মোহর দুপুর ঝরে
আসুন রাজা বসুন বসুন আমার কুটির ঘরে
পাতায় আঁকা টাপুর-টুপুর, মোহর দুপুর ঝরে!
হৃদয় জুড়ে রঙিন পালক, খুশির পরাগ নাচে
বাতাস যেন খবর পাঠায় আতাই পুরের কাছে!
নাচের সুরে পাতাই পুরের পলাশ, পারুল, জবা
কেবল সুখে বাজায় সেতার ঝালোর দোলায় সভা!
আসুন রাজা বসুন বসুন আমার কুটির ঘরে
পাতায় আঁকা টাপুর-টুপুর, মোহর দুপুর ঝরে!
এই মুঠোতে
এই মুঠোতে অবাধ খুশি। চাঁদনি মনের আলো
এই মুঠোতে তোমরা সবাই গানের মতো ভালো!
এই মুঠোতে টুনটুনি, বক, ঢেউমোড়া ধান পাখি
এই মুঠোতে ডুগডুগি মন। একলা জেগে থাকি!
এই মুঠোতে শাপলাপুরের রাখাল বাজায় বাঁশি
এই মুঠোতে মোহর ছড়ায় কুরচি ফুলের হাসি!
এই মুঠোতে বাজনা গাঁয়ের শিউলি বাতাস ওড়ে
এই মুঠোতে ঝালকাঠি ভোর ছুটছে ঘোড়ায় চড়ে
এই মুঠোতে কাঠবেলি, যুঁই, শিউলি, টগর ফোটে
এই মুঠোতে আকাশ পুরের কু-ঝিকঝিক ছোটে!
এই মুঠোতে কেবল নাচে ঝিমলি রাতের তারা
এই মুঠোতে মেঘনা, ঘাঘট, রূপসা নদীর ধারা!
এই মুঠোতে মায়ের আদর, খোকন কোথায় যাবি
এই মুঠোতে জলছবি ঘাস, পালকি পুরের চাবি!
এই মুঠোতে চাঁদের পাহাড়, ক্ষীরের পুতুল খেলা
এই মুঠোতে হাতছানি দেয় সেই যে কিশোরবেলা।
চোখ
তোকে শুধু খুঁজি—নাম কী রে তোর?
চোখে শুধু জাগে—কানামাছি ভোর!
ডানা মেলে ওড়ে মোনালিসা চাঁদ
ঘামে ভেজা দেহ। দেহে লোনা স্বাদ।
চোখে আঁকা আশা। আলা-পালা মন
পথে ছোটে ঘোড়া—তোড়া বাজে শোন।
নাচে আলোঝরা। পাখিদের দেশ
আলা-পালা মনে ভালো আছি বেশ।
আঁকা-বাঁকা নদী—মাঝি তরী বায়
যাবি যারা চাঁদে—তারা কাছে আয়।
অবারিত হৃদি—নাম কী রে তোর?
আমি ভালোবাসি বুকে নিতে ভোর!
বুকে আলো বাঁশি নাচে তারাচোর
বয়ে চলে কুশি—বয়ে চলে খোড়।
প্রজাপতি ওড়ে—উড়ে যায় হাঁস
ওরা জবা বাড়ি ওরা বেলি মাস
খেলি কত খেলা—কত কী যে হই
তোকে ছেড়ে আমি, খুঁজি তোকে সই!