মনে পড়ে মনে পড়ে
মনে পড়ে মনে পড়ে
মনে পড়ে গ্রাম
আমার গ্রামটা তবে
কত কিলোগ্রাম-
রয়েছে যে মনে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
মনে পড়ে মনে পড়ে
মনে পড়ে মাকে
বুকের ভেতরে আমি রেখেছি যে যাকে।
মনে পড়ে মনে পড়ে
রোদ ঝিকিমিকি
পার্বণে দিলো দাদা চকচকে সিকি।
মনে পড়ে মনে পড়ে
পূর্ণিমা রাত
আম পড়ে বেশি বেশি-খুললো বরাত ।
মনে পড়ে মনে পড়ে
ঘাস-ফুল-নদী
পেটপুরে খেয়েছি যে হাটভরা দধি।
মনে পড়ে মনে পড়ে
বৈশাখী দোলা
আকাশটা রেগে মারে কতো গুলিগোলা।
মনে পড়ে মনে পড়ে
নাও সারি সারি
ওই পাড়ে দেখা যায় ধূ ধূ বালিয়াড়ি।
মনে পড়ে মনে পড়ে
ভাটিয়ালি গীতি
বুকের ভেতরে গড়ে সৌধ-সম্প্রীতি।
মনে পড়ে মনে পড়ে
মনে নানাবাড়ি
নানি পরে কমদামি আটপৌরে শাড়ি।
মনে পড়ে মনে পড়ে
মেঘ-লুকোচুরি
সাপ খেলা দেখে দেখে কে মেরেছে তুড়ি?
মনে পড়ে মনে পড়ে
মাছ-খাওয়া ডাইনি-
যার ভয়ে তিনদিন ভাত-টাত খাইনি।
মনে পড়ে মনে পড়ে
কোলাহল কলরব
স্মৃতিটা হাতড়ে দেখি জ্বলজ্বল করে সব।
হারিয়ে গেলো
নদীতে নাও ভাসিয়ে দিয়ে
আমায় ভালোবাসিয়ে দিয়ে
হারিয়ে গেলো
হারিয়ে গেলো
আমার প্রতিপক্ষ হয়ে
দাঁড়িয়ে গেলো
দাঁড়িয়ে গেলো
দুরন্ত এক ঢেউয়ের বুকে
লুকিয়ে গেলো
লুকিয়ে গেলো
এসব দেখে মনটা আমার
শুকিয়ে গেলো
শুকিয়ে গেলো।
পশুবাহী
তার কাঁধে ভর করে
পশু এক বন্য
সেই পশু নিয়ে তিনি হয়ে যান ধন্য।
তিনি যত ভালো খানা
রোজ রোজ খান
পশুকেই বেশি দিতে তার ছিল টান।
তার কাছে ছিল খুব
পশুটাই ভালো
মিছে ছিল তার কাছে সূর্যের আলো।
বুকে তার বাস ছিল
পশুটার নৃত্য
হাসি খুশি থাকতো যে তার পশুচিত্ত।
তাকে সবে দাম দেয়
পশুটার জন্য
পশুটাই তাকে দিতো বাঁচবার অন্ন।
পশুবৎ মন নিয়ে
সেই লোক মরলো
জানি না রে বিধাতা তাকে কী যে করলো!