঁজে। পরিবেশটা ভোজবাজির মতো পাল্টে গেলো হঠাৎ। এতক্ষণ তরুণকে খদ্দের ভেবে যারা নানান ইঙ্গিত করছিল, ছুড়ে দিচ্ছিল আদিম সব মন্তব্য, তারা মনোযোগ দিয়ে দেখলো জীর্ণ, সাদা পোশাক আর লম্বা চুল-দাড়িতে ঢাকা তরুণকে। তরুণের উদাত্ত কণ্ঠের গান যেন ভেসে আসছে অন্য কোনো জগৎ থেকে, ধ্যানস্থ লাগছে এখন তাকে।
জিনিয়ার ঘরে ডাক এলো অবশেষে। খুঁটিয়ে দেখলো তরুণ। ঘরে তেমন কিছু নেই। সস্তার একটা চৌকি। ভাঙা একটা আলনা, তাতে কয়েকটা রঙিন শাড়ি-ব্লাউজ যত্নে গুছিয়ে রাখা। দেয়ালে, পেরেকের সঙ্গে ঝোলানো বেতের মাঝারি সাইজের একটা আয়না, তাতে সামনের দিকে ড্রয়ারের মতো আলগা একটু চৌকোনা অংশ। তার ভেতর চিরুনি, ক্লিপ ইত্যাদি নানান মেয়েলি জিনিস ঠাসা। চৌকিতে বসতে গিয়ে তরুণের মনে পড়লো, একটু আগেই এখানে কেউ একজন আনন্দ কিনতে এসেছিলো, খদ্দের। জিনিয়া আর তেমন কারও অন্তরঙ্গ দৃশ্য কল্পনা করতে গিয়ে বিষম খেলো সে, অন্যমনে তাকিয়ে থাকলো জিনিয়ার চোখে। জিনিয়ার চোখ শরতের আকাশের মতো, ভীষণ ঝকঝকে, গভীর। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু পড়া যায় না কিছুতেই। সদ্য স্নান করা জিনিয়ার ভেজা চুল কাঁধ ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোমর অবদি। ভীষণ স্নিগ্ধ আর সতেজ দেখাচ্ছে এখন তাকে। চোখ ফিরিয়ে বিছানায় নজর বোলালো তরুণ। চাদরটা মাত্র ভাঁজ ভেঙে বিছানো হয়েছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সম্ভবত তরুণের আসার খবর পেয়ে নতুন চাদরটা বের করেছে জিনিয়া। তরুণকে দেখে সে অবাক হয়নি মোটেই। যেন তরুণ প্রতিদিনই আসে এখানে, আজও আসার কথা ছিলো তার। জিনিয়ার মধ্যে বাড়তি কোনো উচ্ছাস নেই, কোনো আবেগের আতিশয্যও নেই। সম্ভবত জীবনের এই অন্ধকারতম পথ তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে উচ্ছ্বাসের আতিশয্যের সারল্য, বিস্ময়বোধের বাহুল্য। তার ঠোঁটের কোণের ক্ষীণ একটু হাসির রেখা শুধু জানান দিচ্ছে খুশি হয়েছে সে, অনেকটাই।
-তুমারে দেকতি আলাম।
-ভালো করেছেন। হঠাৎ যে?
-এমনেই। মনে পড়লো তুমারে।
-আপনি চলে যাবেন এখান থেকে, না?
চমকে উঠলো তরুণ। জিনিয়া কী করে টের পেলো!
-কী কচ্ছ? চইলে যাবো কিজন্যি?
-চলে যাবেন, আমি জানি। বাদ দেন। কী খাবেন?
-কী খাওয়াতি পারবা তুমি?
-এখানে যা খেতে আসে সবাই! বলে তরুণের চোখে চোখ রাখলো জিনিয়া, স্থির, অকপট। চোখ নামিয়ে নিলো তরুণ। নারীর এই চোখকে সে ভয় পায়। এ চোখে আহ্বান নয়, ছুরি থাকে, বুকে গেঁথে যায়, কামনা নয়, আগুন থাকে, পুড়িয়ে দিতে চায় অহংবোধ।
-আমারে ঠাণ্ডা এক গিলাশ পানি খাওয়াও আগে। আর পারলি কিচু রান্না করো, খিদে পায়চে জবর। নাকি আরও কাজ আছে তুমার আইজ?
