ঘুম আসে না ঘুম
রাত্রি এখন দুটো;
কাঠপোকাটার দাঁতে কী ধার!
করছে খুটোরখুটো।
আচ্ছা ব্যাটা শ্রমিক;
একলা নাকি অনেক ওরা
কে জানে তার ক্রমিক!
রাত্রি দুটো বিশ;
ঘুম আসে না ঘুম গেল কই
আয় না রে ঘুম, ইশ্…
বয়স কেবলই ষোলো
যেতে যেতে বহুদূরে গিয়ে হঠাৎ কাতর মন
পুত্র আমি ধুলোবালির; জানি জলে সন্তরণ।
আকাশের সাথে বন্ধুত্ব মেঘের মেয়েরা সাথী
মন কাতরের কারণ জানি না কাণ্ডটা সাংঘাতি!
আকাশের গায় রৌদ্র-সীমায় পাখিদের আনাগোনা
উঁকি দিয়ে খুকি দেখে এক অপরূপ আলপনা।
মৃদু বাতাসে নদীতে ঢেউ তুলে হাসে ঐ মাছ
মন কাতরের কারণ জানি না করতে পারি না অাঁচ!
হঠাৎ হঠাৎ দমকা হাওয়া বুকের পাঁজরে এসে
গুঁতো দিয়ে যায়; উস্কোখুস্কো চুলের ওপর ভেসে
যায় চলে যায় দূর অজানায় বয়স কেবলই ষোলো
মন কাতরের কারণ জানি না আমার যে কী হলো!
অবস্থা এই
এই যদি হয় অবস্থা আজ বলব কাকে ভালো
স্বার্থে আঘাত লাগল বলে হারায় নিজের তালও!
থমকে দেওয়ার মতোই বুলি মারতে থাকে জোরে
হায় রে একি, ভয়ে দেখি তার গদিটাও নড়ে!
মন্দটারে ভালো বলার বাড়ছে শুধুই চল
স্বভাবগুণে এই সমাজে ভালোটা অচল!
বাড়ছে বাড়ুক সত্য হারুক পাল্টে ধরন গেলে
ভাবছ আমি হারব তাতে? এতই বোকা ছেলে!
হারবে তুমি তোমরা এবং এই সমাজের সবাই
মরণ হবে মিথ্যাচারে সত্য হলে জবাই।
কেমনে এ রোগ সারাই
যেদিকে যাই যাকেই দেখি
হোক না যেমন ভঙ্গি
ভয়কাতুরে মন ডেকে কয়-
যাস নে ওদিক, জঙ্গি!
চোখ দুটো দেখ রক্তজবা
শুনলি বলার ভাষা?
ব্যাগের ভেতর না জানি কী
কী দিয়ে যে ঠাসা!
যা ভেগে নয় সরে দাঁড়া
পড়তে পারে বোমা!
যারা মানুষ, তাদের কি আর
করে ওরা ক্ষমা?
মরগে ভয়ে, বাঁচলে বা কী
কাউকে করে থোড়াই?
আঁৎকে উঠি, মনের কী দোষ
হৃদয়ই তো পোড়াই!