বটে
পুঁটি মাছের লম্ফ ঝম্ফ
বলে আমি ‘মেসি’!
তাই না শুনে বাইন বলে,
ওরে আমি গেছি।
বোয়াল নাচে ঢেউয়ের তালে
চিনিস আমি ‘পেলে’?
তোয়াজ করে সকলজনে
বিশ্বভ্রমণ গেলে।
বাঘাইড় আর গজার মাছে
মিটিমিটি হাসে,
দুজন মিলে কোরাসগীতি
গাইতে গাইতে কাশে
তিমি ছিল মাঝসাগরে
গর্বে ফুলে ওঠে
পুচ্ছ নাচে বিশাল দেহ
যা রটে তা বটে?
বন্ধুর বাড়ি
আমার বাড়ি তোমার বাড়ি
ফারাক দূরে দূরে
তোমার বাড়ি যেতে বন্ধু
শতেক মাইল ঘুরে।
তুখোড় দৌড়ে মনটা আমার
ছুটতে কিন্তু পারে
শাপলা জলা ডিঙিয়ে যাই
মিয়া বাড়ির আড়ে।
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
ফারাক দূরে দূরে
মনপবনের বাও বাতাসে
যাব খানিক ঘুরে
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
যোজন যোজন দূরে
মন যখন ময়ূরপঙ্খি
ছুটবো উড়ে উড়ে।
গ্রাম থেকে গ্রামে
পাইকপাড়ার পাইকেরা পুঁটিমারা বিলে
চালাকচরের আমজনতা কান নিয়েছে চিলে
চন্দ্রপুরে দেখতে এলাম আকাশজুড়ে চাঁদ!
প্রতাপপুরের মানুষগুলো পেতেছে কী ফাঁদ?
আমোদপুরে বাজনা বাজে কাঁসর এবং ঘণ্টা,
সখিপুরের শত সখির নেচে ওঠে মনটা।
গলাচিপা যাবো না রে প্রাণের ভয় আছে
ভুয়াপুরের তামাম ভুয়া যেয়ো না তার কাছে।
পাটগ্রামের সোনালি আঁশ আমাদেরই গৌরব
পেলাম নারে ছিটেফোঁটা পাট ভেজানে সৌরভ!
হরিণাকুণ্ড গাল ভরা নাম, হরিণ দেখতে পাবো?
সাতজন্মের কুণ্ডু কোথায়, এবার ঘরে যাবো।
নাম দিয়ে যায় না চেনা।
হাজিমারায় কে বা কবে মেরেছিল হাজি?
ঘোড়ামারার ঘোড়া মারলো কেমনধারা পাজি!
শুনতে পেলাম ভেড়ামারার কচি কচি ভেড়া
কতল করে ভোজের সভা লোকগুলো সব ত্যাড়া।
গাইবান্ধার বান্দা পাপি? দুধেল যত গাই,
খোয়াড় ভরে রাখলো জোরে, দানাপানি নাই।
ছাগলনাইয়ায় গিয়ে দেখি মজার দৃশ্য
একশো ছাগল সাবান ঘষে হাসছে বুঝি বিশ্ব।
বাঁশখালীতে গিয়ে খুশি, কিনবো কিছু বাঁশ ঝাড়।
উঠোনজুড়ে ঘুঘু চরে, শুকনো জমিন বাঁশ কার?
রংপুর তো বাহের দেশটা দেখবো রঙের বাহার
ধুত্তোরি ধুর ধূসর নগর রঙের বাহার কাহার?
রাজশাহীতে পাবো বুঝি রাজা বাদশার দেখা,
বাদশা কি আর বসে আছেন, ইতিহাসের লেখা।
খেতে ভালো
খেতে ভালো জিলাপিটা আরও ভালো রাবড়ি।
কী যে মজা মিহিদানা আরও শনপাপড়ি।
চেখে দেখ সরভাজা আর রসগোল্লা,
সেরটাক পারে খেতে আবু নসু মোল্লা।
খাও যদি ফিসবল চাইনিজ রান্না
থাইস্যুপ হট খুব , ভুলে যাবে কান্না।
চালতার চাটনিটা টকে ঝালে মিষ্টি
চেখে নিও চটপট লেখা হলো লিস্টি।