মায়ের ছবি ভাসে
বৃষ্টিতে আজ ভিজে আমি
কাঁপছি ভীষণ জ্বরে
অশ্রুধারা বৃষ্টি হয়ে
দুচোখ বেয়ে ঝরে।
জ্বরের তোড়ে আবোল তাবোল
বকছি শুয়ে শুয়ে
কষ্টগুলো বুনল কে যে
বুকের নরম ভূঁয়ে!
দুচোখ আঁধার ধাঁধার মাঝে
মায়ের ছবি ভাসে,
ভাবছি আমি—মা যদি হায়
থাকত আমার পাশে!
আঁচলটাকে ভিজিয়ে ঠিকই
পট্টি মাথায় দিত,
দুঃখটাকে তাড়িয়ে আমায়
বুকে টেনে নিত।
অসুখ কোথায় হারিয়ে যেত
কেউ পেত না খুঁজে,
চুপটি করে মায়ের বুকে
থাকতাম মাথা গুঁজে।
স্বপ্ন ওড়াই
নিরিবিলি ঝিলিমিলি
হাজার তারা গোনা,
নদীর তীরে বসে বসে
প্রাণেরই গান শোনা।
রঙিন সুতোয় স্বপ্ন ওড়াই
চাঁদনি রাতের বুকে
পথিক কবি এমন ছবি
আঁকে মনের সুখে।
মেঘের খামে
ছোট্ট নীড়ে যাচ্ছে ফিরে
পাখি,
আকাশজুড়ে মেঘের ডাকা-
ডাকি।
রাখাল ছেলে ছুটে চলে
যায়,
মেঘের বহর গ্রাম ও শহর
ধায়।
হৃদয়কাড়া জলের ধারা
ঝরে,
পল্লীমেয়ে উঠল নেয়ে
ঘরে।
কলমিফুলে উঠল দুলে—
মন,
মেঘের খামে যাচ্ছে থেমে—
ক্ষণ।