আজকালের ভূত
আজকাল ভূতগুলো নানা রূপ ধরে
মাঠে থাকে ঘাটে থাকে, থাকে ওরা ঘরে।
কখন কোথায় থাকে বুঝা নাহি যায়
ভূতগুলো ঘুরেফিরে চলে পায় পায়।
কখনো বা গরু হয় কখনো ছাগল
কুকুর বেড়ালও হয় কখনো পাগল।
বুড়ো হয় বুড়ি হয় কখনো যুবক
গান গায় ভাটিয়ালি ভাঙরা ও রক।
আজকাল ভূতগুলো খুবই আধুনিক
পান খেয়ে পিচ করে ফেলে না তো পিক।
স্যুট টাই পরে ওরা পরে ম্যাক্সী
চিড়িয়াখানায় যায় চড়ে ট্যাক্সি।
চাইনিজ থাইফুড ওসবও খায়
ভালো কোনো ছবি এলে সিনেপ্লেক্স যায়।
খেলে ওরা ফুটবল ক্রিকেটও খেলে
কী জানি কী হয়ে যায় ম্যারাডোনা-পেলে।
আজকাল ভূতেরাও রাজনীতি করে
মন্ত্রী-এমপি হয় এই ওই ঘরে।
আজকাল কিছুতেই নেই কারও হুঁশ,
দেশটা চালাচ্ছে কে ভূত না মানুষ?
ডিমের ভেতর ভূত
ফ্রাইপ্যান থেকে ডিম জোরে মারে লাফ
বুয়াদের চিৎকার এটা কিরে বাপ!
এমন কাণ্ড আর দেখেনি তো কেউ
বুয়ার ছেলেটা ভয়ে কাঁদে ভেউ ভেউ।
আমি বলি, হ্যালো ডিম, হচ্ছে কী এটা?
ডিমটা জবাব দেয়, তুই কেরে ব্যাটা?
আমি তো এখানে থাকি নাম চন্দন,
ডিমের ভেতরে আছো তুমি কোন জন।
আমি তো ভূতের রাজা নাম টুব্বুস,
বের যদি হই তবে জোরে দেবো ঢুশ।
রিটন ভাইয়ের সেই টুব্বুস না কি?
ভূতের রাজা বলে দিচ্ছিস ফাঁকি!
ধরা পড়ে টুব্বুস ফিক করে হাসে,
লাফ দিয়ে চলে আসে একদম পাশে।
চট করে পুরে নেই পকেটের মাঝে,
এরপর থেকে সে সাথী সব কাজে।
এখানে ওখানে যাই দুইজনে ঘুরি,
এটা খাই ওটা খাই খাই ডালপুরি।
টুব্বুসসহ যাই ওয়ান্ডার ল্যান্ড,
এখন তো দুইজন ভেরি গুড ফ্রেন্ড।
মমর সুখ-দুঃখ
মেঘের চাদর ঢাকলে রাতের চাঁদ
জোৎস্না যখন ধূলোয় পড়ে ঢাকা,
মমর চোখেও রাতটা নেমে আসে
বিষণ্নতা মুখজুড়ে হয় আঁকা।
বুকের ভেতর গুমরে মরে কী যে,
দুটি চোখের পাতা আসে ভিজে।
আমি বলি, আস্ত পাগল মেয়ে
মেঘ দেবে না বিশাল আকাশ পাড়ি?
যাবার পথে চাঁদটা পড়ে গেলে
মেঘ কি নেমে আসবে তোমার বাড়ি?
গভীর মুখে ভেজা চোখের মম,
বুকের ভেতর দুঃখ পাহাড় সম।
মেঘের চাদর সরিয়ে চাঁদটা হাসে
মেঘ কেটে যায় ছোট্ট মমর মুখের,
জোছনা তার আলো ছড়ায় ঘাসে
মমর মুখের এই হাসিটা সুখের।