নাকাল
নগর পিতার কপালে ভাঁজ
মাথায় বজ্রপাত
হাজার উদ্যোগ বৃথায় গেলো
বৃথায় কষাঘাত ৷
ছুটলো খবর কাগজ পাতায়
আদালতের দ্বার
এক বাক্যে জিজ্ঞাসাটা:
ডেঙ্গু মশা কার?
ছোট্ট মশার এতই পাওয়ার
এতই পেশীর বল
এক হুলেতেই করছে কাবু
নায়ক থেকে খল ৷
এই দুশমন চায় না ঢাকা
যাক সে নিপাত যাক
ঝাড়ে-মূলে উপড়ে মশা
ঢাকা ভালো থাক ৷
আঙুল চোষার দিন
যার যেখানে থাকার কথা
সে সেখানে নাই
অযোগ্যরা ঘুরাই ছড়ি
যোগ্যদের মাথায়।
চাঁদে এবার আলু হবে
মঙ্গল গ্রহে মূলা
না জানি কোন গ্রহে হবে
বাংলাদেশের তুলা।
মহাকাশের গবেষণায়
কৃষিজ্ঞানীর রথ
নতুন কিছু আনবে বয়ে
গড়বে নতুন পথ ।
ক্রমেই জগৎ হয় হতবাক
অদ্ভুত এক সিন
বিজ্ঞবানের সামনে এলো
আঙুল চোষার দিন।
ডাবের পানি
আপনি যতই লাফান-ঝাপান
ডাবের এখন পোয়াবারো
ব্যাপারি-সাবের হামবড়া ভাব-
‘ধার-ধারিনা আমি কারও’।
কিন্তু কলিম গাছের ওপর
বোঝে না সে এত ফাঁপড়
বাড়ে না তার দাম
তার ঘামেতেই মুনাফা নেয়
ব্যাপারিরা দালান যে দেয়
কামাই করে নাম।
হায় রে জীবন! হায় রে হায়!
তোর যে কোনো মূল্য নাই
ডাবের পানির এই বাজারে
নরাধমের তুল্য তাই।
সংশয়
নতুন কিছু করতে বরণ একটু সময় লাগে
বিষয় বস্তু পুরোপুরি পাওয়া যে চায় বাগে ৷
মাঠ-ঘাট-বিল প্রকৃতিতে শিখবে নিজের মতো
আঁকবে ছবি মনের সুখে শিশুর নয়ন যত ৷
নিপাত যাবে মুখস্ত ভার মানধাত্তার ধারা
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা হবে খাড়া ৷
শক্ত সোজা পোক্ত হলেই জাতির মেরুদণ্ড
তাদের মুখেই ছাই পড়বে যারাই বলে গণ্ড ৷
হড়কাবে না বর্ষা-কাদায় বুঝলে পথের মতি
পথ না চিনে পা রাখলে হবেই নিজের ক্ষতি ৷
পথিক যত পথ এনেছো ইচ্ছে তোমার খাঁটি
হয় না যেন বোঝার ওপর সে পথ শাকের আঁটি ৷
ভিজা বিল্লির ছাও
তেল কিনতেই হিমশিম
ধুত্তরই ছাই ঘোড়ার ডিম
জীবন রাখা দায় ৷
ডিমের বাজার আগুন মুখো
খাচ্ছে গিলে জীবন সুখ ও
বাঁচার উপায় নাই ৷
জিরার মুখেও মধুর হাসি
ট্রিপল রেটে বেজায় খুশি
ঢ্যামনা পিঁয়াজ তাও ৷
মরিচ কাঁদায় মনের সুখে
আমরা কাঁদি করুণ মুখে
ভিজা বিল্লির ছাও ৷