এক.
দহন জ্বালায় পুড়ছে হৃদয়
বলছি না তো মুখে
ভাঙছে বুকে উথাল নদী
বলছি, আছি সুখে।
কেউ জানে না কেউ বোঝে না
কষ্ট কেন বুকে
বুকের দহন মরন-কাহন
বলে সকল লোকে।
এইতো আছি বেশ আছি হে
দাও যতইনা কষ্ট
না হয় হব তোমার জন্য
একেবারেই নষ্ট।
দুই
চতুর শিয়াল ফতুর হয়ে
মাথায় দিলো হাত,
মনের দুঃখে ঘুম আসে না
কাটে না তার রাত।
কাঁঠাল চুরি আঁঠালো হাত
মুছে লেগে গ্যাছে,
হুক্কাহুয়ায় পড়ছে মামায়
কাঁঠাল চুরির প্যাঁচে।
লেজটা কেটে শিয়াল বেটে
মিটিং ডাকে তাই
দুই শিয়ালের বেজায় মিলের
কারণ জানা নাই।
ফতুর শিয়াল দল বাঁধে তাই
দেখে চতুর ফেউ
কাকের মতন ভাবে শিয়াল
বোঝে না তা কেউ।
তিন.
এক যে ছিলো কাক
কাকের মাথায় পড়েছিল
ভীষণ রকম টাক,
টাকের ওপর বসলো এসে
মৌমাছি একঝাঁক।
টাকু কাকু ছুড়েছে ঢিল
ভাঙতে মৌয়ের চাক,
ছিটকে এসে ঢিলটা লেগে
ভাঙলো কাকুর নাক।
কালো কাকু মৌয়ের কামড়
কুটুস কুটুস খায়,
উফ্ কি জ্বালা কানে তালা
প্রাণটা বুঝি যায়!
যেই না কাকে পেরিয়ে গেলো
বৃন্দাবনের বাঁক,
মৌমাছি সব মাথায় নাচে
তাক ধিনা ধিন তাক।