সুখের আদলে যদি
সুখের আদলে যদি গড়ে কারো মন
ফুলের আঘাতে ভাঙে যাপিত জীবন।
শিশিরের মতো ঝরে ভোরের আলোয়
হাসিগুলো মুঝে যায় রঙিন সুতোয়।
অবেলায় তেড়ে আসে শ্রাবণের বান
আঁধারেই কেঁদে ওঠে হাসি আর গান।
রাখালের বাঁশি শুনে মন যায় উড়ে
রাতগুলো নদী হয় আষাঢ়ের ঝড়ে।
জোছনায় ডুবে যায় স্বপনের তারা
শূন্যতায় ভাঙে বুক স্মৃতি দিশেহারা।
লাথির গুণাগুণ
লাথির অনেক গুণ রয়েছে
কেউ যদি খাও লাথি
হয়তো ভাঙবে বুকের ছাতি
না হয় হবে হাতি।
বড় ভাইয়ের লাথি খেলে
উল্টো হবে দোষ
পুলিশ এনে রাস্তা-ঘাটে
করবে তোমার খোঁজ।
বড় ভাইয়ের লাথির গুণে
ভাঙবে তোমার আশা
কয়দিন পরে তোমার জীবন
টিয়ে পাখির খাঁচা।
কিন্তু যদি ছোটরা দেয়
বড় ভাইকে লাথি
দেখবে তাহার জন্য কাঁদে
দেশের মহারথী।
কেউ করিবে মিছিল-মিটিং
কেউ জ্বালাবে বাতি
ক’দিন পরে আমার দেশের
সে-ই তো সোনার জ্যোতি।
তুমি ছাড়া
স্বপ্ন দেখার কথা ছিল
স্বপ্ন এলো না
হৃদয় কেবল সিক্ত হলো
অশ্রু এলো না।
থমকে গেছে অন্ধকারে
স্বপ্ন দেখার ক্ষণ
বরফ নদী গলে না তো
পাথর গড়া মন।
শ্রাবণ ধারায় ঝরছে কেবল
তপ্ত দেহের ঘাম
মুছে গেছে স্মৃতির পটে
খোদায় করা নাম।
তবু আশায় বেঁচে থাকে
বৃন্দাবনের স্মৃতি
কেউ বোঝে না তুমি ছাড়া
আমার দুর্গতি।