তুমি কেবলি বৈশাখী ঝড়
একদিন যাকে ভুলে যেতে বলে গিয়েছিলে দূরে সরে
আজ কেন তবে সকরুণ সুরে ডাকো সেই নাম ধরে?
তোমার প্রেমের অট্টালিকায় চেয়েছিল তার বাস
তাকেই দিয়েছ অনাদরে হায় অপবাদের যত ফাঁস।
সাগরের বুকে প্রবাল জমলে নদীতেও জাগে চর
তুমি হয়ে আসো জীবনে কেবলি কাল বৈশাখী ঝড়।
দুই চোখে বয় শ্রাবণের ধারাবুকে চৈত্রের রোদ
তোমার বিরহে কে নিঃশ্ব হলো হবে না বোঝার বোধ।
দীর্ঘশ্বাস
পাখি বলে ডেকে চলো ফু্ল জেগে কাটাই দুজনে রাতি
তোমাকে শোনাব প্রেমসঙ্গীত আকাশ জ্বালাবে বাতি।
ফুল বলে যার সুরের বাণীতে পেতে রাখি এই কান
আশায় আশায় কত ক্ষণ গেলো ভাঙলো না তবু মান।
তার পরশের আগেই ছিঁড়ে যে মালি ভরে নেবে ডালা
কত প্রেমিকের কত কত প্রেমিকার হব বাসনার মালা!
ক্ষণিকের এই জন্মে কেবল ঘ্রাণে হই ইতিহাস
বাইরের রূপ-পিপাসু জগৎ দেখে না দীর্ঘশ্বাস!
অনন্ত পতন
কত বার আমি জন্ম নিলাম যদি পাই ফের দেখা
জম্মান্তরের প্রতিশ্রুতিতে তবু করে দিলে একা।
নির্জন জলে তরঙ্গ হয়ে বহমান অগোচরে
আকাশের ওই হাতছানি রেখে ঘর বাঁধি বালুচরে।
দিবসের শেষে অসীমের পানে সূর্যটা যায় ফিরে
অদৃশ্যে সেই বেড়াজাল কেটে ফিরবে হৃদয় তীরে?
নির্ঘুম রাত বিষণ্নতার শুধু পাতাহীন ডাল
আমাকে পোড়াতে নিজে তুমি বলো তুষ হবে কতকাল?
কখনো রৌদ্র কখনো অসীম নীল কুয়াশার মতোন
অতল ধোঁয়ার গহীনে আমার চলে অনন্ত পতন।