সারাটা দিন মাতায়
ছড়া যখন কড়া নাড়ে মনে
বেরিয়ে পড়ি আনন্দ ভ্রমণে।
দুজন চলি স্রোতের টানে
ছুটে চলা নায়ে,
সুখের হাওয়ায় পাল উড়িয়ে
চলি সবুজ গাঁয়ে।
ধ্যান করে বক শিকার খোঁজে
গাঁয়ের ছেলে দ্যাখে রোজ-এ
দৃশ্য,
মন হয়ে যায় শিষ্য।
জেলের জালে মাছগুলো সব
খলবলিয়ে ওঠে,
জেলের মুখে সুখের হাসি ফোটে।
নদীর জেলের, গাঁয়ের ছেলের
মুখটা আঁকি ছড়ায়,
ছড়া আমায় গাঁয়েরই পাঠ পড়ায়।
নদীর পাশের ছোট্ট গাঁয়ে ছড়া
মাদুর পাতে,
ঘুমিয়ে তাতে
পাই যে সোঁদা গন্ধ,
পূবের হাওয়া বইছে মৃদুমন্দ।
রঙধনুটা ছবি এঁকে
সন্ধ্যা ডেকে
আনে গাঁয়ের বাঁকে
দেই জ্বালিয়ে সন্ধ্যাপ্রদীপটাকে।
আকাশজুড়ে তারার হাসি
রাশি রাশি
ছড়া ফোটায় খাতায়,
ছড়া আমার সারাটাদিন মাতায়।
গল্প আছে জানা
আলতা রাঙা সূর্যটা যেই
আলতা দিল ঝরিয়ে
শিশির দিল আলতাটাকে
সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে।
লাল সবুজের মাখামাখি
লাগছে কি যে ভালো!
দেখে খুকু আনন্দে তাই
হাততালি বাজালো।
খুকুর এমন হাততালিতে
নাচল চড়ুই ছানা,
লাল সবুজের গল্পটা যে
তাদের আছে জানা।
চাঁদ কুমকুম
চাঁদ কুমকুম
কাড়ল যে ঘুম
চোখের তারায়
আঁকল সে চুম।
টাক ডুমডুম
লাগল যে ধুম,
ঘুমটা এখন
চাঁদের কুটুম।