নাক টিপেছে চাঁদ
চাঁদ আমাকে ডাক দিয়ে যায় আলোর ভেলায় চড়ে
মিহিন ডাকে বুকের ভেতর ভয়ের কাঁপন ধরে
চাঁদ মামা তুই ডাকিস কেন? শিশির ভেজা রাতে
প্রশ্ন শোনে লাজুক হেসে জোছনা দিয়ে হাতে-
নাক টিপে চাঁদ বললো আমায়
শিশির দেখে কেউ কি ডরায়?
যেই না চাঁদে নাক ধরেছে জোছনা ভরা হাতে
সারাটা দেশ উঠল জেগে আঁধার ঘেরা রাতে
আমার তখন খুশির ঝিলিক উঠছে ফুটে চোখে
জোছনারে তুই খবরটা দিস জানুক শত লোকে-
চাঁদের সাথে ভাব জমেছে
আদর করে নাক ডলেছে।
সেই থেকে না! আমার গায়ে জোছনা লেগে থাকে
সারা দেশের লোকে আমায় তারা বলে ডাকে
তারা হবে? বন্ধু তোমার স্বপ্ন মনে জাগে?
সাহস জমাও জীবন জাগাও ভয় ফেলে দাও আগে—
তখন তুমি তারার দেশে
উড়াল দেবে জয়ীর বেশে
চাঁদের বুড়িও তোমায় সেদিন জোছনা দেবে হেসে।
পিচ্চি মানিক
অ্যাই কী করিস? কিচ্ছু না মা!
ছিঁড়ছি খাতার পাতা।
একটু ভুলে স্যার লিখেছেন
সিটি’র খাতায় যা তা।
তাই নাকি রে! দেখিই না দে
কী লিখেছেন আহা!
‘লেখেননি স্যার! লিখছি ছড়া’
মিথ্যে ওটা ডাহা!
ছড়াও লিখিস! ছিঁড়িস কেন?
মা যদি কও ‘পাকা’
সেই ভয়েতে অনেক ছড়া
ঘুলঘুলিতে রাখা!
পিচ্চি রে তুই মানিক আমার
আয় না কোলে ওরে!
আজ থেকে তুই লিখবি ছড়া
রাখবি আমার ঘরে।
কী বলো মা! সত্যি তুমি
ছড়াও ভালোবাসো?
আমি জানি তুমি তো মা
প্রথম হলেই হাসো!
আর কথা নয় খাবার শেষে
শুনতে হবে ছড়া
স্যারের নামে মিথ্যে বলার
শাস্তি হবে কড়া!
ও মা তুমি শান্ত মা যে
শাস্তি দিতেও পারো!
এই যে তোমার কোলে এলাম
ইচ্ছে মতোন মারো।
আমিও পারি
আম্মু দেখো! আমিও পারি—নকশি পিঠা বানাতে।
দারুণ খবর! হবেই দেখি তোর বাবাকে জানাতে!
কী হবে মা জানলে বাবা যায় না খাওয়া এই পিঠা।
তাই নাকি রে কারণটা কী পিঠার ভেতর নেই মিঠা?
ধুর! বোকা মা; মাটির পিঠায় কে বলেছে মিষ্টি হয়?
পুতুল বিয়ের নকল পিঠায়—নকশা আঁকি মিষ্টি নয়।
আমি যখন তোদের মতো—খেলছি পিঠার এই খেলা
নকশি পিঠায়; মিছেমিছি করছি সবাই, শীত মেলা!
কালকে আমার পুতুল বিয়ে—আনিকাদের বাড়িতে;
পিঠাগুলো রাখতে দিবে—তোমার মাটির হাড়িতে?
দিতে পারি! নিস যদি তুই—পুতুল খেলায় আমাকে!
কী যে বলো! দাওয়াত রাখো; সঙ্গে নিও বাবাকে!
কাইজ্যা-কাইজ্যি
এই তুই আমার মেজাজটারে হুদাই খারাপ করিস না
ফাইভে ফরস বিয়ার আগে ক্যাঞ্চি মাইরে মরিস না।
খাইসে রে ভাই! তুই তো দেহি সিনিয়রের ভাব ধরলি
আমার লগে রাগ দেহাইলি কাজটা কি তুই ঠিক করলি?
এক শ্রেণিতে পড়ছি সবাই একটু আধটু খোঁচামুই
এইডার লাইগ্যা চোখ রাঙায়া মাস্তানি ভাব দেহাস তুই!
মাস্তানি না সত্যি কইছি আমার খাতায় লেহিস না
টিফিন পটের খাওন-দাওন না জিগায়া দেহিস না।
দেহুম নানি! খায়াও ফালাম দেহি ফিরাস তুই কিবায়?
কালকে হবে তোর আড়ালে টিফিন খাওয়া আজ বিদায়…
তাইলে কিন্তু টিফিন পটে লাল মরিচের ঝাল দিমু
ওরে বাপরে! ঝাল খামু না তর ফাও ধরে মাফ নিমু…
তুই আসলেই ভম্বল একটা বিৎলামি রাও হুনস না
মিছামিছি রাগ দেহাইলেও কথার কথাও বুঝস না।
কিল খাবি রে, ভাব নিবি না টিফিন খাওয়া ছাড়মু না
দেহি কী খাস? কাইল থিকা আর টিফিন বাডি আনমু না…
জামাই সাজার ইচ্ছে হয়
আমার না মা জামাই হতে ইচ্ছে হয়
মাথায় মুকুট মুখে রুমাল
গলার মালা টুকটুকে লাল
তুমিও অনেক পাবে স্মৃতি কিচ্ছেময়…
ওরে বাঁদর বলিস কি তুই
বয়স হলো—পাঁচের ওপর মাত্র দুই!
জামাই হবি! আয় কাছে আয়
গাট্টা দিয়ে মুকুট পড়াই তোর মাথায়।
তোমরা কেন সাজাও না বর আমাকে?
তাহলে কি বর সাজাবে বাবাকে?
জামাই সাজার অপরাধে গাট্টা দাও
চাচ্চুকে তো জামাই সাজুক ঠিকই চাও!
ওরে পাগল! সময় আসুক
পালকি এনে সাজিয়ে বর উল্লাসে
তোরে নিয়ে ছুটবে বহর
চার বেহারার সঙ্গে সবাই উচ্ছ্বাসে।
সময় হলে সবাই সাজে জগৎময়
আমি হলাম ব্যতিক্রমী
সবার মত নই একদমই
আমার সবই হোক না মা গো গল্পময়।
এমন করে বলতে মানা জানিস না
পাকার আগেই ইচড়ে হয়ে পাকিস না।
বড়গিরি আর কত মা করতে চাও
ডিজিটালের বিটলামিটা করতে দাও…