আসছে নববর্ষ
সাল পহেলা আসছে আবার
নববর্ষের হালখাতা
বর্ষবরণ উৎসবে তাই
মেতে উঠবে জনতা।
গাঁয়ের মাঠে বসবে আবার
বৈশাখের ঐ মেলা
ছোট্ট খোকা দোলনায় চড়ে
খেলবে মজার খেলা।
খোকা-খুকি ছন্দ পায়ে
নাচবে তা ধিন’তা
খুশির স্রোতে ভেসে যাবে
দূর অতীতের চিন্তা।
বটের নিচে জমবে আবার
পান্তা খাওয়ার ধুম
বর্গাচাষি করিম চাচার
হারিয়ে গেছে ঘুম।
বৈশাখ এলে
বৈশাখ এলে দালানবাসির
মনে যত সুখ-রে,
ঘর নড়েবড় মানুষগুলোর
মনে তত দুখ-রে।
গায়ের মানুষ ভয়ে কাঁপে
এক্ষুণি যে নামবে ঝড়,
পুরান কালের গাছটা পড়ে
শব্দ করে কড়মড়।
ক্ষেতের ফসল লণ্ড-ভণ্ড
ঘূর্ণিঝড়ের কুস্তিতে,
শূন্য ভিটায় নিঃস্বজনের
ঘুম আসে না সুস্তিতে।
হরেক রকম কষ্ট
কষ্ট বাড়ে চোখের জলে
কষ্ট বুকের মাঝে,
হরেক রকম কষ্ট সদায়
করুণ স্বরে বাজে ।
কষ্ট নামের নীল পাখিটা
বন্দি মনের ঘরে,
জমাট বাঁধা কষ্টগুলো
বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
কষ্ট আছে হাজার রকম
নীল কালো আর লাল,
ধনী গরিব সবার মনে
কষ্ট চিরকাল।
সাত পুরুষের ঋণ
এক সময়ে আমরা ছিলাম
মাছে ভাতে বাঙালি
সব হারিয়ে আজকে হলাম
ভিন্ন পথের কাঙালি।
পাল্টে গেলে খাওয়ার ধরণ
বলবে লোকে ভিনদেশী
দিনে দিনে বাড়বে মোদের
সাত পুরুষের ঋণবেশি।
কোন কালে কে ভাত খেয়েছে
খুঁজতে হবে দূরবিনে
বাজবে কি আর একতারাটা
বাউলা গানের সুরবিনে!