যায় না ঢাকা
শাক দিয়া মাছ যায় কি ঢাকা?
তবু দেখি অমল কাকা
নিত্য গুলি ছোড়েন ফাঁকা!
সেই গুলিরই আওয়াজ শুনে
হাতেম আলী এই তো জুনে
ঢাল-তলোয়ার নিয়ে মুনে
রওনা দিয়ে সেই যে গেলো
খোঁজ নিতে তার পাড়ার লোকে
অমল কাকার হাতটি শোঁকে
কাকা তখন আধ্যালোকে!
হক-মওলা বলেই কাকা
করেন শুরু সতর ঢাকা
ঢাকার পরে ঝাঁকা-নাকা
কাকা অমামূর্তি পেলো।
গোমর ফাঁসের ভয়ে কাকা
চুপসে কি তার রইলো থাকা?
ফন্দি নয়ার সাঁটার খুলে
প্যাচটা এমন দিলেন মূলে
পাড়ার লোকে হাত-পা তুলে
কাকার গায়ে পড়েন ঝুলে।
সত্য বুঝি নেই বাড়ি নেই
ভাবনা যাদের এমনতরো
দূর থেকে কয় ধরো-ধরো
আমি পালাই তুমি লড়ো
আমার দখল তোমার ঘরও
মানে এবার কেটে পড়ো
শাক দিয়ে মাছ ঢাকবে-ঢাকবেই!
দায় কম
আয় কম খায় কম
তাই তার দায় কম
এক্কেবারে
পক্ষে মোটেও নন তিনি তো
বিপক্ষেও না যে
সবখানে তার চলাফেরা
সব কাজে তার হা যে!
কাজের কাজি লোকটা নাকি
পক্ষে যারা, বলে
বিপক্ষেরাও রাখে হাতে
পথটা মেপে চলে।
এমন লোকের সাথে আমার
নাই তো খাতির মোটে
মাঝে মাঝে ভাবী যদি
এমন লোকে জোটে
আমার তখন করণীয়
কী কী হতে পারে
ভাবতে গিয়ে আউলা মাথা
ঝাউলা একেবারে!
ঘুম আসে না ঘুম আসে না
চিন্তাদেবী ঘুমাও
ঘুমানোরই আগে ওগো
ঠোঁট দুটোতে চুমাও।
তিনি
তার বাস অভিজাত এলাকার লজে;
নানা অপকর্মে রোজ রোজ মজে।
চাকরিটা সরকারি, পদ খুব ছোটো
ঘুষ পেলে লাল হয় তার প্রিয় ঠোঁটও।
খাচ্ছেন দাচ্ছেন ঘুরে ঘুরে তিনি
মানুষের সাথে করে খেলা ছিনিমিনি!
খেলেছেন ঠেলেছেন এইবার হজে…
বন্ধু আমার মতো তুইও
মেঘে মেঘে কাইটা গেছে
কম না মোটে বেলা
এই বেলাতে আইসা রে শোন
খাইতেছি রোজ ঠেলা!
বউয়ের ঠেলা, মেয়ের ঠেলা
ঠেলা নানান জনের
পারলে মাথায় ভাইঙা পড়ে
‘সুন্দরী’ গাছ বনের।
আগুন-পানি এক কইরে
এই যে পথে হাঁটা
নাই রে উপায় থাইমে যাওয়া
থামানো দায় পা-টা!
বন্ধু, তোদের কাটছে কেমন
সন্ধে যখন নামে
আমার মতো তোদেরও কি
ক্লান্তিতে মুখ ঘামে?
ঘামগুলো ফের খামে ভরে
আবার নামিস পথে
আলেয়াকে ধরতে গিয়ে
ব্যর্থ মনোরথে-
পরের দিনে আবার ছোটা
একই পথে হাঁটা
ঠেলায় ঠেলায় শীল-পাটাতে
পড়ছে বয়স ভাটা?