শরৎ
সাজলো আকাশ
ময়ূরকন্ঠি রং নীলে,
গ্রাম জনপদ
সেজেছে সাত রং মিলে।
কাশের মেলায়
নদীর দুপাড় টালমাটাল,
ঢেউয়ের দোলায়
নৌকো চলে উড়িয়ে পাল।
শিউলী তলায়
বিহান বেলায় ফুল হাসি,
হলুদ বোঁটা
সবুজ ঘাসে ফুল রাশি।
শরৎ শরৎ
গন্ধ দিনে আর রাতে,
ঘাসের ডগায়
শিশির থাকে তার সাথে।
তোমার আমার
মনের ভেতর আকাশ নীল,
ইষ্টি কুটুম
সবার ভেতর তাই তো মিল।
শরৎ সকাল, শিশির কণা
আজকে আকাশ নীল মেখেছে গায়ে
নীল কুয়াশা ভাসছে ডানে বায়ে
নদীর জলেও নীলের ছোঁয়া
গাছ গাছালীর শরীর ধোয়া
টলমলে জল নিয়ে পুকুর হাসে
সাদা ও নীল শাপলা কনে সে জলেতে ভাসে
শাপলা পাতায় জল পিপিরা
পা ফেলে যায় দূরে,
আকাশ বাতাস ভরে থাকে
শারদীয়া সুরে।
মেঘের মেয়ে কোথায় তুমি
নেইতো তোমার দেখা
সারা আকাশ জুড়ে শুধু
সাদা ও নীল রেখা
শিউলী তলায় নকশা আঁকা
ছোট্ট নদীর শরীর বাঁকা
দূর্বা ঘাসের ডগায় বসে কে?
রঙধনু রং ঝিলিক দিলো যে।
সারা রাতের শীতলতায়
সবুজ দূর্বা ঘাসের ডগায়
সকাল বেলায় বিন্দু হয়ে হাসে
দূর্বা ঘাসে ঘাসে
ঝিলিক দেয়া রঙধনু রং
রঙধনু নয় রঙের আড়ং
শিশির কণা কন্যা আমার প্রিয়,
আমি তো খুব ঘুম কাতুরে
পারলে একটু ভোরবেলা ডাক দিও।
সকালটাকে মাখবো গায়ে
থাকবে সাথে ঐ আকাশের নীল
সূর্যের আলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে
করে যে ঝিলমিল।
শরৎ কথা
শরৎ এলো আকাশ ভরা নীল নিয়ে
সবার মাঝে আনন্দ আর মিল নিয়ে।
কাশের বনে কাশকনেদের নাচ নিয়ে
বাতাসেতে একটু শীতের আঁচ নিয়ে।
এই শরতে কন্যা এলো দেশে যে
মিলছে প্রিয়জনকে ভালোবেসে সে।
মেয়ের পূজো হবে শুরু যষ্ঠী থেকে
বাজবে ঢাক বুকের ভেতর স্বপ্ন এঁকে।
সপ্তমী আর অষ্টমীতে জমবে মেলা
সাজ পোষাকে কথায় কথায় হাসির খেলা।
নবমীতে দিন রাত্রি এক হয়ে যায়
হাসি খুশি নতুন একটা মাত্রা যে পায়।
দশমীতে বিষন্নতা মেয়ের চোখে
সবাই যেন চুপ হয়ে যায় বিদায় শোকে।
শরৎ এলো এই
কাশ ফুলেরা নদীর পাড়ে
দোলায় যখন মাথা,
বিশাল আকাশ জুড়ে যখন
নীল ক্যানভাস পাতা।
নদী যখন টইটম্বুর
স্বচ্ছ শীতল জলে,
শিউলী আর স্থল পদ্ম
ফোটে যখন স্থলে।
কিংবা যখন ধানের ক্ষেতে
সবুজ চারার দোলা,
নদীর বুকে ভাসছে যখন
পানসি টা পাল তোলা।
বুঝতে কি আর বাকী থাকে
শরৎ এলো এই
ঝকঝকে দিন, মিষ্টি রাত্রি
পূজোর বাকী নেই।
উৎসব
মেঘের ছায়া হারিয়ে গেছে
আকাশ এখন নীল,
সূর্যের আলো গায়ে মেখে
আকাশটা ঝিলমিল।
টইটম্বুর নদীর শরীর
দুপাশে কাশবন,
সকাল দপুর বিকেল সন্ধ্যে
হাওয়ায় উড়ে মন।
মন উড়বে এটাই সত্যি
এলো সে উৎসব
দুর্গা পূজোর এ উৎসবে
চারদিকে কলরব।