খোকা নামের ছেলে
সবুজ শ্যামলিমায় ভরা
টুঙ্গিপাড়া গ্রাম
সেই গ্রামেরই একটি ছেলে
খোকা যে তার নাম।
দুঃখীর ব্যথায় ছিল যে তার
হৃদয়খানি ঢাকা
পরাধীনের শিকল পরে
যায় কী বেঁচে থাকা?
একদিন তাই হুঙ্কারে দেন
স্বাধীনতার ভাষণ
পাকিস্তানি হানাদারের
কেঁপে ওঠে আসন।
বজ্রকণ্ঠে বলেন তিনি
বাংলা এবার মুক্ত
লক্ষ মায়ের দামাল ছেলে
তার সাথে হয় যুক্ত।
বাংলাদেশের বীর সেনাদল
অস্ত্র নিলো হাতে
যুদ্ধ করে জয়ী হলো
শত্রু সেনার সাথে।
লাল সবুজের এই পতাকা
আর পাওয়া সম্মান
যার অবদান নামটি যে তাঁর
শেখ মুজিবুর রহমান।
বীরের জাতি
মরতে পারি বীরের বেশে
করব কাকে ভয়?
একাত্তরে জীবন দিয়ে
এনেছি বিজয়।
আমরা হলাম এমন জাতি
রক্তে আনি ভাষা
দেশটা হলো পরম আপন
তাকে নিয়েই আশা।
বাংলাদেশেরর ইতিহাসে
আছে কত গৌরব
ফুলের মতো ছড়িয়ে দেয়
বিশ্ব জুড়ে সৌরভ।
আছে কত মা বোনের
হৃদয় ভাঙা কান্না
একেক ফোঁটা অশ্রু যেন
হীরা মানিক পান্না।
সব মিলিয়ে থাকি যে ভাই
সবাই সুখে দুখে
শত্রুর আঁচড় আর না লাগে
বাংলা মায়ের বুকে।
শূন্য ঘর
একটি ছেলে যুদ্ধে গিয়ে
আর আসে না ফিরে
বিষাদেরই ছায়া নামে
মায়ের দুই চোখ ঘিরে।
চারিদিকে খোঁজ করে মা
খোকারে তুই কই
তোকে ছাড়া একা ঘরে
কেমন করে রই।
ঘুরে ঘুরে বছর আসে
পায় না খোকার দেখা
ডুকরে ডুকরে কাঁদেন যে মা
শূন্য ঘরে একা।