আমি
রাজাকে বধ করি নিয়মিত
উজির-নাজির থাকে বশ্য
তুমি বড়জোর আদার ব্যাপারি
হতে পারো কলাই শস্য।
দিনটাকে রাত করি নিয়মিত
চেরাগটা আমারই হাতে
আমায় চেনে না হায়, গর্দভ ওরা
দুগ্ধপোষ্য; হয় হাভাতে!
আমি আমার মতো চলি, দর্পে
সব খেয়ে বলি, কই? খাই নাই
আমার মস্তক ঢাকা আছে সর্পে
সব পাই, বলি কিছু পাই নাই!
থাক সে কথা, থাক
তিনি এবং তাহার সাথে
হয় কথা টুকটাক
কী কথা হয়, না বলি আর
সংগোপনেই থাক।
বললে পরে ঠিক গলাবে
হোঁৎকা কুচো নাক।
করবে আরও কত্ত কিছু
থাকবে না রাখঢাক
তারচে বরং খুঁজতে থাকি
শেয়ালেরই হাঁক।
কান দুটো ভাই পেতে রাখো
শুনতে পাবে ডাক
আশেপাশে হাজার শেয়াল
হয়ো না অবাক।
কাকের সাথে শেয়াল এবং
শেয়ালজুড়ে কাক
হুক্কা হুয়া কা-কা কোরে
দেয় ভেঙে মৌচাক!
শোষক
কানের কাছে গুনগুনাগুন, ইশ!
মশার হুলে আছে না কি বিষ?
কামড় দিলেই হয় ভুলে কী ঢোল
কামড় দিয়ে খায় ব্যাটা ফের দোল!
দুলতে দুলতে আবার ফোটায় হুল
আচ্ছা শোষক! পাই না ভেবে কূল।
দৌরাত্ম্য সবখানে তার; হাতও
মাফ পায় কেউ? না, না, জেনো ভ্রাত—
সবকিছু খায়, নয় খেতে ধীরস্থির
মশার মতো আছে এমন বীর;
দলবাজিতে ভীষণ পটু; বশ—
করবে খেতে—দেশের মধুর রস।
কে থামাবে এদেরই দৌরাত্ম্য
জেগে ওঠো জাগো ওরে ব্রাত্য…