অন্ধকার
অন্ধকারে পায়রা ওড়ে
পাখির বাসায় হানা
পাড়ায় পাড়ায় অত্যাচারী
দত্যির আনাগোনা!
খেয়াপারের চক্রবাকে
বাড়তি ঝোলায় ঝুলে
উঠতে পারে প্রবাল স্রোতে
নৌকাখানি দুলে।
মই দিয়ে কেউ মলতে পারে
চাষির পাকা ধান
প্রযুক্তিও ভাঙতে পারে
লাঙলটা খানখান ।
কাঁধের গামছা উঠতে পারে
মাথার ওপর উড়ে
কাস্তেখানা কাঁদতে পারে
মাঠভরা ক্ষেতজুড়ে।
কিংবা হাওয়া বদলে গিয়ে
আসলে নতুন ধারা
পাল্টে যাবে নতুন কোনো
পাল্লা ও বাটখারা।
ভাগ্যবদল
ভাগ্যবদল নেত্রী-নেতার
গুণ্ডা-দালাল চামচাদের
সূর্যে পাওয়া রশ্মি ছটায়
জোছনাতে হয় নাম চাঁদের!
আম-জনতা আমড়া চোষে
আমলারা খায় আমলকি
রক্তমাখা রাজ-ক্ষমতার
দাম্ভিকতা থামলো কি?
যার যা খুশি ভাগ ঠেলে খাক
আখের গোছাক হাত ভরে
ডান-বামে থাক বুদ্ধিজীবী
সুশীল ঘুমাক রাত-ভোরে!
কর্মে খুশি কামলা কাকা
চাষির বধূ চিন্তিত
নামলে ভাটা জোয়ার শেষে
মাঝির মেয়ের দিন তিতো!
ভাল্লাগে না
তোমরা করো তোমরার হিসাব
আমরা মরি চিন্তাতে
ভাল্লাগে না চরণ-পুজোয়
কে কত দেয় ঋণ তাতে।
কার খায়েশে পায়েস রাঁধা
ঢের আয়োজন জমকালো
তৃষ্ণা পেয়ে কৃষ্ণা মরে
কার ভয়ে কে চমকালো?
বউ-ঝি মরে চুলকানিতে
সতীন মরে সন্দেহে
রক্তক্ষরণ দেখেই কারও
রঙ লেগে যায় মন-দেহে।