রবীন্দ্রনাথ
হাতে নিয়ে বেত এক পায়ে খাড়া
গ্রিলগুলো তার ছাত্র
লিখতেই হবে লেখাপড়া সব
নয় ছাড়বার পাত্র।
বাড়ির পাশের বেলকুনিটায়
তার পড়ানো কামরা
লাঠির আঘাতে ছাত্রগুলোর
উঠেছে পিঠের চামড়া।
শিক্ষকটা কে চিনেছ তোমরা?
প্রিয় তার বটপাকুড়
তিনি আমাদের সকলের প্রিয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রাতজাগা
রাত জেগে খুব ছড়া লিখছি
ছড়াগুলো কাদের জন্য?
রাতে যাদের ঘুম আসে না
তাদের জন্য তাদের জন্য।
চাঁদকে যারা বন্ধু ভাবে
ছড়াগুলো তারাই পাবে
রাতজাগাদের লোকে ভাবুক
যতই পাগল বন্য বন্য
রাত জেগে খুব ছড়া লেখছি
তাদের জন্য তাদের জন্য।
যাদের প্রিয় জোনাকপোকা
ফুলবাগানের ফুলের থোকা
রাতের পাখি, ঝিঁ ঝিঁ পোকার
গান শুনে হয় যারা ধন্য
রাত জেগে খুব ছড়া লেখছি
তাদের জন্য তাদের জন্য।
রাতজাগারা ভালো থাকিস
খুলে ঘুমের খাম
রাতের গায়ে রাতজাগা তোর
নাম লিখে রাখলাম।
নাগরিক বর্ষা
কংক্রিটের শহরে খুব
বুক করে চিন চিন
এখন আমার জানলা খুলে
বৃষ্টি দেখার দিন
টিনের চালে বৃষ্টির গান
শুনতে ইচ্ছে করে
ক্যামনে শুনি বৃষ্টিরা সব
ছাদের ওপর ঝরে।
এই শহরের বৃষ্টিগুলো
কেমন কেমন কেন ?
দিন রাত্রি ঝরে তবু
মন ভরে না যেন!
কেন?
বৃষ্টি পড়ে বাসের ছাদে
পথের ভাঙা চোরা খাদে
বৃষ্টি এলে সুখের বদল
যন্ত্রনা পাই খুব
একটু খানি বৃষ্টি হলেই
রাস্তারা দেয় ডুব।
গ্রামদুপুরের বর্ষা নূপুর
প্রেম শেখালো যাকে
এই নাগরিক বর্ষা কী আর
টানতে পারে তাকে?