প্রশ্ন এবং আমি
মন ভালো নেই বেশ কিছুদিন ধরে
না, জানি না—কারণটা কী তার,
প্রশ্নগুলো মনের মাঝে ওড়ে
উত্তর আজও হয়নি আবিষ্কার।
শুকনো ঠোঁটে রাত্রি হলে মাখি
একলা ঘরে বসে নিকোটিন,
মাখছি কেন?—প্রশ্নে ঘিরে থাকি
প্রশ্ন সহজ, উত্তরই কঠিন!
পর্দামেলা জানলা দিয়ে আসে
বাহির থেকে মুগ্ধ-শীতল হাওয়া,
গ্রিলটা ধরে তাকাই দূর আকাশে
রাত্রি করে চন্দ্রটাকে ধাওয়া!
মন তা দেখে প্রশ্নগুলো ভোলে;
সূর্য যখন আলতো মেলে আলো—
ভেতরটা ফের প্রশ্নে জ্বলে-জ্বলে
চোখের নিচে দাগ করে দেয় কালো।
তুমি এবং প্রতীক্ষা
এই পৃথিবী বদলে গেলেও কভু
এই আমিটা বদলাবে না; দেখো,
হঠাৎ যদি দূরত্ব হয়—তবু
অনড়ভাবে প্রতীক্ষাতে থেকো।
আসবো ফিরে প্রতীক্ষারও জোরে;
হেমন্তেরা ফেলবে দেখো পাতা—
ওই ঋতুতেই শেষ হবে তা ঝরে;
প্রতীক্ষাতে ঝরবে ওসব?—না তা।
জন্ম থেকেই প্রতীক্ষা নেই কারো
তার প্রতি—তাই ঝরবে অভিমানে,
মন যা বলে করতে তুমি পারো
ইচ্ছে তোমার প্রতীক্ষারাই জানে।
ঝরিই যদি শুকনো পাতার মতো
অশ্রুফোঁটায় সিক্ত করে রেখো
কপালটিতেও হালকা চুমু এঁকো
বাঁচব—রব প্রেম পেয়ে অক্ষত।
এই পৃথিবী থমকে যাবে
এমন কেন করছে সবাই? দোষ ছিল কী আমার,
যাচ্ছে দিন আর আসছে সময় মধ্যপথে থামার।
এই পৃথিবী থমকে যাবে; খুব বেশি নয় দেরি,
নীল আকারের কষ্ট বুকে করছিই শুধু ফেরি।
ইচ্ছে তো হয় অনন্তকাল থাকতে বেঁচে সুখে,
কষ্ট এসে সুখগুলোকে দিচ্ছে কেন রুখে?
প্রশ্ন শুধু নিজের প্রতিই, হচ্ছে কেন এমন,
মৌন-কাঁদে মন; সাড়া তো যায় না পাওয়া তেমন।
এক নিকোটিন থাকবে হাতে; একলা ঘরের দাবি,
অন্ধকারে চোখদুটোকে বন্ধ করে ভাবি—
কষ্ট ছাড়া পৃথ্বী থেকে যায় না কিছুই পাওয়া,
সবাই ভাল থাকুক, শুধু এইটুকু শেষ চাওয়া।