আর কোরো না ভুলটা
চারদিকেতে বইছে বাতাস উল্টা নাকি?
গা-টা কেমন ম্যাচম্যাচে ভাই ঘরেই থাকি।
আমায় নিয়ে ভাবনা আমার তাই বলি ভাই
লাগলো আগুন কোথাও না কি বুঝি না ছাই…
ঠিক ছিল তো তোমার দাওয়া ঘি-টা গাওয়া
লুটেপুটে খাওয়া ছিল পরম পাওয়া।
দাদা, হচ্ছে এসব কী যে!
আগলে দুয়ার রাখলে পুড়ে যাবেই যাবে নিজে!
রৌদ্রতাপে গুমোট হাওয়া বইছে হঠাৎ উল্টা
সামলে কুকুর এগিয়ে চলো ফের কোরো না ভুলটা!
দাদা, আর কোরো না ভুলটা।
বিবেকটাকে জাগাও
আমরা বোকা মানুষ বটে—সরল
চালাকি কম; নেই বুকেতে গরল
হো হো করে হাসি কারও সুখে
ভারাক্রান্ত হই কারও ফের দুখে।
তুমি চালাক অতিচতুর বুঝি
সময় বুঝে কথার কারণ খুঁজি
মানুষ বটে; ওড়াও ফানুস, আহা!
কথায় কথায় মিথ্যা বলো ডাহা…
রাজনীতিকের মতোই কথার ধরন
তা-ই শুধু নয়, কুকুর-স্বভাব; গড়ন
নতজানু হয়ে থাকো পড়ে
ভাবো বুঝি নও তুমি একঘরে?
সময় এলে পথের ধুলোমাটি
উঠবে হয়ে শক্ত বাঁশের লাঠি
আরাম করা বালিশ হবে ইটা
হতে পারো তুমি ধানের চিটা।
তাই বলি কী, বিবেকটাকে জাগাও
জ্বলে ওঠো সময়মতো
চোখ দুটোকে রাগাও।
বড় স্যার
তার টাকা চাই। বলে: বেতন যা পাই
তা দিয়ে চলে মোটে দুটো দিন
বাকি দিনগুলো ম্যাড়ম্যাড়ে; রঙিন
করতে গিয়ে অন্যের পকেট হাতাই!
এতে দোষ কই? পাই না খুঁজে মোটে।
বউ চাইলে কিছু দেওয়া যাবে? ধ্যাৎ—
তুমি বোঝো না একটুও কি ম্যাথ
টাকা ছাড়া হাসি ভাসবে ঠোঁটে?
ওকে, ঘুষ যদি না খাই-ই, ধরো
না-ইবা যদি করি দুর্নীতি
থাকলাম ভুলে ফ্ল্যাট, গাড়ি, প্লটের স্মৃতি
তাতে হবে না চিত্তের প্রসরও।
বরং ঠকবো তাতে, তাই চাই টাকা
চাই ভালোভাবে বেঁচে থাকা।
ঘুষ যত খাবো, দুর্নীতি করে
রঙিন করিব মন এই শহরে!
তিনি বড় স্যার—সরকারি কাজে
শোনা যায় বাড়ি কিনেছেন তিনি
সুদূরের সাইপ্রাসে এরই মাঝে!
ঘাম
আশ্বিন গিয়ে কার্তিক আসায়
রুদ্র আকাশ রৌদ্র শাসায়
ঝরঝরা ঝর ঘাম ঝরিয়ে
ডুবোজলে কাপড় ভাসায়!
ঘামছি সকাল দুপুর রাতে
হেঁটে বসে সবখানেতে
উপকরণ হাজার;
চলুন তবে বাজার—
যাক মহাশয়, টের পেয়েছেন
অন্যরকম সাজার।
অফিস যাবেন নাই গাড়ি নাই
পেলেও উঠে সিট খালি নাই
বুঝুন ঠ্যালা! তবে—
ঘাম ঝরবেই নীরবে!
রাজনীতি বা সমাজনীতি
অর্থনীতি, মৃত্যুভীতি
কিংবা টাকার গড়ছে কারা পাহাড়
কার কত ঋণ কারল কে কার আহার—
ভাবনা এসব এলেই ঝরে ঘাম
এই ঘামের কি নেই সমাজে দাম?