বাজির ঘোড়া
কদম আলি বাজির বস্,
তাই শুরুতেই ধরেন বাজি
‘খেলাতে কে জিতবে টস?’
এরপরে তে ধরেন বাজি ‘পাঁচ ওভারে শতরান?
অথবা বল্ প্রথম বলে চাচ্ছিস তুই কতরান?’
বাজি ধরেন, আবার তাতে শর্ত অনেক দেন জুড়ি
‘কত বলে কোন্ প্লেয়ার করতে পারেন সেঞ্চুরি?’
বলেন আবার, ‘ছক্কা চারে খেলায় হবে মোট কত?’
নিজের টাকায় পড়িলে টান ধরেন বাজি জোটগত।
বাজির ঘোড়ার ফান্দে পড়ে কান্দে শত কেরামত,
এদের ধরে খুব জরুরি থানায় করুন মেরামত।
দুহা’র দুঃখ
তুমি ইতালির কথা কইয়া পাঠাও লিবিয়া,
আমার বাবার ঘামের টাকা খাইলা চিবিয়া।
হাজার রঙের স্বপ্ন দেখাও, ভাসাও পানিতে,
তোমায় সমাজ সিক্ত করে ফুলেল বাণীতে।
আমার কোনো দেশ থাকে না
দুখের কোনো শেষ থাকে না
একটু বাঁচার আশায় খুঁজি
একটি আদিম গুহা,
আমি ছিলাম বাংলাদেশের
মা’র আদরের দুহা।
মানুষ মনে করে কি
—ছেলে ভালো, চাকরিজীবী, বেতন পায় মোটা দরে!
—রাখো ওসব, শুধু বলো উপরি কামাই কত করে?
—শুনে ভালো লাগবে ছেলে এক্কেবারেই উন্নত জাত!
ব্যাংকে ওটা পড়েই থাকে, বেতনে সে দেয় না হাত!
—উপরি খাওয়া মানুষেরা উপরে ওঠে তাড়াতাড়ি,
এমন ছেলে পেলে আর হাত ছাড়া কি করতে পারি?
ও মিয়াভাই, আত্মীয়তা করেছ ওই ঘরে কি?
বলো, তোমার মেয়েকে ঠিক মানুষ মনে করে কি?