শৈশবের কথা মনে পড়ে। তিতলিটা বড় শীতকাতুরে ছিলো ছোটবেলায়। একটু শীতেই কাহিল হয়ে পড়তো, শীতবস্ত্রহীন সেইসব শীতে চুলার পাশে বসে থাকতো তারা, রাত অবদি, তারপর ছোট কাকির ছুড়ে দেওয়া ছেঁড়াখোঁড়া কাঁথা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তো দুই ভাই-বোনে।
তরুণের মুখ থেকে চোখ না সরিয়ে কিছু একটা খুঁজলো সেখানে জিনিয়া। বিচিত্র একটু হাসলো। ‘কাজ’ বলতে আসলে কী বুঝিয়েছে তরুণ, সেটা বুঝে নিয়ে এদিক ওদিক মাথা নাড়লো সে। তারপর তরুণের চোখে চোখ রেখে বললো, একদিন না হয় ‘কাজ’ আর না-ই করলাম। আপনার জন্য রান্না করার সুযোগ তো আমার হবে না আর। আজ ‘কাজ’ থাক।
‘কাজ’ শব্দটায় অনাবশ্যক জোর দিয়ে সে যেন বিদ্রূপ করতে চাইলো নিজেকেই। বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে। ঘরটাকে এবার আরও খুঁটিয়ে দেখলো তরুণ। একপাশে পূজার উপাচার দেখে বিস্মিত হলো দারুণ। জিনিয়া হিন্দু। কিন্তু দেখে তো কই মনে হয় না একদম! নিজের ভাবনায় শেষে হেসে উঠলো সশব্দে। দেখে কী করে চেনা যাবে! আর চেনা গেলেই বা কী! তার কাছে হিন্দু ধর্মও যা ইসলাম ধর্মও তা। ধর্ম নয়, মানুষই মুখ্য তার কাছে। গুনগুনিয়ে উঠলো সে আবার-সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।
রাত গভীর হওয়ার আগেই জিনিয়ার ডেরা থেকে বেরিয়ে পড়লো তরুণ। জিনিয়া ঠিকই ধরেছে। এবার এ তল্লাটের পাট চুকিয়ে ফেলবে সে। হয়তো ফিরবে কখনো আবার, কিংবা ফিরবে না কখনোই। জিনিয়ার সঙ্গে সম্ভবত দেখা হবে না আর কখনো। জিনিয়ারা স্রোতে ভাসা কচুরি পানা। বেশিদিন দাঁড়ায় না কোথাও। তরুণ নিজেও তা-ই। নেহাত জীবন যদি না মুখোমখি দাঁড় করিয়ে দেয় কখনো, তাহলে জিনিয়ার সাথে দেখা হবার কোনো সম্ভাবনা নেই আর, প্রয়োজনও নেই। তার জন্য জিনিয়ার ভেতর সম্ভবত কোমল একটু বোধ আছে, কিন্তু জিনিয়ার জন্য তার মধ্যে যে বোধটুকু আছে তা একান্তই মানবিক, তাতে নারী-পুরুষের চিরন্তন সম্পর্কের সুতোয় টান পড়ার মতো কিছু নেই, ছিলোও না কখনো। হালকা একটু ঠাণ্ডা পড়া শুরু হয়েছে। মিহিন কুয়াশা মিশেছে হাওয়ায়।
একটু শীত শীত করে তরুণের। শৈশবের কথা মনে পড়ে। তিতলিটা বড় শীতকাতুরে ছিলো ছোটবেলায়। একটু শীতেই কাহিল হয়ে পড়তো, শীতবস্ত্রহীন সেইসব শীতে চুলার পাশে বসে থাকতো তারা, রাত অবদি, তারপর ছোট কাকির ছুড়ে দেওয়া ছেঁড়াখোঁড়া কাঁথা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তো দুই ভাই-বোনে। তাকে দুহাতে জড়িয়ে ঠকঠক শীতে কাঁপতো তিতলি, ঘুমিয়ে পড়তো অতপর। হঠাৎ তিতলিটার জন্য মন কেমন করে তরুণের। অরুন্ধতীর মুখটা চোখে ভাসে। নদীটা পার হয়ে গেলেই হয় একবার। ওপারেই তিতলি, অরুন্ধতী। যাবে? প্রশ্নটা নিজেই নিজেকে করে তরুণ।
চলবে…