আমার দেশ
ভালো লাগে মায়ায় ভরা নীল সবুজের দেশ
দোয়েল কোকিল ময়না ডাকা মধুর পরিবেশ
আকাশ জুড়ে রঙের খেলা
হাতছানি দেয় কিশোরবেলা
ফুল পাখি ও জোছ্না করে গল্প সারাক্ষণ
নিত্য শুনি দিন বদলের মিষ্টি আলাপন
হাজার নদীর কলতানে
ভাটির সুরের গানে গানে
যেদিক তাকাই দৃশ্যগুলো নিসর্গ স্বপ্নিল
সোনার দেশের রূপ মনে দেয় শান্তি অনাবিল
বুলবুলি আর ফিঙে নাচে
রোদ উঁকি দেয় গাছে গাছে
মন ভেসে যায় দূর অজানায় ছয় ঋতুতে ধুম
সব কিছুতেই বিমুগ্ধতার বর্ণালি মৌসুম
রাত কেটে যায় ঝিঁঝিঁর ডাকে
নৌকা দোলে নদীর বাঁকে
কামার কুমোর জেলে তাঁতি শিল্পী সাধকজন
দেশকে ভালবেসেই সবার সুখে ভরে মন।
বাংলা আমার
ছড়িয়ে দিলাম মনের ভাষা মেঘের আকাশ ঘিরে
দিনের শেষে ওরা আবার আসবে কী সব ফিরে!
নাইবা ফিরুক নতুন করে গাঁথব ফুলের মালা
অপেক্ষাতে থাকবো বসে নিয়ে সোনার থালা।
বর্ণমালার রঙ মিলিয়ে লিখব আশার বাণী
বন পাহাড়ে পাতব স্বাধীন-সুখের আসনখানি
অন্তবিহীন পথের সিঁড়ি ভরবো আশার ফুলে
বাংলা গানের ছন্দ-সুরে উঠবে হৃদয় দুলে
পূর্ণিমারই জোছনা আলোয় লিখবো হলুদ চিঠি
মিষ্টি হেসে দেখবে তারা, জ্বলবে মিটিমিটি।
ওই যে দূরে নকশি আকাশ সেও তো জানে ভাষা
মখমলী রঙ সারগামে সে ছড়ায় ভালোবাসা
রূপকথা মন বৈরি হলেও যায়-আসে না তাতে
ভাষা দিয়েই জীবন সাজাই কঠিন সময়টাতে
বিশ্বে সেরা, এমন ভাষা কোন্ দেশেতে আছে?
এ দেশবাসী তাইতো ঋণী বীর শহীদদের কাছে
বাংলা আমার মায়ের ভাষা সোনার চেয়েও খাঁটি
এই ভাষাতেই অন্তরেতে সুখের সিঁথি কাটি।
ইচ্ছেমতি
স্বপ্ন দেখে ইচ্ছেমতি বসে পথের ধারে
যাবে চলে চাঁদের দেশে একলা চুপিসারে
সেইখানেতে বানাবে সে একটা রঙিন বাড়ি
চাঁদেরবুড়ি বললে কিছু নেবেই নেবে আড়ি।
ইচ্ছেমতির দুঃখগুলো মেঘ পাহাড়ে ভাসে
কষ্টধারা চোখ জুড়ে তার বৃষ্টি হয়ে আসে
শোলোক বলা কাজলা দিদি বললে হঠাৎ কথা
আকাশ ছোঁয়া ভাবনাগুলো বাড়ায় ব্যাকুলতা
ইচ্ছে ছোটে শ্রোতের মতো চমকে তাকায় পাখি
ইচ্ছেমতির মন কথা সব ওরাও বোঝে না কি?
হয়তো বোঝে-বোঝে আরও ফুটপাতের ওই ধুলো
বুঝতে শুধু পারে না হায় ধনী মানুষগুলো
ইচ্ছেমতি ক্ষুধায় কাতর থাকে দিনরাতে
আস্থা আশার-আশ্বাসে কেউ হাত রাখে না হাতে
সাক্ষী থেকো সাগর পাহাড় দূর আকাশের তারা
ইচ্ছেমতির দুখের দিনে তোমরা দিয়ো সাড়া।