স্বপ্নগুলো
শুধুই চেয়ে থাকি;
সূর্যিমামা উঠবে জেগে
জাগবে কখন পাখি?
তাদের সাথে আমিও তখন
করব ডাকাডাকি।
থাকবে তখন আমার হাতে
খেলনা সকল থাকবে সাথে
খেলব হেসে খেলে,
পাখনা মেলে অনেক দূরে
যাবো সাথি পেলে।
মেঘের মতন আকাশজুড়ে
হাওয়ার তালে অনেক দূরে
মাঠের পরে মাঠে,
মনের সুখে ভাসবে তরী
মেঘনা নদীর ঘাটে।
উঠবে যখন সূর্য্যিমামা
আমার এসব জানা,
সবাইকে তাই আনব মাঠে
আসুক যত মানা।
আমার মনের স্বপ্নগুলো
সত্যি পেলো ডানা।
হেমন্ত
ক্ষেত ভরা আজ পাকা ধানে
পরাণ জাগলো খুশির বানে।
পুব আকাশে সূর্য্যিমামার
আলো যখন হাসে;
কাস্তে নিয়ে কৃষক তখন
ধান কাটতে আসে।
ধান যে এলো সকল ঘরে
গাঁয়ের সবার মনটা ভরে।
কিষাণ বধূর কাজের ফাঁকে
মুখে রসের পান,
আনন্দে আজ গাঁয়ের বালা
শুকায় নতুন ধান।
ধান শুকিয়ে করবে যে চাল
চিনি, দুধে হবে তা জ্বাল-
নতুন চালের পায়েস, পিঠা
ভিন্ন রকম স্বাদ;
হেমন্তে যে নবান্ন আজ
কেউ যাবে না বাদ।
খুকুর ভাবনা
মা যে আমার কেন বোঝে না
বোঝাই কেমন করে;
ঘুম ভাঙলে কি, কেউ কখনো
শুয়ে থাকে ঘরে?
বাইরে ভীষণ হিমেল হাওয়া
দূর্বা ঘাসে শীত-
বলছে আরো ভয়ের গল্প
ঘরে রাখার গীত।
একটু পরে মা যে নিজে
বিভোর ঘুমে ডুবে,
সুযোগ বুঝে আমিও তখন
বাইরে এলাম চুপে।
তোমরা বলো; এসব ছেড়ে
কেমনে থাকি ঘরে,
মা যে আমার ক্যান বোঝে না
মিছাই রাখে ধরে।