নদীর ভাঙন নদীর চরিত
নদীর ভাঙন নদীর চরিত
মাঝি পাস নে ভয়,
কঠিন হাতে হালটা ধরে
কর্ রে নদী জয়।
উথাল পাথাল ঢেউ মারিয়ে
সামনে যেতে থাক,
সামনে যাবি গুনটা টেনে
আসুক শত বাঁক।
নদীর কাছে ঘর বেঁধেছিস
ভাবনা কিসের তোর,
ভাঙনের সুর শোনার জন্য
খোলা রাখিস দোর।
মাঝ নদীতে চালাস নৌকা
সঙ্গী নদীর পাড়,
দিবস রাতে থাকে সাথে
পেতে দিয়ে ঘাড়।
ভাঙন আরো লাগবে ভালো
পেলে নারীর মন,
মনে রাখিস মাঝি রে তুই
নদী আরেক ধন।
তুমি আমার মনের ময়না
তুমি আমার মনের ময়না
আছো মনটা জুড়ে,
যতই দূরে যাও না কেনো
আসবো আমি উড়ে।
আঁধার রাতে ভাবি তোমায়
ভাবি চাঁদের রাতে,
ভাবতে আমার ভালো লাগে
থাকবে তুমি সাথে।
পার্বতী হও কিংবা লাইলি
ভালোবাসি তোমায়,
জেনে রাখো কোনো পর্বে
যাবো না তো কোমায়।
সন্যাস নিয়ে ঘুরবো জগৎ
থাকবে হাতে কলম,
তোমায় নিয়ে লেখা কাব্য
হবে মনের মলম।
তুমি মরবে মরবো আমি
মরবে সকল মানুষ,
তোমার নামের পদ্য লিখে
ছাড়বো কোটি ফানুস।
স্কুলবেলার স্মৃতিগুলো
স্কুল বেলার স্মৃতিগুলো
মনে পড়ছে বেশ,
ক্লাশের পড়ায় ফাঁকি দিলে
মাস্টার ধরতো কেশ।
বৃষ্টি আসলে পড়া রেখে
ছুটে যেতাম মাঠে,
নদীর জলে সাঁতার কাটতে
ছুটে যেতাম ঘাটে।
পাখির ছানার খোঁজ করতে
চড়তাম বিন্দাস গাছে,
কাশের বনের ছোঁয়া নিতে
রইতাম নাতো পাছে।
কাঁচা আমের ভর্তা খেতে
করতাম কত কী যে,
ঘুড়ির পেছন ছুটতে ছুটতে
যেতাম ঘামে ভিজে।
একটু খানি ব্যত্যয় ঘটলে
বন্ধুর সাথে আড়ি,
দুষ্টু কাজে দিন কাটিয়ে
সন্ধ্যায় ফিরি বাড়ি।
বিজয় নিশান দেবো পুঁতে
কে তুই ডাকিস পেছন থেকে
মানা করিস যেতে,
ভয় দেখাচ্ছিস? যাবে জীবন?
বুক রেখেছি পেতে।
সামনে যাবার মানস নিয়ে
অভিযানে আছি,
বন পেরোতে হাতি হবো
বৃক্ষে চড়তে গাছি।
খুশির সাগর ঐ দূরেতে
ডাকছে দু’হাত নেড়ে,
নোঙর তুলে ভাসালাম নাও
যাচ্ছি ওদিক তেড়ে।
বাঁধার পাহাড় থাকুক সামনে
উর্মী আসুক জোরে,
এক নিমিষে কোতল করে
পাঠাবো ঠিক গোরে।
বিজয় নিশান দেবো পুঁতে
লক্ষ্যের স্থানে পৌঁছে,
বিশ্রাম নেবো শরীর থেকে
সকল পঙ্কিল শৌচে।
ইচ্ছে আমার অনেক বড়
ইচ্ছে আমার অনেক বড়
আকাশ সেথা তুচ্ছ,
কোটি পাখির অধিক হয়ে
নাড়িয়ে যায় পুচ্ছ।
ইচ্ছে আমার মেঘের ভেলা
দিগদিগন্তে ছুটে,
হাজার ডানা পিঠটাজুড়ে
চাঁদের শিরে উঠে।
সাগর চিড়ে পাতাল যেতে
হাঙ্গরের লেজ ধরি,
এক লহমায় মঙ্গল গ্রহে
স্বপ্নের বাসর গড়ি।
কালবৈশাখী আছে যত
পুড়ে ফেলি খাঁচায়,
দুনিয়ার সব ফল ফলাবো
মাত্র একটি মাচায়।
সব সমরের শিকড় উপড়ে
ধরবো শান্তির ঝাণ্ডা,
পৌষের শীতে বইবে গরম
চৈত্রের তাপে ঠাণ্ডা।