ঈদ আনন্দ
ভাবছে খুকি গরিব-দুঃখি দেশে যত আছে
সব খুশির ভাগ পৌঁছে তো যাক প্রতি জনের কাছে।
ঈদটা এবার হোকনা সবার সর্বজনীন মেলা
উৎসব সবার কারও আবার হয় না যেন খেলা।
ঈদের খুশি সবার বুঝি হওয়ার কথা এক!
সব ভেদাভেদ কালো সফেদ সবটা সমান দ্যাখ।
জনম দুঃখি হোকনা সুখি ঈদের দিনে এসে
ঈদ মোবারক জানাই তাদের একটু ভালোবেসে।
আসুন না ভাই আমরা সবাই তাদের পাশে দাঁড়াই,
তাদের ভাগে সবার আগে নিজের হাতটা বাড়াই।
শরৎ হাসে
চাঁদও হাসে মেঘও হাসে, হাসে রাতের তারা
বিলের জলে পদ্ম হাসে, হাসে আমন চারা।
মেঘের ফাঁকে রৌদ্র হাসে, আহা কি ঝলমল!
সেই হাসিতে ঝিলের মাঝে ফোটে রক্তকমল।
শিউলি হাসে মালতি হাসে হাসে কাঁশের বন,
নীল আকাশে সাদা মেঘের উদাস তখন মন।
সকাল বেলা দুর্বাঘাসে শিশির বিন্দু ভাসে,
সুর্য কিরণ একটু পেয়ে ঝলমলিয়ে হাসে।
বর্ষাধোয়া আমন চারা, কি অপরুপ সাজে!
তারই টানে সকাল দুপুর ব্যস্ত কিষাণ কাজে।
শরৎ এলে সরল মনে হাসির ধারাবয়,
এমনি করে বছর ধরে হাসে জগৎময়।
শিকার
বর্ষা শেষে জাগল যখন বিল-
শিকার ধরতে গাছের ডালে চিল;
কচুরিপানায় গঙ্গা ফড়িঙ বসে
ভাবছে পুঁটি ধরে খাবে কষে।
খোকা তখন বড়শিতে দেয় টোপ
মাছরাঙাটা ছাড়লো নিজের খোপ;
পড়ল এসে বিলের ধারে কাছে
সাদা বকটা ধ্যানে বসে আছে।
শালিক পাখি যেমন করে রোজ
তেমন করে করছে খাবার খোঁজ;
সময় মতো জুটল হাঁসের দল-
ঘেটে তারা করল ঘোলা জল।
জলের তলে যায় না দেখা মাছ
শিকারি আর পায় না করতে আঁচ;
সবাই তখন ফিরলো নিজের ঘরে
শুধু খোকা থাকলো বড়শি ধরে।
অনেক পরে ধরতে পেয়ে মাছ
সে খুশিতে খোকার সে কি নাচ!
বড়শিসমেত ছুটলো বাড়ির পানে
এ আনন্দের অনেক আছে মানে।