বাড়ি ফেরা
ভেড়ামারা পার হয়ে
দৌলতপুর
চিত্রাতে বসে ভাবি
আর কতদূর?
চিত্রাটা ছেড়ে এলো
জয়দেবপুর।
মেঘের খামে
ছোট্ট নীড়ে
যাচ্ছে ফিরে
পাখি-
আকাশজুড়ে
মেঘের ডাকাডাকি।
রাখাল ছেলে
ছুটে চলে
যায়,
মেঘের বহর
গ্রাম ও শহর
ধায়।
হৃদয়কাড়া
জলের ধারা
ঝরে,
পল্লীমেয়ে
উঠল নেয়ে
ঘরে।
কলমিফুলে
উঠল দুলে
মন,
মেঘের খামে
যাচ্ছে থেমে
ক্ষণ।
রাত জাগে
রাত জাগে
চাঁদ জাগে
জাগে জোনাকি
ঘুম ভাঙা
ঢেউ জাগে
যায় শোনা কি?
মায়ের ছবি ভাসে
বৃষ্টিতে আজ ভিজে আমি
কাঁপছি ভীষণ জ্বরে
অশ্রুধারা বৃষ্টি হয়ে
দুচোখ বেয়ে ঝরে।
জ্বরের তোড়ে আবোল তাবোল
বকছি শুয়ে শুয়ে
কষ্টগুলো বুনল কে যে
বুকের নরম ভুঁয়ে!
দুচোখ আঁধার ধাঁধার মাঝে
মায়ের ছবি ভাসে,
ভাবছি আমি, মা যদি হায়
থাকত আমার পাশে!
আঁচলটাকে ভিজিয়ে ঠিকই
পট্টি মাথায় দিত,
দুঃখটাকে তাড়িয়ে আমায়
বুকে টেনে নিত।
অসুখ কোথায় হারিয়ে যেত
কেউ পেত না খুঁজে,
চুপটি করে মায়ের বুকে
থাকতাম মাথা গুঁজে।
বৃষ্টি নেমেছে পদ্মার চরে
বৃষ্টি নেমেছে পদ্মার চরে
বৃষ্টি নেমেছে সিরাজনগরে
বৃষ্টি নেমেছে বৃষ্টি,
বৃষ্টি এসে কেড়ে নিয়েছে
ঘুমজড়ানো দৃষ্টি।
বৃষ্টি দেখে হারিয়েছে মন
বৃষ্টি দূরে ছাড়িয়েছে বন
মাড়িয়েছে চেনা গ্রাম,
পদ্মার চরে দাঁড়িয়ে আজকে
বৃষ্টিকে দেখলাম।