সঙ্গে রাখলে ছাতা
ধরো তখন স্কুলে যাচ্ছ
ব্যাগ ভরা বই খাতা,
অমনি ধপাস বৃষ্টি নামল
ইশ্শিরে কি যা তা।
ভিজলে তুমি, রংপেন্সিল
ভিজলো বইয়ের পাতা,
রাত্রি বেলা জ্বর এলো খুব
গায়ে মোটা এক কাঁথা।
কিংবা ধরো ফিরছ বাড়ি
ভাঁজ করে দুই হাতা,
ঝাঁ ঝাঁ রোদে পুড়ছে শরীর
ঝলসে যাচ্ছে মাথা।
রোদ বলো বা বৃষ্টি বলো
বলছে বাবুর তাতা,
ভিজবেও না পুড়বেও না
সঙ্গে রাখলো ছাতা।
যে থাকে অন্তরে
‘কী অপরূপ নদী!
থেকে যেতাম ওই নদীতে,
জল হতাম যদি।’
‘না না তুমি জল হবে না
তুমিই হবে নদী,
তোমার বুকে জল ছানারা
ভাসবে নিরবধি।’
‘আহা অপার আকাশ!
পাখি হলে ওই আকাশে,
হতোই আমার বাস।’
‘না না তুমি পাখি হবে না
তুমিই হবে আকাশ,
তোমার সাথে খেলবে পাখি,
ফড়িংও বারো মাস।’
‘সবুজ পাহাড় ডাকে!
ঝর্না হলে বুকের মাঝে,
জড়িয়ে পেতাম তাকে।’
‘ঝর্না হবে না ঝর্না হবে না
হবে তুমি ওই পাহাড়,
তোমার গলায় ঝুলে ঝর্না
ছড়াবে সুরের বাহার।’
‘শীতল সতেজ গাছ!
পাতা যদি হতাম তার,
বাতাসে দিতাম নাচ।’
‘না না তুমি পাতা হবে না
তুমিই ফুলেল গাছ,
পাতারা সব তোমার দেহে
উজান গাঁয়ের সাজ।’
‘কে তুমি বন্ধু, আমায়
বলছো এমন করে?’
‘আমি হলাম আরেক তুমি
যে থাকে অন্তরে।’
খোয়াব
স্নিগ্ধ ভোরের মধুর হাওয়ায়
একটা পাখি ওড়ে,
ঝাপটে ডানা গান গেয়ে সে
ঢুকলো আমার ঘরে।
বসল খাটে বলল হেসে-
‘ওগো বন্ধু, শোনো ,
উড়তে পারো তোমার এমন
ডানা আছে কোনো?’
পাখির পাশে শুয়ে বলি
আমিও লাজুক হেসে,
‘থাকলে ডানা মেঘে মেঘে
কবেই যেতাম ভেসে।’
বলল পাখি, ‘নেবে ডানা,
উড়বে আমার সাথে?
উড়ে উড়ে গল্প করবো
সকাল দুপুর রাতে।’
মিষ্টি হেসে বলি তারে-
‘কোথা হতে এলে?
ঘুম ভাঙতেই মা বললো,
স্বপ্নে কিছু পেলে?’